ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় গত মঙ্গলবার গভীর রাতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে ডাকাতীর প্রস্তুুতীকালে লোকমান হোসেন সুজন (৩৯) নামে এক দুধর্ষ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। লোকমান হোসেন সুজন উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের মনকাশাইর গ্রামের আবদুল হেকিম মিয়ার ছেলে। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে তার সাথে আরো ৮ ডাকাত দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় তৈরী একটি পাইপগান, ২টি তাজা কার্তুজ, ১টি রামদা, বড় ছোরা সহ আরো কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্বার করে পুলিশ। কসবা থানা এসআই বেলাল হোসেন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে ডাকাতী ও অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করেছেন। এই দুই মামলা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে কসবা থানায় ২টি ও কুমিল্লার দেবিদ্ধার থানায় ১টি মামলা চলমান রয়েছে। গতকাল লোকমান ডাকাতকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে কুমিল্লা – সিলেট মহাসড়কের উপজেলার মনকাশাইর বালুর মাঠ এলাকায় তার নেতৃত্বে ৮/৯ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল গাড়ি থামিয়ে ডাকাতীর প্রস্তুতি নেওয়ার সময় গোপন সংবাদে ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাকিরা দৌড়ে পালিয়ে গেলেও লোকমানকে ধরে ফেলে পুলিশ। এ সময় তার হাতে থাকা একটি দেশীয় তৈরি পাইপগান ও দুইটি কার্তুজ সহ পালিয়ে ডাকাতদের ফেলে যাওয়া রামদা, ছোরা সহ অনেকগুলো দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ আরো জানায় বিগত ৪/৫ বছর আগে তার নেতৃত্বে এলাকায় বড় একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের অবস্থান ছিলো। বিগত সময়ে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে অনেক ডাকাতই নিহত হলেও সে পালিয়ে বেচে যায়। ইদানিং তার নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ হয়ে উঠে একটি ডাকাত চক্র। পুলিশ তাকে ধরার জন্য হন্য হয়ে খুঁজছিলো । গত মঙ্গলবার রাতে ধরা পড়ে পুলিশের হাতে এই দুধর্ষ ডাকাত লোকমান হোসনে সুজন। তার গ্রেফতারের খবরে এলাকাবাসীর মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ আবদুল মালেক বলেন; দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতির সাথে জড়িত উপজেলার মনাকাইর গ্রামের দুধর্ষ ডাকাত লোকমান হোসেন সুজন। তাকে ধরার চেষ্টায় ছিলো পুলিশ। অবশেষে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে তার দল নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশ অভিযান চালায় এবং তাকে একটি পাইপগান সহ হাতে নাতে গ্রেফতার করে পুলিশ । তার সংগীরা পালিয়ে গেলেও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।