প্রশান্তি ডেক্স॥ নির্বাচন নিয়ে ভারতের সঙ্গে বিএনপির কয়েক দফা বৈঠক হয়েছিল। ভারতের মন পেতে তখন বিএনপি অনেক কিছুই করেছে। কিন্তু জামাতকে ত্যাগ করার ভারতের যে প্রধান শর্তটি ছিল সেটিই মানল না বিএনপি। বিএনপি থেকে যে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে সেখানে জামাতের ২৫ জন প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। একাধিক কূটনীতিক সূত্র বলছে ভারত এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ, হতাশ ও হতবাক।
ভারতের সঙ্গে দিল্লিতে বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, হুমায়ুন কবিরের প্রথম যে বৈঠক হয়েছিল সেখানে তাঁরা বলেছিল ধীরে ধীরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হলে জামাতকে তাঁরা বাদ দিয়ে দিবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ার পর তাঁরা বলেছিল জামাত এমনি এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। জামাতের কোনো অস্তিত্ব নেই। এই কথায় ভারত মনে করেছিল বিএনপির হয়তো পরিবর্তন হচ্ছে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর যখন আসন ভাগাভাগি হচ্ছিল তখন ভারতীয় দূতাবাসের দুইজন কর্মকর্তা বিএনপির একাধিক নেতা এবং বিএনপির মহাসচিবকে পর্যন্ত বলেছিল জামাতের কোনো প্রার্থীকে যেন ধানের শীষ প্রতীক না দেওয়া হয়। জামাতের প্রার্থীরা স্বতন্ত্রভাবে একক নির্বাচন করবে এবং তাঁদের মতো করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এই শর্তে বিএনপি একমত হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গিয়ে বিএনপি জামাতের কাছেই নতজানু হলো এবং জামাতের কাছেই আত্মসমর্পণ করল।
এই ঘটনা বিএনপির জন্য বড় কূটনৈতিক বিপর্যয় বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। কারণ শেষ পর্যন্ত ভারতের একটিই চাওয়া ছিল বিএনপি যেন নির্বাচনে জামাতের সঙ্গে কোন গাঁটছড়া না বাঁধে। সেখানেই ভারতের শর্তটি মানল না বিএনপি।