ছানাউল্লা, রিয়াদ থেকে ॥ বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার হলো সৌদি আরব। সরকারি হিসেবে দেশটিতে প্রায় ১৩ লক্ষ বাংলাদেশি কাজ করে। মূল সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি। এসব শ্রমিকদের অধিকাংশই ‘আকামা’ বা পরিচয়পত্র নিয়ে বেশ ঝামেলা পোহায়। তবে এবার সম্ভবত সব ঝামেলার সমাধান হতে চলেছে। সৌদি অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা এসব বাংলাদেশির অবদানকে স্বীকার করে তাদের দেখভালের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন দেশটির বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এমন আশ্বাসই দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে বাদশাহর আমন্ত্রণে চার দিনের সফরে সৌদি আরবে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। গত বুধবার গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠকে মিলিত হন এই দুই রাষ্ট্রীয়নেতা।
পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৌঁছালে রাজপ্রসাদের প্রবেশ দ্বারে তাকে স্বাগত জানান সৌদি বাদশাহ। এ সময় তিনি শেখ হাসিনাকে বলেন, এটি আপনার ঘর এবং আপনাকে সবসময় এখানে স্বাগতম।
শেখ হাসিনাকে রাজকীয় ভোজ এবং উষ্ণ আতিথেয়তায় মুগ্ধ করেন সৌদি বাদশাহ। এ সময় এমন উষ্ণ অভ্যর্থনা ও আতিথেয়তার জন্য সৌদি বাদশাহকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া দেশটিতে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশিদের কাজ করার সুযোগ দেয়ায় সৌদি সরকারের প্রশংসা করেন।
এ সময় সৌদি বাদশাহ বাংলাদেশিদের প্রশংসা করে বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা সৌদি অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখছে। এ সব বাংলাদেশিদের দেখভালের দায়িত্ব আমি নিজের কাঁধে তুলে নিলাম।
পররাষ্ট্র সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী সৌদি বাদশাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সৌদি বাদশাহ প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন এবং বলেছেন, আমরা এটি কূটনৈতিক পর্যায়ে সম্পন্ন করবো।
এর আগে অত্যন্ত উষ্ণ ও আন্তরিক পরিবেশে দুজনের মাঝে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সালমান বিন আবদুল আজিজ বলেন, সৌদি আরব ও বাংলাদেশ ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ। আমারা ধর্মের পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে একই বন্ধনে বাঁধা। অর্থনীতি, সংস্কৃতি, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাসহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো জোরদারের সুযোগ রয়েছে।’
তিনি বলেন, আমরা যৌথভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়ছি। আনুষ্ঠানিক পর্যায়ে আলোচনার পর বিভিন্ন বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।