আমি পদত্যাগ করব, সবাই মাথা নিচু করে রাখলেন …. প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রশান্তি ডেক্স॥ আমরা অনেকেই জানিনা সেদিন গণভবনে সাড়ে তিন ঘন্টা হয়েছিল কি? ছোট একটি মিনি পার্লামেন্ট বসেছিল। সরকারে ছিলেন আমাদের প্রানপ্রিয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সহচর ও আপনজন ড. কামাল হোসেন। তার সাথে ছিলেন বিজ্ঞ বিজ্ঞ পার্লামেন্টেরিয়ান। শুরু হয়ে গেল অধিবেশন। শুরুতে স্বাগত ভাষন দিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বিরোধীদলকে বলা হলো আপনাদের দাবি এবং অভিযোগগুলী বলুন।Ame poddotek korba prodan montre
ড. কামাল সাহেব বল্লেন সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে আপনি পদত্যাগ করুন?
শেখ হাসিনা বল্লেন আমি পদত্যাগ করব। আপনারা এখানে যারা আছেন কেউ কি একজন নিরপেক্ষ ব্যাক্তির নাম বলতে পারবেন? খুঁজে পাবেন? এ সময় সবাই চুপ করে রইলেন। এ সময় ড. কামাল হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষন করে বল্লেন, একজনের নাম বলুন। সবাই মাথা নিচু করে রইলেন। কেউ কোন উত্তর দিতে পারলেন না। মওদুদ ও আব্বাসকে বল্লেন, আপনারা যে অনির্বাচিত সরকার চাচ্ছেন ১/১১ কথা ভুলে গেছেন ? তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে প্রথমেই আমানউল্লা আমানের অসুস্থ স্ত্রী ও ইকবাল মাহমুদের অবিবাহিত মেয়েকে যখন গ্রেফতার করে তখন আমিই প্রথম প্রতিবাদ করেছি। আপনারা তো অনেকেই তখন তাল মিলিয়ে চলছেন।
………. দুজনই চুপ।
ড. কামালকে আবার বল্লেন আপনিতো সংবিধান রচনা করেছেন। আপনি বলেছেন এই সংসদে ১৫৩ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত। প্রার্থী না থাকলে আমরা কি করব? আপনি নিজেওতো বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন, তখন কি আপনি পদত্যাগ করেছিলেন?
……….. কামাল হোসেন চুপ।
ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির কথায় প্রধানমন্ত্রী বল্লেন এ মামলাতো আমরা করিনি, ১/১১ সরকার করেছে। কোর্টের ফয়সালা কোর্ট করবে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। আমার বিরুদ্ধেও ১৬টি মামলা ছিল, আমি তা কোর্টে ফয়সালা করেছি।
………….. জমিরউদ্দীন চুপ।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বল্লেন, বেগম খালেদাকে কারাগারে রেখে বিএনপির নির্বাচনে যাবার সুযোগ নেই। জবাবে শেখ হাসিনা বল্লেন এটি আপনাদের দলীয় বিষয়। আমরা চাই সবদলের অংশগ্রহণে শান্তিপুর্ন নির্বাচন।
…………………..ফখরুল সাহেব চুপ।
ব্যারিস্টার মওদুদ ও ফখরুল সাহেবকে বল্লেন, আপনারা কোনটিকে রাজনৈতিক মামলা বলছেন? আমিতো কাউকে খুন করিনি। বরং বিএনপির আমলে তারেক রহমান ও সরকারে মন্ত্রীরা আমাকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড মেরে হত্যা করতে চেয়েছিল। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে মৃত্যুর সংবাদে ছুটে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
সে সময় আপনি (মওদুদ আহমেদ) ছিলেন। সাথে সাথে মওদুদ বলেন, আমি দোতালায় ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ কন্ঠে বলেন, তা হলে দোতালায় বসে নির্দেশ দিয়েছিলেন আমাকে যেন ঢুকতে না দেওয়া হয়।
……………..মওদুদ চুপ।
ডাঃ জাফরউল্লাহ চুপচাপ বসে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বল্লেন সবাইতো কিছু বলছেন আপনি কিছু বলবেন না! আপনি কিছু বলুন।
ডাঃ জাফরউল্লা বলেন, আপনি একটি সুষ্ট নির্বাচন দিন নোবেল পুরস্কার পাবেন। বঙ্গবন্ধু আমাকে ৩১ একর জমি দিয়েছেন আপনিও ১৪ একর জমি দিয়েছেন। কিন্তু আপনার দেওয়া জমিটা এখনো দখলে পাইনি। আমার ক্যান্সার হাসপাতালের উদ্বোধন এর জন্য সময় চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন আব্বাও দিয়েছেন আমিও দিয়েছি। অথচ টেলিভিশনে গিয়ে আমার আর সরকারের বিরুদ্বে কথা বলেন! আপনি সেনাবাহিনী প্রধানকে নিয়ে যেভাবে বক্তব্য দিয়েছেন খালেদা জিয়া থাকলে জেলে যেতেন।
………………….ডাঃ জাফরউল্লা চুপ।
মিনি পার্লামেন্টে আরো অনেক কথা হয়েছে। আমি অনেক সংক্ষেপ করলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published.