তারেককে উৎকোচ দিতে অস্বীকৃতি: নির্বাচন বর্জন করলেন ডা. জাফরুল্লাহ

আনোয়ার হোসেন॥ মোটা অঙ্কের উৎকোচ গ্রহণ করে অযোগ্য, অজনপ্রিয় ও সংস্কারপন্থী নেতাদের মনোনয়ন দিচ্ছেন তারেক রহমান, এমন অভিযোগ এখন চাউর হয়েছে বিএনপির রাজনীতিতে।tarek jaforullah
কিন্তু সমস্যা বাধে যখন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কাছে উৎকোচ চেয়ে বসেন তারেক রহমান। গুঞ্জন উঠেছে, উৎকোচ দাবি করার প্রতিবাদে এবার ড. কামালের পর ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ।
সূত্রের খবরে জানা যায়, গত ২৩ ও ২৪ নভেম্বর স্কাইপিতে দেয়া বিএনপির নমিনেশনধারীদের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তারেক রহমান ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের স্কাইপি ইন্টারভিউ নেয়ার আকাঙ্খা প্রকাশ করেন। এতে রীতিমত ক্ষুদ্ধ হয়ে ড. কামাল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেন।
এদিকে, ২৫ নভেম্বর ইন্টারভিউ দিতে তারেক রহমানের সঙ্গে স্কাইপিতে বসেন ডা. জাফরুল্লাহ। তখন তারেক রহমান ডা. জাফরুল্লাহকে নির্বাচন নমিনেশন বাবদ ৬ কোটি টাকা লন্ডনে প্রেরণের পরামর্শ দিলে ডা. জাফরুল্লাহ অস্বীকৃতি জানান। এই ঘটনার পরই জাফরুল্লাহর এমপি হওয়ার স্বপ্ন ধুলোয় মিশে যায়।
এ প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আমি ডাক্তার মানুষ। অধিকাংশ রোগীদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা দিয়ে থাকি। দেশের কথা চিন্তা করে, বিএনপির ক্রান্তিলগ্নে এগিয়ে এসেছিলাম। তারেক রহমান আমার কাছে নমিনেশন বাবদ ৬ কোটি টাকা উৎকোচ দাবি করেছেন। এতো টাকা আমি কোথা থেকে দিবো। তাই এবারের নির্বাচনের আর অংশ নিতে পারছি না। পাশাপাশি বিপদের দিনে বিএনপির সহায়তা করার পরিণাম বাবদ অপমানিত হওয়ায় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচন বর্জন করলাম।
বিএনপি সর্বদা ঘুষ, দুর্নীতির উপর নির্ভর করে রাজনীতি করে। বিএনপির অতীত ইতিহাস অন্তত তাই বলে। ক্ষমতায় এসে বিএনপি দেশকে ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছিলো। মনোনয়ন নিয়ে বাণিজ্য করে গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের মনোনয়ন না দিয়ে উৎকোচ গ্রহণ করে দুর্নীতিবাজ ও শায়লার মতো তৃতীয় শ্রেণীর নায়িকাদের মনোনয়ন দিলে বিএনপি কখনোই ক্ষমতায় আসতে পারবে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.