প্রশান্তি আন্তর্জাতিক ডেক্স॥ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ কয়েকজন নেতার সঙ্গে ভারতীয় দূতাবাসের একাধিক কর্মকর্তার কয়েক দফা বৈঠকের খবর পাওয়া গেছে। এসব বৈঠকে ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কাছে কয়েকটি বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে কিছু ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে। তবে এসব ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয় ভারত। ঐক্যফ্রন্টের নেতারা এখন তাদের নেতা ড. কমাল হোসেনের সঙ্গে ভারতীয় কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দিয়েছেন। ঐ বৈঠকে এসব প্রশ্নের আনুষ্ঠানিক উত্তর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে যেসব প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে সেগুলো হলো:
১. তারেক জিয়ার ব্যাপারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অবস্থান কি? তিনি এখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান শরিক। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কি বিএনপি নেতাকে বাদ দিয়েছে?
২. দুর্নীতির অভিযোগে দন্ডিত বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা, বেগম জিয়া ও তারেক জিয়া। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে তাঁদের অবস্থান কি হবে? দুর্নীতিবাজরা কি রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারে?
৩. বিএনপির টিকেট নিয়ে অনেক জামাত নেতা নির্বাচন করবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বলেছিল, তাঁরা জামাতের সঙ্গে ঐক্য করবে না। এটা তাহলে কি?
৪. ২০ দলীয় জোটে অনেক দক্ষিণপন্থী এবং ভারত বিরোধী রাজনৈতিক দল রয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কি তাঁদের নিয়ে ঐক্য করবে?
৫. বিএনপির বিরুদ্ধে অতীতে সন্ত্রাসী এবং ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগ ছিল। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদদ দেওয়া হবে না- এই শর্তে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে কিনা?
৬. জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অবস্থান কী?
(একাধিক কূটনৈতিক সূত্রের খবরে জানা যায়, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অ্যাডভোকেট সুর্বত চৌধুরী, আ.স.ম আবদুর রব এবং মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে ভারতের কূটনীতিকরা কয়েকদফা বৈঠক করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রত্যেকেই তাদের নিজেদের মতো করে এ প্রসঙ্গে উত্তর দিয়েছেন। তাদের একজনের বক্তব্য অন্যজনের সঙ্গে পরস্পর বিরোধী। কিন্তু কূটনীতিকরা এ ব্যাপারে ঐক্যফ্রন্টের আনুষ্ঠানিক অবস্থান জানতে চেয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের তিন নেতাই এ নিয়ে ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছে।