চলছে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডকে ঘীরে উন্নয়ন মেলা। সারাদেশে এমনকি বিদেশের মাটিতেও বাংলাদেশের দুতাবাসগুলিতে এই মেলার প্রদশর্নী জাকজমকপূর্ণভাবে চলছে। পাশাপাশি চলছে ষড়যন্ত্রের জাল বোনার কাজও। ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই। তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মাধ্যমে। তাই সরকার এবং দল এখন আর দুরত্বে নয় এখন দল ও সরকার একসূত্রে একতার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। মাঠে ময়দানে উন্নয়ন কর্মকন্ডের পাশাপাশি জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করে জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে সকল সমাপ্ত এবং অসমাপ্ত কাজের ফিরিস্তি ও আগামীর নতুন পরিকল্পনা। শুধু উন্নয়ন তুলে ধরলেই হবে না বরং উন্নয়ন বাস্তবায়নে চোখ বোলায়ে টেকসই অবস্থান স্থায়ী বা নিশ্চিত করতে হবে। সজাগ থাকতে হবে কোন ষড়যন্ত্র হচ্ছে বা হওয়ার পক্রিয়া চলছে কিনা। যেখানেই চক্রান্ত সেখানেই জনগণ নির্ভর সচেতনতা বৃদ্ধি করে ঐ চক্রান্ত শেষ করতে হবে এবং চক্রান্তকারীদের মুখোশ উন্মোচন করে মিডিয়ার মাধ্যমে দেশী এবং বিদেশী কাতারে পরিচয় করিয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। চোখ ও কান খোলা রাখার এখনই সময়। আসমানী কিতাবের ভাষায় কবুতরের মত সরল এবং সাপের মত চালাক হও; আর এই কথার বাস্তব স্বাক্ষর রাখার সময় এখনই।
উন্নয়ন এবং ষড়যন্ত্র এই দুটোকেই সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য দরকার কাঠামোগত আইন এবং এর বাস্তবায়ন। আমাদের দেশের উন্নয়ন গতিকে চলমান রাখার জন্য শৃঙ্খলিত আইনের বহুবিধ ব্যবহার দরকার; ঠিক তেমনিভাবে ষড়যন্ত্রের ভিত্তিমূলে আঘাতের জন্য দরকার কঠিন ও কঠোর আইন এবং এর সফল বাস্তবায়ন। আমি এই লক্ষ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে স্বাগত জানাই। তবে যেখানে দুর্বলতা বা কোনরকম সুযোগ রয়েছে পরিবর্তন ও পরিমার্জন করার সেখানে তা করার জন্য সরকারকে অনুরোধও জানাচ্ছি। আমি দেশের মঙ্গল এবং সরকারের স্থায়ীত্ব দেখতে চাই। আর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যদি আমাকেও জর্জরিত করে তার জন্য কোন দু:খ নেই কারন এই আইনের কঠোরতা এবং বাস্তবায়ন আমাদের বর্তমান সময়ের ও সমাজের প্রয়োজনের চাহিদার অন্যতম একটি দাবী। আমি নিজেও ৫৭ ধারায় নিজের অজান্তেই একমাস পনের দিন অন্ধকার কারাগারে থেকেছি এবং থেকেছি এই সরকারেরই আমলে। যা শুধু একজন সম্পাদক ও প্রকাশক হওয়ার কারণে এবং (বেসিস) একটি নির্বাচন কেন্দ্রীক সংবাদ ছাপানোর কারণে। আমি এই আইনকে সাধুবাদ জানাই কারণ আইনটি ছিল বিধায় মামলা করার সুযোগ হয়েছে এবং আমারও সুযোগ হয়েছে জেলে গমন করার। যদি আমি সম্পাদক ও প্রকাশক না হতাম তাহলে হয়ত এই সুযোগটি আমার জীবনে অপূর্ণই থেকে যেত। আমি আইনিভাবে এই মামলাটি মোকাবিলা করছি এবং যিনি বা যিনারা মামলা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আমার মনোভাব খুব স্পষ্ট যে, আমি তাদেরকে ভালবাসী এবং তাদের প্রয়োজনে আগামীতেও সহযোগীতার মনোভাব পোষণ অব্যাহত রাখব। যারা এই সংবাদটি আমার পত্রিকায় দিয়েছিল তাদেরকেও সাধুবাধ জানাই এবং তাদের প্রতিও সহযোগীতার হাত আরো প্রসস্থ করবো। সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলেই আমি একটি শিক্ষামূলক প্রশিক্ষণ পেয়েছি আমাদের সৌন্দয্যমন্ডিত কেরানীগঞ্জের কারাগারে। যেখানে আমি নিজে ভোক্তভোগী এবং ভোক্তভোগী হওয়া সত্তেও এই আইনটির স্থায়ীত্ব এবং দীর্ঘায়ূ কামনা করি সেখানে আপনাদের মনোক্ষুন্ন বা মনোবেদনার কারণ কি বুঝি না। সরকার এবং প্রশাসন ও আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেখানে স্পষ্ট করে বলেছেন সমস্যা নেই সেখানে আর কি সমস্য তা আমার বোধগম্য নয়। তবে সাংবাদিকতায় কত ধরণের মশলা আছে তা আমি দেখেছি এবং এর কাছ থেকে নিজেকে দূরেও রেখেছি এবং রাখব। আর আমি একজন আইটি ব্যবসায়ী, চাকুরীজিবী এবং সম্পাদক ও প্রকাশক এমনকি সমাজ হিতৈষী হিসেবে সবাইকে এই আইন বাস্তবায়নের জন্য সহযোগীতার আহবান জানাচ্ছি।
আমাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে পৃথিবী আজ দুইভাগে বিভক্ত। একদিকে আমেরীকার বলয় আর অন্যদিকে ভারত বলয়। তবে ভারতের বলয়ের পাল্লা ভারী। কারণ ভারত পাশ^বর্তী দেশ এবং গনতন্ত্রের চর্চায়ও অগ্রগামী। ভারত বলয়ের কাছে এখন ধরাশায়ী চক্রান্তকারীরাও। দেশীয় রাজনীতিবিদ যারা চক্রান্তকারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন এবং বিভিন্নভাবে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্র এটেছেন এবং এটে যাচ্ছেন তাদের সকল ষড়যন্ত্রই আজ বিফলে যাচ্ছে এবং নিজেরাই নিজেদের ফাদে পা দিয়ে আরো তলীয়ে যাওয়ার উপক্রমের স্বীকারে পরিণত হচ্ছেন। বরাবরের মতো এবারও স্পষ্টভাষায়ই বলতে চাই সময় এখনো আছে আমাদের সামনে নিজেদেরকে শুধরে নেয়ার এবং নতুন ভাবে ডিজিটাল যুগের ¯্রােতে রাজনীতিকে মিশিয়ে এগিয়ে যাওয়ার। যদি আমরা এই পরিবর্তনটুকু করতে পারি তাহলে দেশ মার্তৃকার সেবা করার সুযোগ বিধাতা আবার তুলে দেবেন এঁটা নিশ্চিত। কারণ দেশের সেবা ও কল্যাণের জন্যই খোদা তায়ালা বিশেষ বিশেষ লোকজনকে বেঁছে নেন এবং দায়িত্বও দেন। তবে সেই দায়িত্বে গাফিলতির ফলেই সমস্যসংকুল জীবনে হতাশা ও বিমুখতা নিয়ে অনিশ্চয়তার দোলনচাপায় এগিয়ে যেতে হয়। তবে সবই এখন স্পষ্ট এবং দৃশ্যমান তাই চোখ কান খোলে নতুন আঙ্গিকে নিজেদেরকে সাজিয়ে চলমান অগ্রগতি ও উন্নয়ন কর্মকান্ডের সাথে নিজের অভিজ্ঞতা ও বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে আরো একধাপ এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে অগ্রসর হলেই মানুষপটে স্থান হবে এবং বিধাতা কর্তৃক দায়িত্ব পালনের সুযোগ আসবে। নতুবা পুরানের টানে ভাটায় পর্যবসিত হবে সামনের সম্ভাবনাময় সময়টুকু।
নির্বাচনী হাওয়ায় যেন উন্নয়ন ভেসে না যায় সেই দিকে লক্ষ রাখা এখন সময়ের দাবি। কারণ নির্বাচন… নির্বাচন করলে কিন্তু উন্নয়ন স্থিমিত হবেই। তাই নির্বাচন করার জন্য একটি গ্রুপ কাজ করবে, উন্নয়ন সামলানোর জন্য আরেকটি গ্রুপ কাজ করবে, সরকার এবং প্রশাসনে সমন্বয় সাধনের জন্য একটি গ্রুপ কাজ করবে; ষড়যন্ত্র মোকাবেলার জন্য একটি গ্রুপ কাজ করবে; আন্তর্জাতিক বলয়ে ধারাবাহিকতা বজার রাখার জন্য এবং নতুন নতুন সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের জন্য একটি গ্রুপ কাজ করবে। সমস্ত কিছু পর্যালোচনা করে সাম্য ও সামঞ্জস্যতা এবং ঐক্য বজার রাখার জন্য একটি গ্রুপ কাজ করবে। এভাবে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে সকল কাজ পরিচালনা করলেই আগামীর অগ্রগতি এবং চলমান ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। কোনভাবেই হতাশ বা ভেঙ্গে পড়লে চলবে না বরং মনোবল শক্ত করে ধৈয্য ও সহ্য এবং ক্ষমা ও ভালবাসার মনোভাব জাগ্রত করে এগিয়ে যেতে হবে। নেতিবাচক নয় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। একজনের উপর নির্ভরশীল না হয়ে দশে মিলে করি কাজ হারি যেতে নাহি লাজ স্লোগানের তাৎপর্য বহন করে এগিয়ে যেতে হবে।
দলীয় বিবেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যের কাতারে সামিল হওয়ার এখনই সময়। কি পেয়েছি বা কি পাবো সেই হিসেবের সময় এখন নয়। এখন সময় স্বাধীনতার সুর্য্যকে সমুজ্জ্বল রাখার। মৃদ্যু ভ’কম্পনে না কেপে বরং বড় ও শক্তিশালী ভ’কম্পনের আশায় প্রস্তুত থাকার। যে গর্জন মাঝে মাঝে মাথাচাড়া দিয়ে উঠে তা ইতিবাচকভাবে গ্রহন করে সকল নেতিবাচকতাকে আলিঙ্গন করে জনসমুদ্রে বিলীন করে দিয়ে আগামীর জয়ধ্বনী পাকাপোক্ত করে দেশ সেবায় মনোনিবেশ ও দায়িত্ববোধ এবং ন্যায়পরায়নতার মানদন্ড ঠিক করার। আশরাফুল মাকলুকাত অর্থাৎ সৃষ্টির সেরাজীব হিসেবে নিজেদেরকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার। সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করার। সেবকের ভুমিকায় যেন কোন প্রকার অহৎকার জমা না হয় সেইদিকে দৃষ্টিপাত দেয়া আমাদের ঈমানিক দায়িত্বও বটে। বিভিন্ন জীবানূতে আসক্ত না থেকে বরং মুক্ত ও সুস্থ্যসবল থেকে এগিয়ে যেতে হবে। কারো কাছে নালিশ বা ক্ষমতার আশা করা এখন শুধু বোকামী বলেই গণ্য বরং নিজের উপর আত্মবিশ^াস এবং জনগণের উপর আস্থা রাখা এমনকি সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা করায় ডিজিটাল যুগের ডিজিটাল চাহিদার পাশাপাশি সকল ধর্মেরও মূলবানীর একটি।
আমরা অনেক হারিয়েছি এবং অনেক পিছন থেকে নতুন করে শুরু করেছি। তাই এখন আর হারাতে চাই না এমনকি পিছনে ফিরে তাকাতেও চাই না। বাঙ্গালীর মন থেকে পিছনে ফিরে যাওয়ার অভিলাষ মুছে গেছে, তাই সামনে এগিয়ে যাওয়ার দৌঁড়ে নিজেদেরকে সক্রিয় এবং প্রস্তুত রাখতে কাজ করে যেতে হবে। কাজ, চিন্তা এবং সমন্বয় ও সঠিক বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। এখনই সময় যুদ্ধে যাবার, এখনই সময় আমাদের নিজেদেরকে প্রস্তুত করার। এখনই সময় আমাদের স্ব স্ব অবস্থান তৈরী করে শক্ত ও মজবুত ভীতের উপর দাঁড়ানোর। সমালোচনা এবং অবহেলা এমনকি মূল্যবান সময় নষ্ট করার সময় এখন নেই। কিতাবের ভাষায় যারা কাজ না করে তারা যেন না খেয়ে থাকুক। তাই আমাদের প্রত্যেকের কাজ করতে হবে এবং কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছতে হবে। সৃষ্টিকর্তা সবসময় কাজ করেন এবং তিনি চান তাঁর বান্দারাও কাজ করুক এবং তাঁর নির্দেশিত পথে এগিয়ে যাক। কিতাবের আয়াত ‘‘তোমাদের জন্য আমার পরিকল্পনার কথা আমিই জানি; আর সেটি তোমাদের মঙ্গলের জন্য, অপকারের জন্য নয়; সেই পরিকল্পনার মধ্যেদিয়ে এগিয়ে গেলে তোমাদের ভবিষ্যতের আশা পুর্ণ হবে” আসুন আমরা আমাদের সাবির্ক পরিকল্পনাগুলি দৃশ্যমান এবং যেগুলো আগামীতে বাস্তবায়িত হবে সেই পরিকল্পনার সাথেও এগিয়ে যায় এবং সৃষ্টিকর্তার পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এর স্থায়িত্ব চিরস্থায়ীভাবে দীর্ঘায়ীত করি।