জেলখানার দিনগুলি

jailhanar-dingolo-1[1]এই জেলখানার দিনগুলি আমাকে শিখিয়েছে কিভাবে নিজেকে আরো নম্র হয়ে মানুষের সেবা করা যায়। আমার এমন কোন গুন বা আমিত্ব নেই যা দিয়ে গর্ব ও অহংকার করতে পারি বরং সবই খোদা তায়ালার উপহার। এই জেল আমার দরকার ছিল। যার জন্য লুনা আপাকে ধন্যবাদ জানাই। তার কাছে চীর কৃতজ্ঞ। আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসি করুক। আমি তারজন্য প্রতিনিয়ত দোয়া করি। জেলখানায় এসে প্রকৃত বন্ধু চিনতে পেরেছি; বিপদে মোরে রক্ষা কর এ নহে মোর প্রার্থনা; বিপদে তুমি পাশে থাক এই হল মোর কামনা। আমি কৃতজ্ঞ যারা আমার পাশে রয়েছেন; পরামর্শ দিয়েছেন; অর্থ দিয়েছেন; উৎসাহ যুগিয়েছেন; মোনাজাত করেছেন; তাদের প্রত্যেকের কাছে কৃতজ্ঞ। সর্বপরী আমার মাবুদ খোদা তালার কাছে কৃতজ্ঞ কারন তিনি আমাকে বাচিঁয়ে রেখেছেন। কঠিন রোগ ব্যধিতেও সুস্থ্য রেখেছেন। ষ্ঠোক করার পরও বাচিঁয়ে রেখেছেন। দাত সব নড়ে এবং ব্যাথার যন্ত্রনায় খাইতে এবং ঘুমাতে পারি নাই। এই কঠিন সময়েও মাবুদ আল্লাহ আমাকে বাচিঁয়ে রেখেছেন। তাঁর কথায় বেচে থাকাটাই আশির্বাদ। একটি মজার ব্যাপার ঘটলো এই জেলেই এখন ২০০০ সালে আমার টাকা আতœসাৎ করে পালিয়ে যাওয়া খালেদ। কাকতালীয় ভাবে আমার সাথে দেখা এবং আমি তাকে আগের মত ঘৃনা নয় ভালবাসায় জরিয়ে ধরে আলিঙ্গন করলাম। এইটা সর্ম্পূন খোদা তায়ালার দান। আল্লাহ আমাকে আর কতদিন এই জেল পরিবারে রাখবে জানিনা তবে তিনি যে আমাকে মুক্ত করবেন তা নিশ্চিত। দেখলাম মানুষ কতরূপ ধারন করে; কখনো কখনো হায়েনা বা দানবে পরিনত হতে পারে শুধুই অর্থের জন্য। আর এই জেলখানা হলো নরপিচাষ তৈরীর এক উর্বর কারখানা। তবে এর পরিবর্তন আনয়ন সম্ভব।
কিভাবে সংশোধনাগার হিসেবে এই জেল’র আমুল পরিবর্তন ও লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন করা যায়। এই জেলখানায় মানুষকে পরিবর্তন করা সম্ভব। তরুন সমাজকে কাজে লাগানো সম্ভব। সাজা প্রাপ্তদেরও কাজে লাগানে সম্ভব। সরকারের কোষাগার থেকে ভুর্তুকি না দিয়ে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসুুচি চালু রাখা সম্ভব। মামলা দেখে বা চেয়ে বন্দি প্রক্রিয়া নির্বাচন করা সম্ভব। স্বচ্চতা আনয়নের জন্য কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের যোগাযোগ এবং তদারকী বৃদ্দি করা প্রয়োজন। বন্দী আগমনের পর আমদানীতেই বাছাই করা প্রয়োজন। মামলানুযায়ী ও শিক্ষা-দিক্ষানুযায়ী বাছাই করে ওয়ার্ড, সেল বা অসুস্থ্যদের হাসপাতাল নির্বাচন করে সিট বন্টন করা উচিত। তারপর মুটিভেশনাল প্রোগ্রাম নাটক, মূল্যবোধ প্রশিক্ষনের মাধ্যমে দিনে দিনে পরিবর্তন সাধন করতে হবে। তারপর কারিঘরি প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে যার যার পছন্দানুযায়ী কর্মপ›ন্থা নির্বাচান করে জীবন ও জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করতে পারে। পুর্বের কর্মকান্ড দিয়ে মূল্যায়ন না করে বা সেই দিকে না গিয়ে অনুশোচানা করে ও অনুতপ্ত হয়ে খোদার দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করে নতুন উদ্যোগে নব কর্মে নিয়োজিত হওয়া। মেকানিক, গার্মেন্টস্ ওর্য়াকার, স্কুটার ড্রাইভার, কনষ্টাকশন ওয়ার্কার, ইলেট্রিক ওয়ার্কার, বাবুর্চি ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, উকিল, শিক্ষকসহ নানান পেশায় জড়িতদের অভিজ্ঞতানুযায়ী বিভিন্ন প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করা এমনকি ঐ কাজ জানা লোকদের দ্বারা বিভিন্ন সামগ্রী তৈরী করার ব্যবস্থা করা। এইভাবে কাজের বিনিময়ে খাদ্যেও ব্যবস্থা করলেই জেল হবে শিক্ষার একটি অন্যতম পাদপীট। বৃদ্দদের দ্ধারা সহনীয় কর্ম সংযোজন করা। মুল্যবোধ প্রশিক্ষন এবং বিভিন্ন হাতের কাজ অথবা কারীগরি প্রশিক্ষন এর নিমির্ত্তে প্রশিক্ষক নিয়োগ করা আবশ্যক। চৌকাতে যারা কাজ করে তাদের প্রশিক্ষন ব্যধ্যতামুলক। রান্না-বান্না, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং শুস্বাধু খাবার রান্না ও পরিবেশনা; অপচয় রোধ সহ যাবতী কাজ সম্ভব; যদি প্রশিক্ষন এবং নিয়ম শৃঙ্খলা আনয়ন করা হয়। নিয়ম শৃখলা এবং স্বছতা আনয়ন করা হয় তাহলে লোকসান কমবে এবং লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরীনত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.