নাজমুল হক সজল, বিশেষ প্রতিনিধি, কসবা॥ কসবা উপজেলার সব জায়গায় এখন পৌছে গেছে বিদ্যুত। এর পাশাপাশি যোগ হয়েছে সোলার সিসটেম ফলে গ্রামে মেঠো পথ এখন আলোকিত হচ্ছে। গ্রামের মোড় কিংবা ছোট বাজার ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পৌছে যাচ্ছে সৌর বিদ্যুতের আলো। একটা সময় ছিল যখন রাতে গ্রামের মেঠো পথ মানে ছিল অন্ধকার আচ্ছন্ন। পথ চলতে গা শিউরে উঠত। পাড়া মহল্লা ছিল ভোতুরে। সন্ধ্যা লাগলেই রাস্তায় দেখা মিলত না কোন মানুষের। তবে গ্রমের সে চিত্র পালটাতে শুরু করছে। গ্রামের মেঠো পথ গুরুস্থান মসজিদ, মন্দির এখন রাতে সৌর বিদ্যুতের আলোতে আলোকিত হয়ে উঠেছে। পৌর এলাকা বা সিটি করপোরেশন নয় গ্রামের অলিতে গলিতেও এখন দূতি ছড়াচ্ছে সৌর বিদ্যুৎ। ত্রাণ পূর্ণ বাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষনাবেক্ষন কর্মসূচির আওতায় সৌর বিদ্যুত জলছে এখন কসবা উপজেলা গ্রামীণ সড়ক ব্যাপী। প্রধান মন্ত্রীর গড়ে গড়ে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়ার অঙ্গিকারে গ্রামীণ সড়কেও সৌর বিদ্যুৎ আলো দিচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের গ্রামণী অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষনাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় সৌর বিদ্যুতের এ সড়ক বাতি বসেছে।
৫নং বিনাউটি ইউ/পি এর বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় মেঠো পথে স্ট্রিট লাইট কথা হয় স্থানীয় ইউ/পি চেয়ারম্যান এড. ইকবালের সাথে। তিনি বলেন দেশকে আলো ও সংমৃদ্ধির পথে নিতে কসবা আখাউড়ার উন্নয়নের দ্বারা অব্যহত রাখতে মাননীয় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক এমপি এর নির্দেশে এবং পরামর্শে দেশকে আলো ও সংমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে কসবা আখাউড়ার উন্নয়নের দ্বারা অব্যাহত রাখতে আইন মন্ত্রীর পরামর্শে ও নির্দেশে অলিতে গলিতেও এখন দূতি ছড়াচ্ছে সৌর বিদ্যুৎ। তিনি বলেন তার যেখানে মানুষ চলাচল করছে সেই সব স্থানে সৌর পেনেলের মাধ্যমে আলো পৌছানো হচ্ছে। রাতের আধারে সৌর বিদ্যুতের আলো নিরাপদে মানুষ চলাচল করছে। রাস্তা গুলো আলোকিত হওয়ায় এখানে এখন রাতে অপরাধ প্রবণতা কমে এসেছে। এখন রাত নামলেই আলোই আলোকিত হচ্ছে গ্রামীণ রাস্তাগুলো। কথা হয় সৈয়দাবাদ গ্রামের দুবাই প্রবাসী কাসেম (কালা কাসেম) এর সাথে। তিনি জানান আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ থাকলেও রাস্তায় কোন আলোর ব্যবস্থা ছিলনা। বর্তমানে আমাদের চেয়ারম্যান ইকবাল ভাইয়ের মাধ্যমে সৌর পেনেলের মাধ্যমে রাস্তায় স্ট্রিট লাইট দেওয়া হয়েছে। তাহাতে গ্রামের চিত্রটাই পাল্টে গেছে। আসলে আলোকিত মানুষরাই সবসময় সবাইকে আলোকিত করার চিন্তা করে। গ্রামের মানুষ এখন রাতে নিরাপদ চলাপল করতে পারছে। এই ব্যাপারে চেয়ারম্যান আরো বলেন সোলার হোম সার্ভিস বলতে মসজিদ, মন্দির, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভিতরে বসানোকে বলা হয়েছে। আর স্ট্রিট লাইট হল গ্রামের মেঠো পথে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যেখানে মানুষের চলাচল বেশি যেমন- রাস্তার মোড়ে মোড়ে, বাকা রাস্তার মধ্যে ইত্যাদি। তাছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বীরমুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি সৌর বিদ্যুতের আলো পৌছেছে।