চাকরি হারানোর শঙ্কায় গ্রামীণফোনের ৬০০ কর্মী

সোহেল॥ মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোনের প্রযুক্তি শাখার ছয় শতাধিক কর্মী চাকরি হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন। গ্রামীণফোনের সদ্য ঘোষিত ‘কমন ডেলিভারি সেন্টার’ প্রকল্পের কারণে এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর আশঙ্কা থেকেই রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে প্রযুক্তি শাখার কর্মীরা গত শুক্রবার দিনভর প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন। সমাবেশে গ্রামীণফোনের পাঁচ শতাধিক কর্মী উপস্থিত ছিলেন।gp employes are insecure for their job
গ্রামীণফোনের দুটি ইউনিয়ন রয়েছে। একটি এম্পøয়িজ ইউনিয়ন, অপরটি জেনারেল এম্পøয়িজ ইউনিয়ন। সমাবেশে দুই ইউনিয়নের সদস্যরা উপস্থিত হয়ে গ্রামীণফোনের নতুন উদ্যোগের বিরোধিতা করেন। সমাবেশে বক্তারা চাকরির নিশ্চয়তা এবং সিডিসি প্রকল্প বন্ধের ঘোষণা চান।
জানা গেছে, কমন ডেলিভারি সেন্টার (সিডিসি) প্রকল্প চালু হলে গ্রামীণফোনের টেকনোলজি টিমের (প্রযুক্তি শাখা) ছয় শতাধিক কর্মী চাকরি হারাবেন। বর্তমানে এই শাখায় ৬৫৪ জন কর্মী রয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেনারেল এম্পøয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত দাস খোকন বলেন, ‘আমাদের প্রযুক্তি সেকশনের কর্মীদের চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সিডিসি প্রকল্প চালু হলে প্রযুক্তি বিভাগের কর্মীরা চাকরি হারাবেন। আমরা গ্রামীণফোনে চাকরির নিশ্চয়তা চাই।’
তিনি জানান, গ্রামীণফোনের প্রযুক্তি সেকশন বন্ধ করে সেই দায়িত্ব এরিকসন, হুয়াওয়ের মতো কোনও কোনও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে দিতে চায়। ওইসব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনকে প্রযুক্তিগত সেবা দেবে। আর এই সেবা নিলে গ্রামীণফোনের আর প্রযুক্তি শাখায় কোনও কর্মী রাখার প্রয়োজন হবে না। ফলে কর্মীদের চাকরি হারাতেই হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রামীণফোন এক বিবৃতিতে জানায়, গ্রামীণফোনের অত্যাধুনিক নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা এবং এ সম্পর্কিত প্রক্রিয়া উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন উপায় বিবেচনা করা হচ্ছে। আমাদের সর্বোন্নত নেটওয়ার্ক এবং সর্বোন্নত গ্রাহক সেবা নিশ্চিতকরণে এই উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কৌশলগত উদ্যোগটি সব সময় পরিবর্তনশীল, বৈশ্বিক ব্যবসায় ধারণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে এটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এর ফলে কর্মসংস্থানের ওপর প্রভাব পড়তে পারে এমন কোনও সিদ্ধান্তই গৃহীত হয়নি। গ্রামীণফোন সবসময়ই তার কর্মীদের প্রতি দায়িত্বশীল।

Leave a Reply

Your email address will not be published.