প্রশান্তি ডেক্স॥ বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিকতা ও সেবার কমতি নেই। কিন্তু সেই আন্তরিকতায় এবং সেবার মানুষিকতায় প্রতিবন্ধকতা এখন দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজন। বেড়ায় এখন সর্বনাশ করে। তবে ওয়াসার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসাজসে এই রাজস্ব বঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ঘটে যাচ্ছে যত্রতত্র। কে রোধিবে এই অনৈতিক মানুষগুলিকে।
ওয়াসার বিলের মাধ্যমে অর্জিত রাজস্ব আয় দ্বারা দেশের এক তৃতীয়াংশ ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব কিন্তু সেই ক্ষেত্রে ওয়াসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার ও জনগণ। তবে কিছু অসৎ শ্রেণীর মিটার রিডার এবং বিল প্রস্তুককারকদের যোগসাজসে হটকারী প্রতারক শ্রেণীর গ্রাহক মিলে সরকারের রাজস্বে প্রতিনিয়ত হামলা করে যাচ্ছে। কিভাবে করছে এই অশুভ অনৈতিক কাজ? প্রতিমাসে মিটার চেক না করে বরং কন্টাক ভিত্তিতে বিল লেনদেন হয়। এই লেনদেনে প্রতিটি বাড়ি থেকে মিটার রিডার পর্যায়ক্রমে ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত উপঢৌকন নেন এবং তার বিনিময়ে বিল কমিয়ে ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত করেন। যেখানে সরকার প্রতি মাসে পাওয়ার কথা ২০ বা ২৫ হাজার টাকা। এই হলো মিরাক্কেল। তবে আমাদের কাছে প্রমানও রয়েছে তাদের ঐসকল দূর্নীতির। গত ৮ বছর যাবত সত্যানুসন্ধানে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের প্রতিনিধিরা। মাঝে মাঝে হেনস্তা হতে হচ্ছে আবার ছোট ছোট অপমানের মাধ্যমে দুরে ঠেলে দিয়ে তাদের কুকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
এখানে অনেক গ্রাহক রয়েছেন যারা সততায় পূর্ণ। ঐ অনৈতিক কাজের সঙ্গে তাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই; কিন্তু সেইহেতু ঐ ভাল মানুষরূপী গ্রাহকদের বিভিন্ন ঝামেলায় আটকিয়ে অবৈধ পন্থায় নিয়ে তাদের কার্য সিদ্ধি করে থাকেন। কিভাবে? মিটার অনুয়ায়ী বিল না করে হঠাৎ বিল বাকি বলিয়া চাপ দেয় এবং একটি বিরাট অংকের বিল বানিয়ে টাকা নেয়। তবে এই ক্ষেত্রে গ্রাহকের কোন ভুল নেই… কারণ গ্রাহক বিল করেন না এমনকি মিটারও দেখেন না বরং যা বিল আসে সেটা পরিশোধ করেন। রিডার বিল তৈরীর সময় মিটার অনুসরণ করেন না অথবা মিটার থেকে বেশী বা কম বিল তৈরী করে গ্রাহকের কাছে পৌছান। কিছুদিন যাওয়ার পরই ঐ রিডার এসে গ্রাহককে বিপদে ফেলার পক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
কোন কোন ক্ষেত্রে যদি মিটার পরীক্ষার পক্রিয়া শুরুর আভাস পায় তাহলে ঐ রিডার এসে মিটারগুলি ঠিক করে রেখে যান যাতে করে পরিক্ষায় কোন সমস্যা পরিলক্ষিত না হয়। রিডার মিটার গুড়িয়ে বিল কমান এবং কখনো বাড়ান। এই সকল কর্মীদের দ্বারা সরকারের কত ক্ষতি হচ্ছে তা কি খতিয়ে দেখার কেউ নেই? ওয়াসাতেতো অনেক জ্ঞানী এবং বোঝদার এমনকি ওজনদার কর্মকর্তা ও কর্মচারী আছেন যারা এই অনৈতিকতাকে রোধ করতে পারেন।
ধারাবাহিকভাবে আমরা আগামী সংখ্যায় বিস্তারিত লিখার আশা পোশন করছি।