শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

shahajala Islami bank neyagআবারো শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
আবেদনের শেষ তারিখ: ১৯ নভেম্বর, ২০১৮
বিস্তারিত নিচের বিজ্ঞাপনে
যদি আপনি মার্কেট অপারেশন বা টাকাপয়সার লেনদেনের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে থাকেন কিংবা ফাইন্যান্স ও অর্থনীতির উপর কাজ করতে চান, তাহলে একজন ব্যাংকার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। রিটেইল বা হাই স্ট্রিট ব্যাংকার কিংবা কর্পোরেট বা ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার হিসেবেও ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। চলুন জেনে আসি, কীভাবে একজন ব্যাংকার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব।
একজন ব্যাংকার কী কী কাজ করে থাকেন?
ব্যাংকিং খাতে মূলত দুই ধরণের ব্যাংকার রয়েছেন। রিটেইল বা হাই স্ট্রিট ব্যাংকার ও কর্পোরেট বা ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার। চলুন জেনে নেয়া যাক, একজন রিটেইল বা হাই স্ট্রিট ব্যাংকারের কাজগুলো,
ব্যাংকের অন্যান্য টিমকে (যেমন: ফাইন্যান্স, অর্থনীতি, হিসাবরক্ষণ ইত্যাদি) ট্রেইনিং করানো, ম্যানেজ করানো ও রিক্রটমেন্টে সাহায্য করা।
ফ্রন্ট লাইনের কাস্টোমার হেল্পে সাহায্য করা।
হেড অফিস থেকে যেসব নতুন পণ্য, সার্ভিস ও প্রসেস যুক্ত করা হয়েছে বা হবে, সেগুলোর দেখাশোনা করা।
ব্যাংকের জন্য মার্কেটিং প্ল্যান তৈরি করা।
ব্যাংকের ব্র্যাঞ্চ প্রতিদিন একই সময়ে চালু করা।
সেলস টার্গেট পূর্ণ করা ও বাজেট সংক্রান্ত সমস্যাগুলো ম্যানেজ করা।
কাস্টোমারের সমস্যাগুলো চিঠি, মেইল ও সরাসরি সমাধান করা।
কাউন্টারের মনিটরিং করা।
কাস্টোমারের চাহিদা সম্পর্কে অবগত হওয়া ও সে অনুযায়ী পণ্য ও সেবার ব্যবস্থা করা।
বিভিন্ন ধরণের অ্যাকাউন্টজনিত সমস্যার সমাধান করা ও সেলসের পেপারওয়ার্ক করা।
নতুন নতুন পণ্য, সেবা ও প্রসেসের সাথে যুক্ত থাকা ও সেগুলো আয়ত্ব করা।এখন চলুন জেনে নিই, একজন ইনভেস্টমেন্ট বা কর্পোরেট ব্যাংকারের কাজগুলো,
বিভিন্ন ধরণের ফাইন্যান্সিয়াল মডেল তৈরি করা।
ভ্যালু ডেট, ইক্যুইটি মার্জার, অ্যাকুইজিশন এবং ক্যাপিটাল রাইজিং ট্র্যাঞ্জেকশনের ব্যবস্থাপণা করা।
বিভিন্ন ধরণের ভ্যালুয়েশন মেথড তৈরি করা।
কম্পেরেবল কোম্পানি, প্রিসিডেন্ট ও ডিসকাউন্টেড ক্যাশ ফ্লোর (ডিসিএফ) ব্যবস্থাপণা করা।
প্রোডাক্ট অফারিং, প্রাইভেট ইক্যুইটি ট্র্যাঞ্জেকশন, মার্জার ও অ্যাকুইজিশন এবং ভ্যালুয়েশন সম্পর্কে রেকোমেন্ডেশন ডেভেলপ করা।
ক্লায়েন্ট ফাইন্যান্সিং, ইনভেস্টমেন্ট মেমোরেন্ডাম, ম্যানেজমেন্ট প্রেজেন্টেশন এবং পিচবুক ডেভেলপ ও মনিটরিং করা।
ব্যবসার প্রসারের জন্য ক্লায়েন্টের সাথে রিলেশনশিপ ডেভেলপ করা।
ডিউ ডিলিজেন্স ও লাইভ ট্র্যাঞ্জেকশন রিসার্চ, অ্যানালাইসিস ও ডকুমেন্টেশন করা।
ক্লায়েন্টের পোর্টফোলিও তৈরির জন্য প্রেজেন্টেশন ডেভেলপ করা।
বিভিন্ন ইভেন্ট, ক্রিটিক্যাল ইস্যু ও রেলেভেন্ট খবরাখবর সম্পর্কে মনিটরিং করা।
একজন ব্যাংকারের ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?
রিটেইল কিংবা ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং খাতে ক্যারিয়ার গড়ার পূর্বে ইক্যুইটি রিসার্চার, সেলস এন্ড ট্রেডার, কমার্শিয়াল ব্যাংকার, ডিউ রিসার্চার, ট্র্যাঞ্জেকশন অ্যাডাভাইজার অথবা ভ্যালুয়েশনার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। উপরোক্ত পদগুলো থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে কর্পোরেট ডেভেলপার, ইনভেস্টর রিলেশনশিপ বিল্ডার, ট্রেজারি, ইন্সটিটিউশনাল রিসার্চার, পোর্টফোলিও ম্যানেজার অথবা ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।
একজন সিনিয়র লেভেলের ব্যাংকার হওয়ার পুর্বে আপনার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে ব্যাংকিং খাতের অন্য রকমের কিছু পেশার দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকলে, তাতে আপনার জন্য ব্যাংকার হওয়াটা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.