মির্জা ফখরুলকে ডেকে নেন প্রধানমন্ত্রী

প্রশান্তি ডেক্স॥ গত বুধবার সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। ওই অনুষ্ঠানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড. কামাল হোসেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সেনাপ্রধান লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান অংশ নেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান।Merja Faqrul ka deka nen
আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কুশল বিনিময় হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, গত সেনাকুঞ্জে যখন মির্জা ফখরুল অবস্থান করছিলেন তখন ভাষণ ও বিভিন্ন মহলের লোকজনের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে নিজ প্যান্ডেলে মির্জা ফখরুলকে ডেকে নেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ফখরুলের সঙ্গে কুশন বিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময়ই রাজনীতিতে যারা সৎ, নিষ্ঠাবান ও পরিশ্রমী তাদেরকে পছন্দ করেন। কেবল দলের মধ্যেই নয়, দলের বাইরেও যারা সুস্থ রাজনীতির চর্চা করেন তাদের অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত স্নেহভাজন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি যখন এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করতেন তখন তার অত্যন্ত কাছের মানুষ ছিলেন কমিউনিস্ট পাটির প্রয়াত সভাপতি মোহাম্মদ ফরহাদ। সে সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ে তিনি ফরহাদের উপদেশ ও পরামর্শ নিতেন বলে জানা যায়। ফরহাদের মৃত্যুর পরও কমিউনিস্ট পাটির অনেক নেতার সঙ্গেই তার ব্যক্তিগত ভালো সম্পর্ক ছিলো বলে জানা যায়।
প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠরা বলছে, যারা সুস্থ ধারার ও সৎ রাজনীতি করে তাদের সঙ্গে মতের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী তাদের স্নেহ করেন। তিনি চান না যে সবাই আওয়ামী লীগ করুক রাজনীতিতে যেন সব সময় সুস্থ ধারা বেড়ে ওঠে এটাই প্রধানমন্ত্রীর আকাঙ্খা। এজন্য যারা সুস্থ রাজনীতির চর্চা করেন, প্রধানমন্ত্রী তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল।

Leave a Reply

Your email address will not be published.