বাংলাদেশের আনাচে কানাচে এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে অবৈধ সিগারেট বা তামাক জাতিয় দ্রব্য ও পন্য। এই তামাক থেকে তৈরীকৃত বা প্রক্রিয়াজাতকরণের কবলে নি:শেষ হয়ে যাচ্ছে শিশু, কিশোর, পৌঢ়, বৃদ্ধ ও আবাল-বনীতারা। যারা এর স্বীকারে পরিণত হচ্ছেন তারা কিন্তু সবাই আসক্ত নয়। যদিও আসক্ত নয় তথাপি ঐ মরন ছোবল থেকে মুক্ত থাকতে পারছেন না কারণ ঐ সিগারেট এর বিষাক্ত ধোয়া এখন আকাশে ও বাতাসে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মানুষের প্রাণ বায়ুতে আঘাতের পর আঘাত করেই যাচ্ছে। এর থেকে রেহাই পাওয়ার কি কোন উপায় আছে? আইন আছে কিন্তু এর প্রয়োগে শীতিলতা বা চর্চার রয়েছে অনেক অভাব। এই অভাবেই নষ্ট হচ্ছে আমাদের সকলের স্বভাব। তাই তামাক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের আন্তরিকতাকে আরো বাড়াতে হবে এবং পাশাপাশি আই শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগীতা নিয়ে এগুতে হবে।
সচেতনতা বলতে কিছু যদি থাকে তাহলে সেই প্রক্রিয়া অবলম্বন করে আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে এমনকি তৃণমূল পর্যায় থেকে কার্যক্রম শুরু করে এগিয়ে যেতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। তাই আসুন এখনই এই মরণঘাতী ব্যাধীকে প্রতিরোধ করি। নতুবা এর ছোবল থেকে কারো রেহাই মিলবে না। এইক্ষেত্রে সরকারের যেমন দায়িত্ব রয়েছে ঠিক তেমনি আমাদের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব রয়েছে এই ব্যধীকে নির্মূল করার। তাই স্ব স্ব অবস্থানে থেকেই এর বিরুদ্ধে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে এর কুফলগুলি তুলে ধরে সচেতনতা বৃদ্ধি করি এবং আগামী দিনের পৃথিবী এরবং এর বসবাসকারীদের জন্য একটি মুক্ত বায়ূ এবং নিশ্চিত ভবিষ্যতের ব্যবস্থা করি। পরিশেষে বলতে চাই তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে অঙ্গিকারাবদ্ধ হই এবং তামাক চাষের বিপরীতে অধিক ফলনশীল ফসলের আবাধে মনযোগী হই এবং অন্যদের উৎসাহ যোগানে এগিয়ে যাই।