নেত্রকোণা প্রতিনিধি॥ ইনিই আমাদের গর্বের ধন বাঘা সিদ্ধিকী। যাকে নিয়ে এই বাংলার এমনকি ওপার বাংলার মানুষের কত গর্ব এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অহংকারও ছিল বটে। কিন্তু তিনি সেই অহংকার আর গর্বকে করেছেন খর্ব। লজ্জায় মাথা ঠুকে ধুকে ধুকে প্রায়:শ্চিত করতে করতে জাতি যখন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী সাহেবের কৃত-কুকর্মের খেসারত দিতেছিল ঠিক তখনই তিনি আরেকটি কর্ম করে বসলেন; যা বিএনপি ও জামাত আয়োজিত নাটকে অভিনয়ের পাঠ নিয়ে। যে নাটকটি জাতি প্রত্যক্ষ করে যাচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট নাম রূপে। ঐ নামে আবার সুগন্ধি হিসেবে যুক্ত করেছে “জাতিয়” শব্দটিকে। যার ফলে সুগন্ধিযুক্ত নাটকের নাম হলো জাতিয় ঐক্যফ্রন্ট। আসলে পাগলে কি না বলে আর ছাগলে কি না খায়। গায়ে মানেনা আপনি মোড়ল এইসকল কথাগুলি আজ ষোলকলায় পূর্ণ হলো এই বুড়োদের আড্ডাখানা বা গোল্লাচুটের আসরের মাধ্যমে।
কি করেছিলেন মহান ঐ গামছা গলায় ক্ষমা চাওয়ার মানুষটি। হ্যা তিনি সোনার বাংলা কনষ্টাকশন কোম্পানী খুলে বিভিন্ন কন্ট্রাকটর এর কন্টাক নিয়ে ব্রিজ, কালভার্ট ও সেতু নির্মান কাজে নিয়োজিত হয়ে জাতির উপকারের নামে অপকার করে যাচ্ছিলেন। ময়মনসিংহ থেকে বিড়িশিড়ী যাতায়ত কালে কয়েকটি সেতু নির্মান কাজ তিনি করেছিলেন। আর সেই সুবাধে ঐ অঞ্চলের তথা বাংলাদেশের মানুষ ৭টি বছর অবর্ণনীয় দূর্বীসহ কষ্ঠভরা যন্ত্রনা ভোগ করেছিলেন।
সেই মহান মানুষটি অনেক কুকর্মের মধ্যে একটি উল্লেখ করছি: সেতুটি নেত্রকোণার ঠাকুরা কোনা সেতু। ঠিকাদার ছিলেন কাদের সিদ্দিকী। সম্পূর্ণ কাজের বিল অগ্রীম তুলে নিয়ে সেতু করলেন ৫ বছর পর। কিছুদনি পরই সেটা ভেঙ্গে পরলো। এমনি করে অনেক সেতুর কাজ দীর্ঘায়ীত করেছেন তিনি। ফলশ্রুতিতে আমরা আম জনতা বলতে পারি কি?! এরাই কি তাহলে এখন জাতির হাল ধরতে চায়। আগামী সংখ্যায় আরো বিস্তারিত প্রমানসহ লিখার আশা রাখছি।