প্রায়শই দেখা যায় বিভিন্ন মন্তব্য নিয়ে একটি পোষ্ট দেয়া হয় দলীয় নামের একটি আইডি থেকে। এই আইডিকে কেন ব্লক করা হচ্ছে না বা এই আইডির মালিক কে? কেন তাকে খূঁজে বের করা হচ্ছে না তা সচেতন মহলের চিন্তায় বোধগম্য নয়। তবে যাই বলুক বা লিখুক তা কিন্তু দলীয় সংর্কীর্ণতার এমনকি সুযোগ-সন্ধানী মানুষের লোভাতুর স্বভাবের বহি:প্রকাশই মাত্র। কখনো দেখা যায় মন্ত্রী মহোদয়কে নিয়ে আবার কখনো দেখা যায় ওনার এপিএসকে নিয়ে আবার কখনো দেখা যায় অন্য কোন সমর্থক বা নেতাকে নিয়ে বিদ্রুপাত্মক ও কুরুচিপূর্ণ দল ও আদর্শের বিরোধী বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। এই আইডি থেকে অন্তত এই ধরনের দুমুখো সাপের আচরণ আশাও করা যায় না এবং বরদাস্তাও করা উচিত নয়।
আমি একজন আওয়ামী লীগ কর্মী বা সমর্থক এমনকি নিরপেক্ষ মানুষ হিসেবে এই ধরণের উক্তির তিব্র প্রতিবাদ জানাই।
এককালে জনাব এডভোকেট শাহ আলম সাহেব বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ব্যানারে নির্বাচন করে জয়যুক্ত হয়েছেন। এটা তাঁর কোন গুণ বা দয়ার বদৌলতে নয় বরং এটা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠন ও কর্মী সমর্থকদের প্রচেষ্টার ফসল। আর সেই ফসলকে কেন্দ্র করে তিনি নিজে এবং তাঁর আশে-পাশের মানুষগুলি রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হয়েছেন যা এখনও দৃশ্যমান। হ্যা তিনি কিছু কিছু ভাল কাজও করেছেন যা ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর ওয়াদার ফসল। ব্যক্তিগতভাবে তিনি কিছুই করেননি আর যদিও বর্তমানে কিছু দৃশ্যমান তা হলো সরকারের অর্থ ও উন্নয়নের বহি:প্রকাশ। তবে সরকারের অর্থে তিনি নিজের নামে কিছু উন্নয়নের ছাপ বৃদ্ধমান রেখেগেছেন। যেটা করা উচিত হয়নি।
ওনার সময়ে একটি কাজ হয়েছে যা দলকে নিস্তেজ এবং নিস্ব করার জন্য যথেষ্ট ছিল। দলে সম্মানীতদের অসম্মান করেছেন এবং অন্যদলের লোকদের নিজ দলে পদায়ন করে নিজে ফায়দা লুটেছেন। এতে করে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের মনে বিরুপ ধারনা সৃষ্টি হয়েছে এমনকি দলের প্রতি বিমুখতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছিলেন বিধায় দল তার উপর থেকে মুখ ফিরিয়ে একজন যোগ্য লোককে দল গোছানো এমনকি উন্নয়নের সোপান দৃশ্যমান করার কাজে সঠিক লোক নির্বাচন করে দিয়েছেন; যা এখন সকলের সামনেই দৃশ্যমান।
স্লোগানটি আসলেই অজ্ঞ এবং কান্ডজ্ঞানহীন মানুষের তৈরী। যার জন্য এই কাপাকাপিতে নিজেরাই এখন ধ্বংসম্মুখ। রাজপথ কাপানোর কি প্রয়োজন। কারণ মানুষ শান্তি ও শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তায় জীবন যাপন করে যাচ্ছেন। এখানে কাপাতে এসে অন্যের সুখের মধ্যে আগুন লাগানো ছারা আর কি হতে পারে। শাহ আলম ভাইতো কোন দৈত্যও নন, তিনি একজন রক্তে মাংসে গড়া মানুষ। তাই তার আভির্ভাবে কোন পথই কাপবে না বরং তাকে থমকে দাড়াতে সাহায্য করবে। হ্যা তিনি আসতে পারেন এবং আসবেন। কারন এইটা তার জন্মস্থান এবং নির্বাচনী এলাকা। তিনি সাবেক এমপিও বটে। তাই তাঁর দল যাকে মনোনয়ন দিবেন তিনি তার পক্ষেই কাজ করবেন এবং করতে হবে এটাই স্বাভাবিক। দলের প্রতি নূন্যতম কৃতজ্ঞতাবোধ থাকলে তিনি দলের পক্ষে কাজ করবেন এবং তার অনুসারীদেরকেও কাজে নামাবেন।
যেহেতু এই আসনটি পূর্বনির্ধারিত হয়ে আছে জনাব আনিছুল হকের জন্য, সেহেতু এই আসনে আর কেউ নতুন করে আসার সম্ভাবনা নেই বরং জনাব হক সাহেবের বিজয় সুনিশ্চিত। তিনি তার মেধা, অর্থ এবং যোগ্যতা ও প্রজ্ঞতা দিয়ে সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডকে জনগনের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি সরকার এবং জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে একটি যোগসূত্র স্থাপন করেছেন যা বিনিসুতোর মালার মত নিশর্ত বন্ধনে জড়ানো। এখানেই স্বার্থকতা যে, জনাব আনিছুল হক সাহেবের কাজ হলো এলাকা তথা রাষ্ট্রের সেবা করা আর তিনি নিশ্চিন্ত মনে তাই করে যাচ্ছেন এবং আগামী দিনেও যাবেন। এলাকার আপামর জনসাধারণ তাকে এই সেবা করার কাজে সহায়তা করে যাচ্ছে এবং যাবে। তাঁর এলাকায় এসে ভোট চাওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই। তিনি নির্ভার এই একটি বিষয়ে। কারণ জনগণ, দল মত ও পথের মানুষগুলি নিরবে কাজ করে যাচ্ছে তার(এডভোকেট আনিছুল হকের) নিশ্চিত বিজয়ের জন্য। আরেকটি বিষয় স্পষ্ট লক্ষ্যনীয় যে, জনাব আনিছুল হকের প্রতিনিধি হিসেবে মাঠে ময়দানে চষে বেড়াচ্ছেন জনাব রাসেদুল কাউছার জীবন ও কসবা আখাউড়ার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সকল কর্মী ও সমর্থকবৃন্ধ। যা এখন দৃশ্যমান। যেহেতু এই জোয়ারে সকল আবর্জনা ভেসে পরিস্কার হয়ে গেছে সেখানে আর এলাকার জনপদ কাপানোর কোন প্রয়োজনীয়তার আবশ্যকতাও নেই। এই কসবা-আখাউড়া এখন নিশ্চিত আওয়ামী লীগের জন্য এক দূর্ঘ।
জনাব আনিছুল হক রাজপথ, জনপথসহ সকল কিছুতেই শান্তি দিয়ে যাচ্ছেন। যেখানেই কাপাকাপি এবং সমস্যা সেখানেই আনিছুল হকে শান্তি, আনন্দ, আশা ও ভরসার সুখমিশ্রীত কাজ মানুষকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যুগিয়ে যাচ্ছে। আর সেই প্রেরণাতেই প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন ও স্থীতিশীলতা বিরজামান রয়েছে সমান্তরাল গতিতে। তাই ঐ নির্বোধ আহাম্মকদের বলছি ঐ ধরনের প্রচরনা থেকে বের হয়ে এসে সাম্যের কাতারে দাঁড়িয়ে বিজয়ের গান পরিবেশন করুন।
কসবা-আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪) আসনটি ছিল জাতীয় পার্টির এবং এই জাতীয় পার্টি থেকে বিএনপি এটিকে ছিনিয়ে নিয়েছিল অর্থের বিনিময়ে। পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই আসনটি দখল করে এবং এই শাহ আলম সাহেবের হাত ধরেই। পরবর্তীতে আবার হারিয়েও যায় এমনকি পুনরুদ্ধারে কোনরকমে শাহ আলম সাহেব ভেসে উঠেন। আর ঐ ভেসে উঠাতেই যত সমস্যা এবং সেই থেকে দল খুজেছে একজন নিরপেক্ষ, সৎ ও যোগ্য পরোপকারী মানুষ। কারণ এই আসনটিকে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের করার জন্য। সেই লক্ষ্যেই আনিছুল হক এগিয়ে এসেছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার গ্রহণ করে। সেই উপহার এখন কসবা-আখাউড়ার প্রতিটি ঘরে ঘরে। জনাব হক সাহেব এই আসনটিকে আওয়ামী লীগের ঘাটি হিসেবে স্থায়ী রূপ দিয়ে নেতৃর্ত¡কে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে তৃণমূল থেকে উপজেলা পর্যন্ত সাজিয়েছেন যেন আগামীদিনে একটি ইতিহাস ও দৃষ্টান্ত হয়ে থাকতে পারে। এই ধারাবাহিকতায় অন্যান্য অঞ্চলেও রাজনীতির চলমান ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।
সময় এখনও আছে সকল বিভেদ ভুলে লোভ লালসার উদ্ধে উঠে দলের প্রতি আনুগত্য এবং দেশের প্রতি ভালবাসা প্রকাশের। এই সময় ও সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে স্ব স্ব অবস্থানে গর্ব করার উপযুক্ত করে তুলুন। কি পেলাম বা কি হারালাম অথবা কি পাব সেই আশা ত্যাগ করে কি দিতে পারি এবং কিভাবে দিব তা নিয়ে এগিয়ে আসুন। মতভোদ ও ছোটখাট ভূলবোঝাবুঝি থাকবে বৃহৎ এই পরিবারে থাকাটাই স্বাভাবিক। তাই প্রকাশ্যে কোন দ্বন্ধ বা বিদ্ধেষ এবং ঘরের কথা পরে জানল কেমনে; এই চরিত্রের রূপকার যেন না হই। ঘরের শত্রু ভিভিষনও যেন না হই। দলীয় ঐক্যে জড়ো হয়ে আনিছুল হকের মাধ্যমে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করি।
কসবার শতভাগ বিদ্যুতায়ন, উন্নত রাস্তাঘাট, পরিকল্পিত থানা ভবন, সিমান্ত হাট, আন্তনগর রেল ষ্টপেজ, স্কুল, কলেজ, মসজিদ-মাদরাসার উন্নয়ন, স্কুল কলেজ সরকারীকরণ, হিংসা বিদ্দেষ হ্রাস, দল-মত নির্বিশেষে সামাজিক ঐক্য, নিজস্ব অর্থে ব্রীজ নির্মান, বিভিন্ন দান, বিনা খরচে রেকড সংখ্যক সরকারী এবং বেসরকারী চাকুরী দান, আরো অসংখ্য উন্নয়ন যার পরিসখ্যান দিতে হাজারো ঘন্টা সময়ের প্রয়োজন; এইগুলি কার অবধান একটু ভাবুনতো!। তারপর এই নির্ভিক, নিলোর্ভ মানুষটিকে নিয়ে বা তার আদর্শীক কর্মীদেরকে নিয়ে সমালোচনা করেন। ইতিবাচক ও গঠনমূলক ভাবে যেন নেতিবাচক না হয়। মানুষের ভুল হবেই এবং এই ভুল থেকেই শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাবে আগামীর প্রত্যাশিত কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে। জয় হউক কসবা-আখাউড়ার সর্বস্তরের মানুষের।