বাংলাদেশের জনগণের পছন্দের প্রতি সম্মান জানাবে ভারত

আন্তর্জাতিক ডেক্স॥ সফররত বাংলাদেশের সাংবাদিক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিং। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের পছন্দকে সম্মান জানাবে Somman janen varotভারত। নির্বাচনে যারাই ক্ষমতায় যাবে, তাদের সঙ্গেই কাজ করবে দিল্লি। আসামে নাগরিকপঞ্জি নিয়ে ভয়ের কোনও কারণ নেই। সফররত বাংলাদেশের সাংবাদিক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলাপকালে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিং এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। ভারতের সাউথ বন্টকে বাংলাদেশী সাংবাদিকদের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিং বলেন, ‘চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বরের পর বাংলাদেশে সাধারন নির্বাচন হবে বলে জানতে পেরেছি। নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ যে ইচ্ছাই প্রকাশ করবে তার প্রতি আমরা সম্মান জানাব। বন্ধুপ্রতীম প্রতিবেশী হিসাবে বাংলাদেশের জনগণ যেটাকে ভাল বলে বিবেচনা করবে আমরাও তাকেই ভাল বলে মনে করব। ভারতীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্র হলো খুবই কঠিন। আবার গণতন্ত্রই হলো সবচেয়ে ভাল পথ। বাংলাদেশের জনগণ যেপথ বেছে নেবে সেটাকে আমরা মেনে নেব। বাংলাদেশে কী হতে যাচ্ছে সে বিষয়ে আমরা কোনও পূর্বাভাস করব না। নির্বাচনের এখনও কিছুটা সময় আছে। দেখা যাক, পরিস্থিতি কোন পথে অগ্রসর হয়।
বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে ভারতের কোনও বার্তা আছে কিনা জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিই আমাদের সমর্থন থাকবে। বাংলাদেশের জনগণই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। নির্বাচনের ইস্য আমরা বাংলাদেশের জনগণের ওপর ছেড়ে দিতে চাই।’ এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি তিনি। আসাম থেকে নিবন্ধনের বাইরে থাকা বাঙালিদের বিতাড়নের ব্যাপারে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতাদের হুঙ্কার সম্পর্কে জানতে চাইলে ভি কে সিং বলেন, ‘আসামে নাগরিক নিবন্ধনের বিষয়ে ভারত সরকার কিছু বলেনি। আদালত থেকে একটা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পুরো ব্যাপারটাই বিচার বিভাগীয়, রাজনৈতিক কোনও বিষয় নয়। এই ইস্য নিয়ে বাংলাদেশের ভয়ের কিছু নেই।
ভারতের প্রতিশ্রুত তিস্তা চুক্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তিস্তার ব্যাপারে মমতাদির (পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি) এক ধরনের অভিমত আছে। তবে এই ইস্যর সমাধান খুঁজে বের করা হবে। বর্তমানে তিনি (মমতা ব্যানার্জি) বিরোধী দলীয় ম্যডে আছেন। তার কিছু পয়েন্ট আছে। তার পয়েন্টগুলোর সুরাহা হোক আগে। তিস্তা ইস্যর নিস্পত্তিতে অবশ্য কিছুটা সময় লাগবে। আমরা খুবই আশাবাদী। সন্ত্রাস দমন ও নিরাপত্তা সহযোগিতার দিক থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে এ ব্যাপারে তথ্য বিনিময়সহ সব ধরনের সহযোগিতা রয়েছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এই ইস্যর চেয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পকের প্রতিই ভারতের গুরুত্ব বেশি বলে অভিমত দেন। ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর মতে, ‘বাংলাদেশ যে সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই বিবেচ্য। সিনহার বক্তব্য তারা আমলে নেবেন না বলেও জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published.