প্রশান্তি ডেক্স॥ ১৯৭৫ সালের জুলাই মাসে বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব রুহুল কুদ্দুস যখন বিদেশীদের সাথে বহুরূপি বর্ণচোরা মঈনুল ইসলামের “সুংঃবৎরড়ঁং ধহফ ফড়ঁনঃভঁষ সড়াবসবহঃ” এই তথ্য বঙ্গবন্ধুকে লিখিত আকারে জানালে তিনি বললেন, ওর বাবা ওদের দু’ভাইকে আমার হেফাজতে দিয়ে গেছে। কামাল-জামালের মত ওরাও আমার দুটি সন্তান। ওদের বাবা বাংলাদেশের জন্য যা করে গেছে, তাঁর ঋন আমি শোধ করতে পারবো না। ওরা যা করবে, করুক, মনে রেখ, তারা পিতার ভালোর জন্যেই করবে।” কিন্তু বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে সেই সন্তান প্রমান করেছে, সে তার বাবার সাথে ও বঙ্গবন্ধুর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
এই মুজিব স্নেহধন্য পুত্র ১/১১-তেও শেখ হাসিনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আর আজও সে ঐক্যের নামে শেখ হাসিনাকে হঠাবার ষড়যন্ত্রে নেমেছে। চমকে ওঠার মত ঘটনা যে, বঙ্গবন্ধুর এই কথিত সুপুত্র ৭৫-এর ৩রা নভেম্বর জেঃ মোশাররফের পাল্টা ক্যূ হলে বঙ্গবন্ধুর খুনি মোস্তাককে রক্ষার জন্য আমেরিকার দূতাবাসে মোস্তাকের পলিটিক্যাল এ্যসাইলামের জন্য মার্কিন রাস্ট্রদূত ইউজিন বোস্টারের কাছে ছুটে যান। বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাসের বুকে লম্বা ছুরি মেরে পিতার জন্য মনে রাখার মত ভাল কাজ মঈনুল সাব করেছিল।
এই ইউজিন বোস্টার ইন্দোনেশিয়ার সুকর্ন সরকারকে হঠিয়ে বাংলাদেশে মুজিব সরকারকে উৎখাতের নীল নকশা নিয়েই বাংলাদেশে এসেছিল। বঙ্গবন্ধুর পুত্র স্নেহ-মমতায় সিক্ত এই ব্যাঃ মঈনুল হোসেন ছিলেন সেই বোস্টারের খুব কাছের লোক। শুধু কি তাই!
ভূট্টোর বাংলাদেশ সফরের পর বানিজ্যমন্ত্রী মোস্তাকও তার সহযোগী আওয়ামী লীগের পাঁচ শয়তান বঙ্গবন্ধুর সরকারকে উৎখাতে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে মোস্তাক জেদ্দা যান। ঠিক ঐ সময় পাকিস্তানি একটি প্রতিনিধি দলও সেখানে ছিল। ওখানে বসেই ষড়যন্ত্রের সব ছক পাকা করে। মোস্তাক ঢাকায় ফিরে ঘন ঘন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ভস্টারের সংগে মানিক মিয়ার বাড়িতে এই সম্পাদক মঈনুলের সহিত মিলিত হতেন। মানিক মিয়া বেঁচে থাকলে নিশ্চয় তিনি পিতার বাড়িতে বঙ্গবন্ধু হত্যার গোপন বৈঠক করতে পারতেন না।
জনাব তাজউদ্দিন নিজে বলেছিলেন যে, “তিনি অর্থ দফতরের দায়িত্ব ছেড়ে দিলে মার্কিন দূতাবাস ব্যাংক থেকে একদিনেই তিন কোটি টাকা তুলে নেয়।” সেই অঢেল অর্থ পৌছে যায় ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে। এই হল সেই মঈনুল ইসলাম। বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রের কথা তিনি জানতেন অথচ বঙ্গবন্ধুকে কখনই বেঈমান মঈনুল হত্যার ষড়যন্ত্রের কথা বলেননি।
আজ ইনিই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হঠানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তথকথিত সুশীলরা বিদেশ থেকে অঢেল পয়সা পায়। এরা দেশকে মোটেই ভালবাসেনা। কিসের ঐক্য? এসবই… সবই ষড়যন্ত্র। এই বিশ্বাসঘাতক পরজীবিদের অর্থের অভাব নেই। তার বাড়ীতে যেয়ে দেখুন তাঁর গ্যারেজ মার্সিটিজ বেন্স থেকে শুরু করে দামী দামী ব্রান্ডের ১৪/১৫টি গাড়ী। এরা জনগন বা দেশের জন্য নয়, এরা নিজেদের জন্য, এদের প্রতিহত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শক্তিশালী করাই জনগনের জন্য জুরুরী।