প্রশান্তি ডেক্স ॥ ঐক্য প্রক্রিয়ায় যদিও ক্ষমতার স্বাদ আস্বাদন সম্বব হবে না এ যাত্রায় তবে যার যার অবস্থান থেকে ঐক্যে লাভবান হয়েছেন সবাই। আর এর মধ্যমে জাতিও চিনতে পেরেছেন মুখোশধারী ক্ষমতালোভী জাতীর অজানা শত্রুদের। এই ঐক্যের লক্ষ্যে ছিল ক্ষমতার মসনদ। দেশের এবং দশের কল্যাণের কোন ছিটেফোটা ছিলনা ঐ ঐক্যে। এই ন্যাক্কারজনক ঐক্যে এখন ঐক্যপন্থিরাই দিশেহারা। কারণ লজ্জার ক্ষয়ে পচনের গন্ধ সামলাতে ব্যস্ত কিন্ত ঐ দুর্গন্ধ কি আর দূর করা যায়? হয়তো যাবে … যার জন্য অনেক সময় পোহাতে হবে। ঐক্যের মধ্যে যে অনৈক্য বিরাজমান তা কিন্তু জাতির জন্য একটি শুভ দিক বা লক্ষণ। কারণ ঐ অনৈক্য যদি না থাকত তাহলে এর অন্তনীহিত রহস্য ভেদ করা যেত না। জামাতের সুদুর প্রসারী পরিক্ষল্পর ছকে বিএনপির অভিভাবকত্বহীন নাজুক অবস্থায় অস্তিত্বের দন্ডায়মান রাখার স্বার্থে সবকিছু উজার করে কোন রকম বেচে থাকার আশায় ঐক্যের ছায়াতলে বা ব্যানারে কিছু একটা করে প্রাণবায়ূ সচল রাখতে চাইছে মাত্র।
এইদিক দিয়ে বিএনপি স্বার্থকও হয়েছে বটে। পেয়েছে নতুন অভিভাবক এবং নতুন প্লাটফর্ম যা দিয়ে মাঠে দাঁড়ানোর একটি সুযোগ হবে বৈকি। আর অন্যদিকে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার ভয়ে কাতর জনতা বিমূখ কিছু ক্ষমতালোভী এবং জাতীর অনিষ্টকারী অচিন্নিত কীট যাদেরকে বুদ্দিবেশ্যা হিসেবে বা জ্ঞানপাপী হিসেবে চিহ্নিত খ্যাতাবপ্রাপ্তরা যুক্ত হয়েছে ঐক্যের ছাতার নিচে। ডা. এবং ড. দন্ধ আছে এবং থাকবে তারপরও বলব ঐ ঐক্যে জনাব কামাল সাহেব প্রধান মন্ত্রী হওয়ার খায়েশ নিয়ে বিএনপি, জামাত এবং দেশ বিরোধী চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। তবে গভীর জলের মাছ কামান সাহেব কিন্তু জানেন যে, তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে; সেই কারণে এখনও তিনি নিশ্চিত নন এবং অগামী নির্বাচনী পক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতেও রাজী নন; বরং এক অরাজক এমনকি অন্ধকারের ষড়যন্ত্রই এটে যাচ্ছেন যাতে করে কোন সুযোগে মনের কামনা ও বাসনা এমনকি লুকানো খায়োস পূর্ন করতে পারেন। যারা কামাল সাহেবের আশে পাশে আছেন তারা কিন্তু ছাগলের তিন বাচ্চার মতই লাফাচ্ছেন। এই ঐক্যকে আবার মদদ ও পরামর্শ দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আরেক ড. যিনি গরীবের রক্ত চোষে বিশাল এক উপাধিতে আসীন হয়ে প্রীয় বাংলাদেশকে ভূপাতিত করে যাচ্ছেন। তিনিও রাষ্ট্রপতি হওয়ার মনোবাসনা ও কামনা নিয়ে ঐক্যের ব্যানারে এগিয়ে যাচ্ছেন। আর এই ঐক্যকে রসদ ও তেল দিয়ে যাচ্ছেন বিদেশী স্বার্থান্বেষী দোসররা।
ক্ষমতার খায়েসে মত্ত্রা এ যাত্রায় হয়তো ঐক্যের মাধ্যমে অনৈক্যই বেশী দৃশ্যমান করে যাবে কিন্তু এই ঐক্য হতে পারতো এক নজীরবীহিন দৃষ্টান্ত। যদি সেই ঐক্যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহন থাকতো। যেহেতু সেইভাবে করতে পারে নাই সেইহেতু এটাকে ঐক্য বা জাতীয় ঐক্য এই জাতীয় কোন শব্দ দ্বারাই প্রকাশ করা সমীচিন নয় বরং বেমানই লাগে। এটাকে বলা যায় ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বা ক্ষমতা দখলের একটি প্রচেষ্টা মাত্র। এটাকে আবার অপচেষ্টাও বলা যায় কারন যাদের নিয়ে ঐক্য হওয়ার কথা ছিলা তাদের মধ্যে এখন অনৈক্য স্পষ্টত দৃশ্যমান। তাই তাদের নিয়ে জাতিও এবার লজ্জ্বিত। তাই এই ঐক্যকে বলা যায় জামায়াত ও বিএনপির একটি নয়া কৌশল মাত্র। আর এক্ষেত্রে বলির পাঠা হিসেবে বলি হয়েছেন আমাদের সর্বজন শ্রদ্ধেয় বুদ্ধিবেশ্যারা।
এখানে একটি বিষয় আলোচনা করা যায় যে, যারা বলি হয়েছেন তাদের এর বাইরে গিয়ে কিছুই করার নেই। কারণ তারা গোফে তেল দিয়ে বসেই থাকেন সুযোগের আশায় আর সেই সুযোগ কখনো কখনো তাদেরকে স্বপ্ন দেখায় এবং কখনো কখনো তাদেরকে স্বপ্নে ভাসাই। আর এখন সেই স্বপ্নে ভাসতে ভাসতে এসে বলির পাঠা হিসেবে নিজেদেরকে বিলিয়ে দিয়েছেন। দু:খ হয় ঐ দরি মাছ না ছুই পানির পাকা খোলোয়ারদের জন্য, কারণ শেষ জীবনে এসে এমন করুনভাবে ফেসে যাওয়ার জন্য। ডিজিটাল এই যুগে এসে এমনভাবে অতিতের সকল অর্জনকে বিসর্জন দিলেন যা বংশ পরম্পরাই দুর্নামের খেসারত দিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। এই অসহায়ত্ব এখন জনতার চক্ষুস্পটে ভেসে বেড়াচ্ছে। কি দিয়েছেন আর কি নিয়েছেন এবং আগামীতে কি নিতে ব্যস্ত হয়েছেন সবই এখন স্পষ্ট। তাই ঐক্যের জোয়ার ও ভাটায় এখন হিসেব নিকেশের শুন্য কৌটা নিয়ে হাতরিয়ে বেড়ানো ছাড়া আর কিইবা করার আছে। তাই সকলেই যার যার অবস্থান থেকে লাভবান; আর স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে আগামীর তরে; জনগণ রয়ে যাবে উন্নয়নের জোয়ারের অগ্রজে। ভেসে যাবে সব জঞ্জাল; ফিরে পাবে স্বস্তি এবং নিশ্চিত আগামীর উন্নত সীরে দাঁড়ানোর স্থায়ী পাকাপোক্ত শক্তিশালী হাতিয়ার।