আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি গুরুত্ববহ ও আগামীর দিকনির্দেশামূলক পথপ্রদর্শকও বটে। এই নির্বাচনই বাংলাদেশকে নিয়ে যাবে আগামীর কাঙ্খিত গন্তব্যে। তবে এখানেই জনগুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ব্যাপার; আর এই সিদ্ধান্তের দ্বারাই আগামীর বাংলাদেশ এগুবে। এখানে সিদ্ধান্তের স্বাধীন অধিকার এখন জনগণের কাধে। কিন্তু এই অতিরঞ্জিত স্বাধীনতা ভাল না; কোন কোন সময় এই স্বাধীনতা ভাল ফল নিয়ে আসে কিন্তু বেশীরভাগ সময় ভুল পথে পরিচালিত হয় আর এই নজির হাজারো। বাংলাদেশের মানুষ আবেগ প্রবন এবং হুজুগে পাগল; তাই এই দুইয়ের সংমিশ্রনে ভয়াবহতার দিকেই ধাবিত হয় এবং অতিতেও হয়েছে। আগামী দিনকে নিয়ে এখন ভাবার বিষয় বটে।
সময় এসেছে সকলে মিলে ঐ ভয়াবহতা থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য সঠিক ও যোগপযোগী সিদ্ধান্ত এবং চলমান উন্নয়নকে অগ্রগামী রেখে এগিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজতে হবে। জাতীর কান্ডারীকে তরী ধরে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে যাতে তিনি আবারো ঐ পালে হাওয়া লাগিয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেন।
একটি আওয়াজ শোনা যায় গনতন্ত্র এবং স্বাধীনতা ও স্বচ্ছতা বিষয়ক এবং একটি জাতিয় ঐক্য। এই আওয়াজের ফলে ব্যবহৃত শব্দগুলিকে কলঙ্কিত করা হয়েছে মাত্র। আমাদের দেশে এখনও ভাল এবং অপরের মঙ্গল কামনা করার মত নির্ভেজাল মানুষ রয়েছে। ভাল ও মন্দ বোঝে এগিয়ে যাওয়র এবং নেওয়ার পথদর্শকও রয়েছে। তাই দাগী এবং অনুত্তীর্ণ ঘুণেধরা মানুষগুলি কেন যেন ঐ দুবৃত্তায়নের ছায়াতলে থেকে জাতিকে অন্ধকারময় আলোবর্তীকার স্বপ্ন দেখাচ্ছে এবং বোকার স্বর্গে বসবাস করানোর ফন্দিফিকির আটছে তা বিবেকবান মানুষের কাছে বোধগম্যতো নয়ই বরং যন্ত্রনার এক কারনও বটে।
এই নির্বাচনে মুক্তিযোদ্ধের পক্ষের শক্তি এখন একাট্টা হয়ে গাটছাড়া বেধে হাটু থেকে কোমড় পানিতে নেমে কর্মযঙ্গ নিয়ে এগুচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শিবীরও মরনাস্ত্র নিয়ে মরন কামড় দিতে ফন্দি ফিকির বাস্তবায়নে সুচতুরভাবে ব্যবহার করছে চিহ্নিত কিছু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বুদ্ধিবেশ্যারূপী বা বহুরূপী রকমারী মানুষগুলোকে। যারা আজ ক্ষমতার মোহে অন্ধ এবং যুদ্ধপূর্ব এবং পরবর্তী সময়ে দেশের বারোটা বাজানোদের সহযোগীতার হাতকে পর্দার আড়াল থেকে সমর্থন দিয়ে এগিয়ে দিয়ে আসছিল। এই মুখোশধারী ধরাছোয়ার বাইরের মানুষগুলো এখন খোলস পাল্টিয়ে নতুন বোলে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে নিলজ্জ্ব ও বেহায়াপনার সকল ধৃষ্টতা পরিহার করে অমায়িক ও অমানবিক শিশুশুলবতা নিয়ে।
এখনও জাতী সর্বনাশ এবং সর্বনাশার কবলে পড়েনি; তবে একবার পড়েছিল ৭৫এর ১৫ই আগষ্টে। কিন্তু সেই থেকে শিক্ষা বা দিক্ষার কিছুই নেইনি এই জাতি। যদি নিত তাহলে আজ ঐ পরাজিতরা মজমায় বসে দরুদের স্বরে আওয়াজ তুলতে পারতো না। দেশী ও বিদেশী শক্তির দোসররা আজ সুযোগ খুঁজছে ক্ষমতার মসনদ দখলের। কিন্তু বাধ সাধে এই দেশের জনগন। জনগনের সজাগ দৃষ্টি ও দুরদর্শী চিন্তা এবং প্রসারিত অগ্রগতির জোয়ার সবকিছুকে তছনছ করে ছাড়ছে।
খোকাবাবুরা লাল জুতো পায়ে এগুচ্ছে এবং তাদের সঙ্গে এগুচ্ছে এদেশের জনসচেতন মানুষগুলি পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলিও। সুযোগ কাজে লাগানোর লিপ্সায় এখন সবাই ছুটছে মসনদের ভাগ-ভাটোয়ারার দিকে। কিন্তু কেউ সফল আর কেউ বিফল এমনকি কারো ক্ষেত্রে আশ্বাসের এবং সময়ের অপেক্ষার পালা ঝুলছে মাত্র। দেশকে এগিয়ে নিতে গেলে ঐ সকল ঘুণেধরাদেরও দরকার। কারণ তারা যদি সঙ্গে থাকে তাহলে সমস্য সৃষ্টিতে মনযোগ থাকবে কম আর যদি বাইরে থাকে তাহলে সমস্যা সৃষ্টিতে সর্বক্ষণই ব্যস্ত থেকে উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত এমনকি সরকারকে স্থীতিশীল সুস্থধারার গুণগত পরিবর্তন আনয়নে বাধাস্বরূপ কাজ করবে। এতে বিদেশী শকুনের বুবুক্ষ থাবায় তছনছ হয়ে যাবে আমাদের সাজানো আগামীর ভবিষ্যৎ। তাই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী একমাত্র ভরসা ও কান্ডারী হিসেবেই নিজ কাধে দায়িত্ব নিয়ে সকল জঞ্জাল দূরীভূত করার প্রয়াসে কাজ করে যাচ্ছেন। আর তিনিই সফল হবেন এটা বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
বিএনপি-জামাত এর সৃষ্ট বিশ দলে বিষ মিশিয়ে যে তান্ডব লিলা দেখিয়েছিল তা আর কাজে দেবে না ভেবেই তারা এখন জাতীয় শব্দ সংযোযন করে প্রায় ব্যর্থ হয়ে ঐক্যফ্রন্ট নামে নতুন আঙ্গিকে মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আর ভয়াতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। এই ঐক্যফ্রন্টের সামনে নিয়ে এসেছে কতিপয় পরিচিত বুদ্ধিবিক্রি করে খাওয়া দেশের বা স্বাধীনতার পক্ষের পরিচিত মানুষজন। যারা এই পক্ষে সুই হয়ে ঢুকেছিল এবং সকল সুবিধা ভোগ করে ফাল হয়ে বের হয়েছিল। সবই জাতির কাছে স্পষ্ট। এই সুই হয়ে ঢোকার মধ্যে দিয়েই তারা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছিল। কিন্তু তারা এখনও সেই খ্যাতির বিরম্বনাই গ্যাঁ ভাসিয়ে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে এবারই তারা কচ্ছপের ন্যায় চালাকি করতে গিয়ে ধরা খেয়েছে এই পোড়া কপাল বাঙ্গালীর সামনে।
ঐ মানুষগুলোর অন্তরের কথা প্রকাশ না করলেও মানুষের বোঝার বাকি ছিল না কিন্তু বাহ্যিকভাবে যা তারা প্রকাশ করতো তা ছিল সুন্দর বুলি; আর এই বুলি ও আওয়াজ কিন্তু তাদের না; তা বঙ্গবন্ধুর এবং তারা বঙ্গবন্ধুর নাম বিক্রি করেই এগিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু পারেনি বাধ সাধে আরেক ক্ষমতা লোভী ও মাফিয়া ডন এবং আইন ও বিচারের মাধ্যমে দন্ডিত মহা তারকা। তিনি ঐ ঐক্যকে সুদৃঢ় করতে না দিয়ে নিজেই এখন বড় নেতা বনে গিয়ে ঐক্যে বিবেধ সৃষ্টি করেছেন এবং জাতিকে ও বিশ্ব নের্তৃবৃন্দকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়েছেন যে, তোমরা বোকার স্বর্গে বসবাস করছ। শান্তি পাওয়ার কোন কারণ নেই। আমি সর্বেসর্বা এবং আমার ইচ্ছার বাইরে কিছুই হবে না। যদি ঐক্য জয়ী হয় তাহলে আমার আঙ্গুলের ইশারাই চলবে দেশ এবং আইন কানুন।
এখানে একটি ভালো দিক হলো যারা অতি উৎসাহি ছিল এবং ঐ জোড়াতালি দেয়া ঐক্যে ভরসা করেছিল তারা এখন সবই বুঝে সামনের দিকে গন্তব্য ঠিক করতে পারবে। যারা গলা উচিয়ে বড় কথা বলে আশ্বস্ত করেছিল তাদের সেই বড় কথায় আর বিশ্বাস স্থাপন করার কোন সুযোগ থাকল না। সবদিক দিয়েই ইহা এখন বর্তমান সরকার এর পক্ষে আগামীর জয়যাত্রা সুনিশ্চিত হয়েছে মাত্র। ঐক্যের দ্বন্ধ ও বিবেদ প্রকাশ পায় টেলিভিশন টকশোতে এমনকি নানান জনের বিবৃতিতে। ঐক্যে যুক্ত হওয়া স্বাধীনতার পক্ষের পরিচিতজন আজ ঘৃণায় পর্যবসীত হয়েছে এবং আগামী প্রজন্মের কাছে প্রতিনিয়ন জবাবদীহি করে জীবনের ইতি টানতে হবে। এই বিতর্কীত মানুষগুলো আজ জাতীর কীটে পরিণত হয়েছে মাত্র।
নির্বাচন নিয়ে যে সকল বক্তব্য মিডিয়া এবং টকশোতে ভেসে আসছে তা অশান্ত পরিবেশের ইঙ্গিতবাহি। আর এই অশান্ত পরিবেশের জন্য দায়ি থাকবে ঐসকল উস্কানিমূলক বক্তব্যগুলি। বিশদল ও ঐক্যের বিষফোরা বক্তব্য কিন্তু সাধারণ কর্মী সমর্থকদের উষ্কিয়ে মুত্যুকূপে পতিত হতে বাধ্য করছে। তাই সময় এখনও আছে এবং এই শান্ত পরিবেশের ধারাবাহিকতা ধরে রাখুন। অশান্ত করতে চেষ্টা করবেন না। যারা গত দশ বছর ক্ষমতায় ছিলো তাদের কিন্তু আরো শক্তি এবং সামর্থ রয়েছে যারা ধারে কাছেও যেতে ঐক্যের কর্মী ও সমর্থকদের জীবন বিপন্ন হতে বিন্দুমাত্র বিলম্ব হবে না। তাই যেহেতে ১৪দলীয় জোট শান্তি এবং স্থীতিশীলতা বজায় রেখে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরীতে সহায়তা করছে সেহেতু অহেতুক বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য তৈরীর কারিগরে পরিণত না হওয়াই ভালো।
সরকারের বর্তমান রূপরেখা এবং কার্যক্রম যতেষ্ট গ্রহনযোগ্য; এর প্রশংসা না করে পারা যায় না। এইভাবে শেষদিন পর্যন্ত চললে নতুন এক দৃষ্টান্ত স্থাপীত হবে। আমরা আশা করব এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কাছ থেকে আরো যতœশীল হয়ে দায়িত্বশীল আচরণ জাতি প্রত্যক্ষ করবে। ন¤্রতা … সম্মান এবং ক্ষমতা দুই-ই নিয়ে আসে আর অহংকার পতনের সকল কাজ সমাপ্ত করে অন্ধকারের গহ্বরে নিক্ষেপ করে। যারা এখন অহৎকারী এবং বড় বড় আওয়াজ দিচ্ছেন ভেবে দেখেছেন সামনে আপনাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে? ভাবুন এবং আচরণ এবং বিচার বুদ্ধিতে সচেতনতা প্রকাশ করুন।
একটি বিষয় বলতে চাই; যদিও আমার মত ক্ষদ্র মানুষ এই বিষয়ে বলা অনুচিত; তারপরও বিবেকের তাড়নায়ই এই কথাটি বলছি। কাউকে ছোট বা আঘাত করার জন্য নয় বরং ভাবার জন্য। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশনার মহোদয় বলেছেন প্রধানমন্ত্রী কোন ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করতে পারবেন না। এটা অগ্রহণযোগ্য কারণ এই সময়টুকু কি দেশে কোন উন্নয়ন কর্মকান্ড এগুবে না। প্রধানমন্ত্রী একটি পদ “অলংকার”। আর এই অলংকার সব সময়ই তার কাজ পরিচালনা করে যাবেন। হ্যা এইসময়ে তিনি দলীয় আয়োজন এমনকি কর্মকান্ডকে সরকারী কর্মকান্ডের সঙ্গে মিশাতে বা মিলাতে পারবেন না। সুতরাং ভাবার বিষয় ঐ বক্তব্যটুকু নিয়ে। ঐ বক্তব্য দ্বারা আসলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কতটুকু পুরন হয়েছে তা বুঝার শক্তি বা ক্ষমতা আমাকে আল্লাহ তায়ালা এখনও দেয়নি। সরকারে যারা রয়েছে তারা তাদের কাজ করবেন এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন এটাই কাম্য। তবে এদের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এর দোহায় দিয়ে দেশকে পিছিয়ে দেয়া এমনকি নেয়াও যাবে না। বিগত তত্তবধায়ক সরকারগুলো কি না করেছেন ঐ নির্বাচনকালীন সময়টুকুতে। তা একটু খতিয়ে দেখতে আমাদের অসুবিধা কোথায়?
আমি খুব খুশি যে ১৪ দল বা আওয়ামী লীগ ঐ আদেশকে স্বাগত জানিয়েছেন। এটা তাদের মহত্ব এবং তারা যে অংশগ্রহনমূলক প্রতিযোগীতাপূর্ণ নির্বাচন চায় তারই প্রমান বহন করে। আমি জনাব নওফেল সাহেবের টকশোর বক্তব্যের সঙ্গে একমত এবং তাকে সাধুবাদ জানাই সুস্পষ্ট বক্তব্যের মাধ্যমে দলীয় অবস্থান তুলে ধরার জন্য। তবে খুশী হতাম যদি প্রধান মন্ত্রীর পদটুকুকে দলীয় বিবেচনায় না এনে জাতীয় এবং সকলের বিবেচনায় এনে সম্মানীত করতেন। নির্বাচন বা কোন ব্যক্তির খুশী-অখুশীর কাছে ঐ সম্মানীত অলংকারকে ছোট করতে পারি না। আশা করি এই দিকে সকলেই দৃষ্টি দিয়ে আগামীতে কর্মসূচী কথা-বার্তা এমনকি পদক্ষেপ নিবেন।
জনাব ড. কামাল হোসেন সাহেবকে এইদিক দিয়ে ধন্যবান দেয় কারন তিনি প্রধানমন্ত্রীকে সম্মানীত করে বক্তব্য এমনকি তার আকাঙ্খার কথা ঐক্যের ফোরামে জানিয়েছেন। এটা চমৎকার ও গ্রহণযোগ্য। এই ধারার চর্চা হউক। আমরা পত্রিকার সংবাদে দেখেছি জনাব ফখরুল সাহেবও ঐ ৪ শর্তের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। এটা গণতন্ত্রের জন্য ভাল এবং ইতিবাচক দৃষ্টান্ত এমনকি পরমতসহিষ্ণু গুণীজন ও সম্মানীতজনকে সম্মান দেয়ার রেওয়াজকে পুনজ্জিবীত করে সমাজ ও দেশকে সমৃদ্ধি করার একটি ধাপ মাত্র।
প্রধানমন্ত্রী যে দলেরই হোক না কেন তিনি কিন্তু এই সংলাপের মাধ্যমে নিজেকে আবারো প্রমান করেছেন তিনি সকলের এবং সকলের জন্যই তিনি কাজ করছেন এবং করতে চান। তবে তিনি আইন এবং ন্যায় নীতিতে দৃঢ়। এতে কারো অখুশী হওয়ার কারণ নেই বরং তার সঙ্গে একমত হয়েই জাতিকে এগিয়ে নিতে হবে এবং কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সেনাকুঞ্জের বক্তব্য ছিল স্পষ্ট এবং তিনি নির্বাচনে শতভাগ নিশ্চিত জনগণের রায়ের উপর। যদি জনগণ তাকে চায় তিনি আবার দেশ সেবার দায়িত্ব নিবেন আর যদি না চায় তাহলে তিনি সেই রায়কে স্বাগত জানিয়ে দেশ গঠন ও উন্নয়নে সহযোগীতা করবেন। আর যারা নতুন দায়িত্ব নেবেন তাদের এই চলমান উন্নয়ন অগ্রগতিকে এগিয়ে নেয়ার আহবান জানাচ্ছেন। এই সৎ সাহস ও ধৃষ্টতা অতীতে কারো কাছে দেখাতো দুরের কথা আশাও করা যায়নি। কারণ একটাই তিনিতো বঙ্গবন্ধুর কন্যা। হ্যা ৭৫পরবর্তী যত সরকারের আবির্ভাব ঘটেছিল তারচেয়ে বেশী অগ্রগতি ও উন্নয়ন এবং সম্মান এই হাসিনার হাত ধরেই এসেছে। এটা অস্বিকার করার কোন সুযোগ নেই। যদি অস্বিকার করার চেষ্টা করা হয় তাহলে প্রকারান্তরে বাংলাদেশকে অস্বীকার করা হবে। বাপ বেটির এই সাদ্যশ্য পৃথিবীর শেষদিন পর্যন্ত টিকে থাকবে। সততা, আন্তরিকতা, ন্যায়-নিষ্টা, পরোপকার, ভালবাসা, মমতা ও ক্ষমা এবং প্রয়োজনে কঠোর, ধর্মীয় পরহেজগারসহ সকল বিষয়ে সমানতালে অগ্রগামীতা আজ আমাদেরকে সুউচ্চ এক চূড়ায় পৌঁছিয়েছে। তিনি যে নিজে পৌঁছেছেন তা কিন্ত নয়।
পরিশেষে বলতে চাই তার হাত ধরেই দেশ এগিয়ে যাক এবং তাঁর বিজ্ঞতায় সকলকে নিয়ে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি তরান্বিত হউক। দেশের মানুষ বিচার-বুদ্ধি ও বিবেচনাবোধ কাজে লাগিয়ে দৃশ্যমান উন্নয়ন এবং অগ্রগতিকে এগিয়ে নিতে আগামীর রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব তুলে দিক যোগ্য এবং পরিক্ষীত কান্ডারীর হাতে। এই কামনায় আগামীর নতুন এক প্রত্যাশায়।