ভয়াল ২১ আগস্টের খুনিদের ফাঁসি চাই

প্রশান্তি ডেক্স॥ ঐ চেয়ে দেখো বাংলাদেশ বসে আছে হুইল চেয়ারে , আমাদের অপূর্ব সুন্দর স্বপ্নরা সিপ্লন্টারের আঘাত শরীরে নিয়ে ষন্ত্রনায় দগ্ধ হয়ে বসে আছে হুইলচেয়ারে। আমার ভাই-বোনের শরীর রক্তে লাল হয়েছে, আইভী রহমান সহ আরও ২৪টি তাজা প্রাণ অকালে ঝরে গেছে, পঙ্গু হয়েছে শত শত ভাই-বোন, এই বাংলাদেশ কি আমরা চেয়েছিলাম? এই খুনীদের আমরা ফাঁসি চাই। মানিক চৌধুরি ।Voyal 21 august rat
২১শে আগস্ট। বারুদ আর রক্তমাখা বীভৎস রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞের দিন। বিচারের অপেক্ষা ১৪ বছর ৪৮ দিন। কাল ঘটছে অপেক্ষার সমাপ্তি। সভ্য জগতের অকল্পনীয় এই নারকীয় হত্যাকান্ডের দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করছি। বদরুল হাসান কচি। “লোকে বলে মূল ক্রিমিনাল “তারেক”রে ঝুলাইয়া দিলে ২৪ জনের আত্মা শান্তি পাবে, আর বাংলাদেশও নাকি অভিশাপ মুক্ত হবে” কামরুল হাসান স্বপন !
ভয়াল ২১ আগস্টের খুনিদের ফাঁসি চাই। দ্বীন মোহাম্মদ ।
২১শে আগস্ট বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা ও পরিকল্পনাকারীদের ফাঁসি চাই… ফাঁসি চাই… ফাঁসি চাই…। রাফিউল করিম মাসুম ।
২১ আগষ্ট্ গ্রেনেড হামলার মূল পরিকল্পনাকারি ক্রিমিনাল তারেক সহ সব অপরাধীর ফাসি চাই । শোয়েব আলী ।
২১ শে আগষ্টের গ্রেনেড হামলায় নিহত ২৪ টি পরিবার এখনো আশ্রু ফেলে স্বজন হারানোর বেদনায় বিপ্লব চক্রবর্তী।
২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর তৎকালীন জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জজ ডব্লিউ বুশ, যুক্তরাজ্যর প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার, ইউরোপীয় ইউনীয়নসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। আর সংসদে গিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আর তার সংসদেরা করেছিলেন হাস্যরস আর নির্মম রসিকতা। আওয়ামীলীগ সাংসদেরা শোক প্রস্তাব দিলে তা গ্রহণ করা হয়নি, দেয়া হয়নি ২১শে আগস্ট নিয়ে কথা বলার সুযোগ। মনে পড়ে বাংলাদেশ? রাষ্ট্রীয় মদদে নারকীয় হত্যাযজ্ঞের মাস্টারমাইন্ড তারেক জিয়া-সহ সকল খুনীদের ফাঁসি চাই। পায়েল আক্তার ।
ফখরুল সাহেবকে একজন কান্ডজ্ঞানসম্পন্ন নেতা বলেই জানতাম। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা নিয়ে একি কথা বল্লেন তিনি! অপরাধী মনের প্রলাপ ছাড়া এটার আর কি ব্যাখ্যা হতে পারে? কবে তিনি বলে বসেন, ২৫ মার্চ ১৯৭১এর গণহত্যার সুবিধাভোগী আওয়ামী লীগ। ফখরুল সাহেবের পক্ষে এটাও সম্ভব! (২১ অগাষ্টের সুবধাভোগী আ. লীগ: মন্তব্য ফখরুলের শীর্ষক শিরোনাম সহ সংবাদ লিঙ্ক সহ স্ট্যাটাস) ডাঃ মুশতাক হোসেন।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শুধু ২৪টি প্রাণ নয়, দেশের গণতন্ত্র নিহত হয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য সকল পক্ষকে গণতান্ত্রিক হতে হয়। হাসান নাসির।
২১ংঃ অঁমঁংঃ এৎবহধফব অঃঃধপশ ধহফ করষষরহম ধিং ধহ ধপঃ ড়ভ ঞবীঃনড়ড়শ চড়ষরঃরপধষ ঈষবধহংরহম. আব্দুল্লাহিল কাইয়ুম ।
কি নিষ্ঠুর রাজনীতি
কি হিংস্র মানষিকতা
কি বিভৎস জিঘাংসা
বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন তাঁর দু কন্যা। ওরা থাকলেত এ দেশ আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরে আসবে সুতরাং তাদের সরিয়ে দিতে হবে। পরিকল্পনা হাওয়া ভবনে, মুজাহিদ তারেক, বাবর, সালাম পিন্টু, মুফতি হান্নান। ক্ষমতায় তারা, সহযোগিতায় থাকবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, গোয়েন্দারা, আর বিশ্বস্ত পুলিশ। সব দিন ক্ষণ ঠিক করে ২১ আগষ্ট আওয়ামী লীগের জনসভায়। একেবারে নিখুত টার্গেট শেখ হাসিনা। অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন নেতাদের মানববেষ্টনির জন্য, তারপর গাড়ী লক্ষ্য করে গুলি। না তিনি বেঁচেই গেলেন আল্লাহর ইচ্ছায়। কিন্তু মারা গেলেন ২৫ জন, ক্ষত বিক্ষত হলেন শত শত, ক্ষমতায় বিএনপি জামাত জোট ধুয়ে মুচে সব আলামত সাফ। তার জজ মিয়া নাটক। এত বড় গ্রেনেড হামলা শুধু একজন দিন মজুর জজ মিয়া কি তামশা দেখলাম আমরা।
সেনা সরকার অন্য মামলা খুজতে গিয়ে পেল গ্রেনেড হামলার গন্ধ। খোলাশা হলো সব কিছু। মুফতি হান্নান স্বীকার করলেন সব। আলোর মুখ দেখলো আসল রহস্য। আশা করি ভুক্তভোগীরা ন্যায় বিচার পাবেন। নিহতদের আত্মা শান্তি পাবে। সৈয়দ মোঃ মোহসীন। ২১শে আগস্ট সে দিন আমি ছিলাম ট্রাকের সামনে হঠাৎ মন চাইল চা নাস্তা খাবো কিন্তু আদা চাচার কাছে শুধু আদা চা ছাড়া আর কিছুই ছিল না তাই পার্টি অফিসের দারোয়ান চাচাকে বললাম. চাচা চলেন চা নাস্তা করে আসি, এই বলে দুইজন অফিসে পিছনে টং দোকানে চা খেতে গেলাম আর অমনিই শুরু হলো গ্র্যালনেড হামলা চারিদিকে কান্না আর চিৎকারের শব্দ সে কি ভয়াবহ অবস্থা! সেদিন চা খেতে গিয়ে বেচে গেলাম, পার্টি অফিসে গেলে এখনও দারোয়ান চাচা জড়িয়ে ধরে বলে, “চাচা সেদিন আপনি যদি চা খাওয়াতে আমাকে না নিয়ে যেতেন, তাহলে আজকে হয়ত বেচে থাকতাম না” কারন চাচাও ছিল আমার সাথে পাশে ছিল আদা চাচা, কিন্তু আজকে আদা চাচাসহ অনেকে আমাদের মাঝে নাই, আমরা যারা বেচে আছি তারা কুল্যাংগার তারেক জিয়ার ফাসি চাই এই — টা বেচে থাকলে আবারও জাতীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যা করবে, তাই এর ফাসি ছাড়া উপায় নাই আমার সংগঠনের যুগ্ন সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম এখনও স্পলিন্টার শরীরে নিয়ে যন্ত্রনায় কাতর হয়ে বয়ে বেড়াচ্ছে। খুনি তারেক সহ তার সহযোগী সকলের ফাসি চাই আমার চোখের সামনে এখন ও সেই রক্তাক্ত ভয়ার্ত চেহারাগুলা ভেসে উঠে যেমন আইভি আপা, কাদের ভাই, মরহুম হানিফ ভাই, সুরঞ্জিত দাদা, সাবের হোসেন চৌধুরি সহ অনেকের সেই সময়ের চেহারা চোখে ভাসে। জয় বাংলা! আবুল খায়ের শাহজাহান। ২০০৪ সালের ২১শে আগষ্ট মধ্য রাত স্থান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।
বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় আহতদের চিকিৎসার অপ্রতুলতা, চিকিৎসকের অভাব, রক্ত দেওয়ার মানুষ থাকলেও রক্ত নেওয়ার চিকিৎসকদের অনাগ্রহ, লাশের সংখ্যা…এইসব মনে করিয়ে দেয়, ঘটনার ভয়াবহতা। সুলতান মির্জা। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা কোন ক্ষত নয়, নিছক দূর্ঘটনা- বলেছিল বিএনপি নেতা কুলাঙ্গার ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। শাহ আলম সজীব । ২১ আগস্ট ২০০৪। এক বিভিষীকাময় দিন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক কলঙ্কজনক দিন। এক ভয়ঙ্কর দিন। এখনও বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে, গ্রেনেড হামলা করে একটি রাজনৈতিক দলের সকল নেতা-কর্মীকে হত্যা করার মত জঘন্য ঘটনাও স্বাধীন বাংলাদেশে ঘটতে পারে! বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে, এমন জঘন্য ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তারাও এদেশে রাজনীতি করতে পারে! ভাবতে কষ্ট হয় যে, এমন ঘটনার খলনায়কদের পক্ষে রাজনৈতিক বিবৃতি দেওয়া যায়! ভাবতে কষ্ট লাগে এমন ঘটনার খলনায়কের পক্ষে কথিত বুদ্ধিজীবীও আছে! দিনটির কথা মনে হলে এখনও শিউরে ওঠে শরীর। দিনটির কথা এখনও স্মৃতির পটে আতঙ্ক নিয়ে ভেসে ওঠে।
আমি তখন টিকাটুলিতে থাকি। আমাদের পরিবারটি বাংলাদেশের রাজনীতির সাথে স্বাধীনতার পূর্বকাল থেকেই গভীরভাবে সংশ্লিষ্ট। আমি ব্যক্তিগতভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে কখনই সংশ্লিষ্ট ছিলাম না। কিন্তু দর্শনগত বেশ কিছু বিষয়ে আওয়ামী লীগকে মিত্র মনে করি সবসময়। যখন শুনতে পেলাম যে, আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়েছে। মনের অজান্তেই প্রশ্ন এলো শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন তো? কারণ অনেকবারই তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে, হত্যার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। যে শত্রুরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল তারাই বারবার এ ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও বিদেশে অবস্থানের কারণে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যাওয়ায় হত্যাকারীরা অন্তর্জ্বালায় ভুগে। কারণ তাদের লক্ষ্য ছিল সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যারা মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্ত্বাকে হত্যা করবে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনীতিকে হত্যা করবে, স্বাধীনতার চেতনাকে হত্যা করবে। আজ সৌভাগ্যক্রমে শেখ হাসিনা বেঁচে থাকায় সেই রাজনীতির পতাকাকে ঊর্ধে তুলে ধরে আছেন।
আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি না করলেও চাচী রওশন জাহান সাথী আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি। পরবর্তীতে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। চাচী রওশন জাহান সাথীও সহযোদ্ধাদের নিয়ে ঐ সমাবেশে যোগ দিতে গেছেন। স্বভাবতই চিন্তা হলো চাচী কি ফিরেছেন? খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম তখনও তিনি বাসায় ফিরেননি। বাসার সবাই ভীষণ উদ্বিগ্ন, সবাই চিন্তিত! চাচী কি সুস্থ আছেন? দেখলাম মা কাঁদছেন। তিনি কাঁদছেন একারণে যে, শেখ হাসিনাকে তিনি খুব ভালবাসেন। অধিকন্তু মায়ের খুব প্রিয় আমাদের চাচীও বাসায় ফিরেনি। আমার মনে হলো আমি আওয়ামী লীগ না করলেও চাচীর সাথে মাঝে মাঝে সমাবেশে যাই। আমিও হয়তো ঐ সমাবেশে উপস্থিত থাকতাম , কিন্তু সেদিন চাচীর সাথে যাওয়া হয়নি।
সন্ধার কিছু পর চাচী বাসায় ফিরলেন। সবাই তাকে ঘিরে ধরলো প্রকৃত খবর জানার জন্য। চাচী যা বর্ণনা দিলেন তা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। কী বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছি গ্রেনেড হামলার পর তা একে একে চাচী বর্ণনা করলেন। পরে বুঝতে পারলাম যা ঘটেছিল সেদিন বঙ্গবন্ধু এভিন্যুতে তার অল্পটুকুই বলতে পেরেছেন চাচী। সবাই জানতে চাইলো চাচী কিভাবে রক্ষা পেলেন? তিনি জানালেন, নেত্রী যে ট্রাকে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করছিলেন সেই ট্রাকের পাশেই ছিলেন তিনি। মানুষের সমাগমে খুব ধাক্কাধাক্কি হচ্ছিলো। গ্রেনেড হামলার কয়েক মুহূর্ত আগে খানিকটা সরে গিয়ে একটু কম ভীড় এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছিলেন। এরই মধ্যে গ্রেনেড হামলা হয়। কত মানুষ মারা গেছে তা এমুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। ১৯৯৯ সালে ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এক জনসভায় চাচা জাসদের সভাপতি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কাজী আরেফ আহমেদ কে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করা হয়। ১৯৭৩ সালে চাচীর বাবা এডভোকেট মোশাররফ হোসেন এম পি কে নিজ বাসভবনে হত্যা করা হয়। আর আজ চাচী গিয়েছেন যে সমাবেশে সেখানে গ্রেনেড হামলা হয়েছে। আামদের প্রিয় চাচী, যাকে আমি বৌমা বলে সম্বোধন করি তিনি সৌভাগ্যক্রমে ২১শে আগস্ট রক্ষা পান। আজও সেদিনের কথা মনে হলে আতঙ্কে বুক কেঁপে ওঠে।
১৫ আগস্ট ইতিহাসের নির্মম ও নৃশংস হত্যাকান্ড নিছক ব্যক্তি শেখ মুজিব হত্যাকান্ড ছিল না। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড ছিল জাতির ইতিহাসকে, জাতির রাজনীতিকে, জাতির চেতনাকে সর্বপরি আমাদের জাতিসত্ত্বাকে হত্যা করার সুগভীর ষড়যন্ত্র। জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরও যখন তার কন্যা শেখ হাসিনা সেই রাজনীতির পতাকাকে ঊর্ধে তুলে ধরে রাজনীতি করছেন, তখন শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলাও একই ষড়যন্ত্রের অংশ। তাই ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলার বিচার নিছক শেখ হাসিনাকে হত্যার প্রচেষ্টা বা ঐ সমাবেশে নিহত প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মীনি আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪জন নেতা-কর্মীকে হত্যার বিচারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার সুযোগ নেই। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর তিন লাখ মা-বোনের সমভ্রমের বিনিময়ে কেনা স্বাধীনতার বিরুদ্ধ হামলা। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল, বাঙালি জাতীয়তাবাদকে নিঃশ্চিহ্ন করে দেওয়ার হামলা। ২১ আগস্টের হামলা ছিল এদেশে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শত্রুদের প্রতিষ্ঠিত করার হামলা। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল স্বাধীনতার চেতনাকে হত্যা করার হামালা। তাই বিচারে যে রায়ই দেওয়া হোক না কেন, যারা এই হামলার পেছনে জড়িতদের, যারা এই হামলাকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় তাদেরকে এদেশর রাজনীতি থেকে, আমাদের এই সমাজে থেকে চিরনির্বাসন দিতে হবে, ঘৃণা করতে হবে, বয়কট করতে হবে ঐসব ষড়যন্ত্রকারী ও তাদের আশ্রয়-প্রশয়দাতাদের। আজকের এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি আইভি রহমানসহ সকল শহীদদের এবং যারা এখনও শরীরে গ্রেনেডের স্প্রিন্টার নিয়ে দুঃসহ জীবন যাপন করছেন, তাদের।
জয় বাংলা। (পুরনো একটি স্ট্যাটসের কপি করে তিনি আজ আবার পোষ্ট করেছেন) কাজী সালমা সুলতানা। মনে আছে গ্রেনেড হামলার পর আলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল ও সাবের হোসেন চৌধুরী সহ নেতারা থানায় মামলা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু রমনা থানা মামলা নেয়নি। বঙ্গবন্ধু এভিনিউ মতিঝিল থানার অধীনে বলে ফিরিয়ে দিয়েছিল! মতিঝিল থানায় যাওয়ার পর থানায় ওসি নেই। প্রায় আধাঘণ্টা পর ওসি একেএম রফিকুল হক থানায় এসেছিলেন। আ’লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার প্রাণনাশ ও গ্রেনেড হামলার মামলা করতে চাইলে থানায় মামলা নেয়া হয়নি! সেদিন প্রশাসন অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে মামলার বদলে ‘জিডি’ নিয়ে জাতির সাথে তামাশা করা হয়েছিল! মনে আছে সেদিন শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সচিব সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছিলেন, ‘আমরা সেই দিনের প্রত্যাশায় থাকলাম, যেদিন আইন তাঁর স্বাভাবিক গতিতে চলবে। আগামীকাল সেই কাঙক্ষিত দিন। বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার রায় হবে। বর্বরোচিত ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সব খুনীদের ফাঁসি চাই … শাহ আলম সজীব ।
সঙ্কলনঃ মোঃ মাহমুদ হাসান, ১০ই অক্টোবর, ২০১৮, সকাল ০৬.৪০ মিনিট।
একগুঁয়ে ইতর ও প্রতিশোধপরায়ন এটা কি ইংরেজী ভাষায় চবৎাবৎংরড়হ বা বিকৃতি মনোভাব বলা যাবেনা! মিথ্যার বেসাতি করে সমসাময়িকভাবে আইনকে অমান্য ও অশ্রদ্ধা করে, ইতিহাস বিকৃতি করে, কিছু মানুষ কে কিছু দিন বিভ্রান্ত করতে পারে, তাই বলে সব মানুষ কে বোকা বানানো সম্ভব নয়। সত্যের জয় হবেই। সে পিতার পদাঙ্কনুসরণ করতে চেয়েছিল পিতা জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের ছত্রছায়াই বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত হয়ে, বাঙালি জাতীয়তা বাদকে কবর দিয়ে স্ব্ধাীনতা কে ভূলুন্টিত করে রাজাকার যুদ্ধপর্ধাীদের নিয়ে রাজনীতিতে দূর্বৃত্তপনা করে প্রেসিডেন্ট হয়েছিল, আর তারই সন্তান তারেক সে মনে করেছিল পথের কাঁটা শেখ মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা কে সরাতে পারলে সেও পিতার মতো এদেশের প্রধানমন্ত্রী হবে। পিতার মতই ধূূর্তবাজ পিতা মুক্তিযোদ্ধার বেশে যুদ্ধাপরাধীদের মিত্র শক্তি। হাউ কুড ইউ কিল ইয়োর লিডার অব ইনডিপেনডেন্স? বিদেশী সাংবাদিকের প্র্রশ্নবানে জর্জরিত জিয়া নিরোত্তর থেকেছে। তদন্তে খুনীরা জিয়ার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। খুনীদের সূর্য সন্তান খেতাব দিয়েছে বিচার কোন দিন হবেনা অভয় দিয়ে শুধু ক্ষান্তহয়নি চিরতরে বিচার বন্ধের ইনডিমিনিটি আইন ও পাশ কেের্ছ! পুরুস্কিত করেছে! বলুন এই সব মিথ্যে কথা?
তার পরের ইতিহাস এদেশের মানুষ জানেন আমাদের অসহায়ত্ব প্রতিহিংসা প্রেিত্শাধ নিয়েছে পাকিস্তান তা আজও সক্রীয়। তার প্রমান দেখুন, আর্জেস গ্রেনেড গুলি পাকিস্তান থেকে এসেছিল। কালো রাজনিতীর হাজার নমুনা দেখেছে এদেশের মান্ষু ৭১ মানব-খাদক দানব উৎপাদনকারী কারখানা তৈরী করে ছিল জিয়া ও তার উত্তরসূরি তারেক রহমান। আইন যাকে ধিক্কার দেয় তাকে ধিক্কার দিতে আপনার কেন, ভয় কেন, সংকোচ সাদাকে সাদা কালো কে কালো বলার সৎ সাহস না থাকলে আপনিও কাপ্রুষ।
জয়বাংলা। জয়বঙ্গবন্ধু।

Leave a Reply

Your email address will not be published.