বাআ॥ গণভবনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ৯ বছর ক্ষমতায় থেকে দেশের যা উন্নয়ন করেছে, তা সবাই দেখতে পাচ্ছেন। এখন সবাই মিলে দেশটাকে গড়তে হবে। আজ সন্ধ্যা ৭ টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে বসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গণভবনে পৌঁছান ঐক্যফ্রন্টের ২১ সদস্যের প্রতিনিধিদল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে গণভবনে পৌঁছান।
সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দলের নেতা হিসেবে রয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের চেয়ারম্যান ড. কামাল হোসেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পাশাপাশি দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার ও মির্জা আব্বাসের নাম আগের তালিকাতেই জানানো হয়েছিল। নতুন করে সেখানে আর পাচজন যোগ দিয়েছেন, মঈন খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ছাড়াও গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান, জগলুল হায়দার আফ্রিক ও গণফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিক উল্লাহর নাম রয়েছে সেখানে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে সক্রিয় জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আবম মোস্তফা আমীন, সাবেক দুই সংসদ সদস্য এস এম আকরাম ও সুলতান মো: মনসুর আহমেদও গণভবনে সংলাপে অংশ নিয়েছেন।এছাড়াও রয়েছেন জেএসডির আসম আবদুর রব, তানিয়া রব, আবদুল মালেক রতন, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী ও মোস্তফা মহসিন মন্টু এবং নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না।
অন্যদিকে সংলাপে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকছেন ২০ জন, এর মধ্যে আওয়ামী লীগের জোট শরিক দলগুলোর নেতারাও রয়েছেন।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে রয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফর উল্যাহ, মো.আব্দুর রাজ্জাক, রমেশ চন্দ্র সেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ, আবদুর রহমান ও দীপু মনি, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপও ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে বসেছেন। রয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের নেতা শ ম রেজাউল করিমও। ১৪ দলের শরিক দলগুলোর নেতাদের মধ্যে জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাসদের একাংশের কার্যকরী সভাপতি মইনুদ্দিন খান বাদল, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়াও সংলাপে উপস্থিত রয়েছেন।
সংলাপ শেষে প্রতিক্রিয়ায় জনাব ওবায়দুল কাদের বলেছেন সবই সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে ইতিবাচকভাবে হয়েছে। তিনি সবাইকে ধন্যবাদ দিয়েছেন এবং সবাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। পাশাপাশি জনাব কামাল হোসেন সাহেবও সংলাপ সম্পর্কে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন এবং এই সংলাপ চলমান বলে মন্তব্য করেছেন। এই সংলাপই আগামীতে নতুন কোন উচ্চসার বানী শোনাতে পারে এবং জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে এগিয়ে নিতে পারে বলে বিজ্ঞজনের মতামত।