সতর্কতা এবং আচরণ বিধি

Vector-Smart-Object-1-300x127[1]আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের দেশে অনেক শিক্ষনীয় বিষয় পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই শিক্ষনীয় বিষয়গুলিকে সামনে রেখে যদি জাতি সমাজদারভাবে এগিয়ে যায় তাহলে আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে সর্বদিক দিয়ে সমৃদ্ধশালী। আসন্ন নির্বাচনকে ঘীরে চলছে খালি কলসির ভারি আওয়াজ আর ভরা কলসির নিরব ও গ্রহণযোগ্য কাজ। বর্তমানের দিকে তাকালে দেখা যায় মাঝে মাঝে নির্বাচন কমিশনের গর্জন এবং কোন কোন সময় অমীয় বানী আবার কখনো নিরব সম্মতি। সবকিছুতেই যেন এক মুন্সিয়ানা আর সময়ের অপেক্ষা। আবদার অনুযোগ, অভিযোগ সবই যেন গ্রহন ও বর্জন এমনকি কোনটিই নয় ভাবাপন্ন পরিলক্ষিত হয়।
সরকার দলীয় কর্মী, সমর্থক এবং নেতাদের সঙ্গে মিল রেখেই এগুচ্ছে সরকার। তবে সরকারের লোকজন যথেষ্ট সচেতনতা এবং বিজ্ঞতার পরিবাহী বলে দৃশ্যমান হচ্ছে। নির্বাচন এবং চলমান উন্নয়ন এমনকি বিরোধী পক্ষের ছোরা তীরের জবাবেও সতর্ক। এমন সতর্ক এবং অভিজ্ঞতাই বলে রাজনীতি শিখতে এবং শিখাতে শেখ হাসিনার জুরি নেই। নির্বাচন আচরণ বিধি যাতে লংঘন না হয় সেদিকে সকলেরই সতর্ক দৃষ্টি; মাননীয় আইন মন্ত্রী মহোদয় মনোনয়ন জমা শেষে জনতার উদ্দেশ্যে একটি কথাই বলেছেন বৃক্ষ তোমার পরিচয় কি? ফলেই বৃক্ষের পরিচয়। তিনি বলেছেন নির্বাচন কমিশনের আচরণ বিধির বাধ্যবাধকতার কারণে আমি কিছু বলতে পারবো না তাই এই একটি কথাই বলব “ফলেই বৃক্ষের পরিচয়”। শুধু তাই নয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন নির্বচন আচরণ বিধির কারণে আমি ষ্টেজে উঠলাম না। ষ্টেজে উঠলে আচরণ বিধি লংঘিত হতে পারে বা কেউ প্রশ্ন তুলতে পারে। সুতরাং সকল প্রশ্নের উর্ধ্বে থেকে কাজ করা এবং দেশকে এগিয়ে নেওয়াই সময়ের দাবি।
শুধু কি তাই! কথিত নির্বাচন কালীন সরকার বা সরকারে থেকে যাতে সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ না করা হয় সেদিকেও চৌকস দৃষ্টি রেখে এগুচ্ছে স্ব স্ব পদে অধিষ্ঠিত থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করা পদাধিকার এবং নিরপেক্ষতা ও সাম্য/ ভারসাম্য রক্ষাকারী মানুষগুলো। এটাও একটি শিক্ষা এবং দৃষ্টান্ত বটে। একটি উত্তপ্ত অঙ্গিয়গীরীকে কিভাবে শান্ত করতে হয় তা নতুন করে নতুন আঙ্গিকে জাতিকে প্রত্যক্ষ চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে হাতে কলমে শিক্ষা দিয়েছেন আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার চৌকস মন্ত্রীসভা। বিশেষ করে শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা এবং দূরদর্শীতা বিদ্যুতের গতিকেও হার মানায়। সমস্ত পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা এবং একটি নির্বাচনকে নিজের পক্ষে সকলের সমস্বরে গ্রহণযোগ্য করে রূপদান করা একমাত্র শেখ হাসিনার কাছেই সম্ভব। পৃথিবীর আর কোন মহা-মানব/মানবী যে নেই এতে আমি ও আমরা শতভাগ নিশ্চিত। রুটিনমাফিক কাজ এগুচ্ছেন এবং সমস্ত কিছুকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যা যা প্রয়োজন তিনি সবই প্রকাশ্যে দৃশ্যমান করেছেন। এখন তাঁর বিকল্প আর কোন প্রতিদ্বন্ধী নেই। তিনিই তাঁর প্রতিদ্বন্ধী। তিনি প্রতিদিনই নিজের সঙ্গে নতুন নতুন প্রতিদ্বন্ধীতা করেন এবং নতুন করে বিশ্বকে শিক্ষা দেন।
ষড়যন্ত্র এবং ষড়যন্ত্রকারীরা তাঁর কাছে আজ পরাজিত ও পরাভূত। কোন ষড়যন্ত্রই যেন কাজে লাগছে না। বরং ছাগলের তিন বাচ্ছার তৃতীয়টি; যেটি দুধ না খেয়ে বা না পেয়েও লাফায় সেইভাবে লোকচক্ষুর দৃষ্টিগোচর হচ্ছে। মহান এই মানুষটিকে সৃষ্টিকর্তা দীর্ঘায়ূ করুক যেন এই দেশটাকে চীরস্থায়ী শান্তির আবাস ভূমীতে পরিণত করে স্থৃতিশীলতা বিরাজমান রেখে এগিয়ে যেতে পারেন। মানুষে মানুষে বিভেদ থাকতে পারে কিন্তু শেখ হাসিনাতে পৃথিবীর কোন মানুষেরই আর বিভেদ ও বিভাজন নেই। হ্যাঁ একটি চিরন্তন সত্য হলো এদেশীয় রাজাকার, আলবদর, আল শামস্, বিএনপি এক কথায় স্বাধীনার শত্রু এবং এর পক্ষের শক্তির বিভাজন এখনও দৃশ্যমান। তবে ঐ দশ্যমান অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে এবং বেশীরভাগ মানুষ স্ব স্ব ভুল বুঝে অনুতপ্ত হয়ে ফিরে আসছে। আর যারা এই দেশকে এখনও মেনে নিতে পারছে না তারা বিভিন্ন কৌশলে জাতিকে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে এবং একটি বিভাজন রেখায় সরল প্রকৃতির মানুষগেুলোকে স্বার্থ হাছিলের জন্য কর্দমাক্ত করে ব্যবহার করছে মাত্র। তবে ঐ ব্যবহারের মাধ্যমেই এখন জাতির সামনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রতিয়মান হয়েছে দেশের স্বার্থ রক্ষায় এবং উন্নয়নের জন্য কাদের প্রয়োজন আর কাদের বিসর্জন দেয়া দরকার।
এই প্রয়োজনীয়তাকে সামনে রেখেই জাতি এখন একটি মাইল ফলক নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই আগামীর রুন্দর ও সমুজ্জ্বল ভাগ্য নির্ধারিত হবে। জাতীর ভাগ্যাকাশে যে ঘন ঘন দুর্যোগ উদিত হতো তা থেকে নিস্কৃত পাওয়া শেখ হাসিনার হাত ধরেই এসেছে এবং আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে। আগামীর প্রয়োজনীয়তা নিরসনকল্পে এবং কিছু জটিলতা এমনকি স্বপালিত দৃষ্টিকটু সমস্যাসংকুল অবস্থা থেকে বের হয়ে আসার জন্য এখই পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করতে হবে। জাতি যে আস্থা ও বিশ্বাস এমনকি নির্ভরতা প্রদর্শন করবে তা রক্ষা করতে অঙ্গিকার করে এগিয়ে যেতে হবে। নীতি, ক্ষমতা, আইন-শৃঙ্খলা, সততা এবং সেবার ভারসাম্য প্রদর্শণপূর্বক দৃশ্যমান বাস্তব প্রত্যক্ষ করানো দৃশ্যমান রাখতে হবে।
দেশীয় এবং বিদেশী বিজাতীয় শত্রু নির্ভর ঐক্যফ্রন্ট (কথিত জাতিয় ঐক্য) প্রাথমিক ঘাপটি মারা লুকানো রহস্যের বেড়াজাল উন্মোচন করতে হবে। যতই দিন যাচ্চে ততই প্রকাশীত হচ্ছে ঐ লোভাতুর ঐক্যফ্রন্টের আসল চেহারা। নের্তৃত্বের টানাপোড়নে গোজামিল দিয়ে সামলানো ঐক্যফ্রন্ট এখন দিশেহারা গতিতে চলমান। আন্দোলন এবং জনসমর্থন ও সমান্তরাল একটি সহাবস্থানের সৃষ্টি হওয়া ঐক্যের বেনারে ঘাপটি মেরে থাকা দন্ডিত কুখ্যাত ক্ষমতালোভী, অর্থলোভী মানুষগুলির মোখুশ উন্মোচিত হয়েছে। রাতারাতি নের্তৃত্ব ছিনতাই করে নিয়ে বিশ্ববাসীকে চমক দেখাচ্ছে। যাতে করে সৃষ্টি হওয়া অস্থায় ভাটা পড়ে এবং দেশীয় ও বিশ্ব জনসমর্থন শুন্যের কোটায় গিয়ে ঠেকে। হয়েছেও তাই; এই যাত্রায় আর নতুন কোন রক্ষা কবজে কাজ হবে বলে মনে হয় না। তাই দিশেহারারা আর দিশাও পাবে না এমনকি লুন্ঠিত হারানো ঐতিহ্যের ধারে কাছে যেতে পারবে না। তবে এতে জাতির মঙ্গল হয়েছে। সত্যের জয় হয়েছে। নতুবা জাতি বিভ্রান্ত হয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে নিমজ্জিÍ হতো। এ যাত্রায় বেঁচে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে নিজেদের অতি লোভাতুর অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করীর ফলে।
ফখরুল সাহেব, কামাল সাহেব, মান্না সাহেব, বীর সাহেব, ছুর সাহেব গংরা নিজেদের ফায়দা খাছিলের জন্য দলীয় এবং ব্যক্তি আদর্শ বিসর্জন দিয়েছেন এবং নিজেদেরকে কলংকিত করেছেন যা আর মোচন করা সম্ভব হবে না। যে তিলক কপালে এটেছে তার থেকে মুক্তির অবশিষ্ট কোন বাকি নেই। শেষতক এই ঐক্য বহুধা বিভক্তির চুড়ান্ত পরিণতির দিকে এগুচ্ছে। তাহলে কি লাভ হলো ঐ কথিত ঐক্য করে? জাতি কি দেখতে ও শুনতে এবং বুঝতে পারলো ঐ কথিত এক্যের অনবিজ্ঞ অল্প কয়েকদিনের রাজনীতি থেকে। মন্দের ভালো বলে একটি কথা ছিল আর তা বাস্তবায়ীত হলো এক্যফ্রন্টের ঐ দৃশ্যমান প্রমানের মাধ্যমে।
বিতর্কীতদের নির্বাচনে মনোনয়ন এবং নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিভিন্ন বক্তর্ব্যরে মাধ্যমে গলা শুকানোর আর প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে হয় না। তবে স্বার্থ্য হাছিলের জন্য আর ঐ ধরনের মিথ্যার বুলি এবং অন্যের উপর দোষ চাপানোর দিন এখন প্রায় শেষ। যা ভাল তাই নিয়ে এগুনোর জন্য জাতি আহবান করছে। একটি কথা আছে যে, “শেষ ভাল যার সব ভাল তার” এই কথার নিতীতে এগিয়ে আসার এখনই সময়। তাই সময়কে কাজে লাগানো প্রয়োজন। যারা অতিলোভ সামলাতে গিয়ে দিশেহারা হয়েছেন এবং নিজেদেরকে বিলীয়ে দিয়েছেন তাদের গতিহীনতা কিন্তু জাতির জন্য আরেক ধরনের শিক্ষাও বটে। এই শিক্ষাও কাজে লাগাতে পারলে আগামীর জন্য মঙ্গল বার্তাই বয়ে আনবে।
যে সচেতনতার জোয়ার বইছে এবং নির্বাচন কমিশন এ পর্যন্ত যা করতে সক্ষম হয়েছেন তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পারলে জনগণ উপকৃত হবে এবং নির্বাচন নামক আওয়াজ ও সময় দুটোই গভীর মূলে শীকড় গাঁথবে বলে দেশী ও বিদেশী ভাবুকদের ভাবনায় পরিণত হবে। একটি বিষয় স্বীকৃতী পেয়েছে যে, দেশের নির্বাচন এবং দেশীয় উন্নতির জন্য দেশীয় জনতা এবং আইন – কানুনই যথেষ্ট। এখানে বাইরের খবরদারীর প্রয়োজন ফুরিয়েছে। গলা ফাটিয়ে এবং টাকা উড়িয়ে সেই ভয়ানক নাক গলানোর দিন এখন শেষের পথে। তাই নতুন নতুন চমক ও শিক্ষা এই নির্বাচন ঘীরেই আভির্ভূত হয়েছে এবং হবে। বিদেশ নির্ভরতার ভিত্তিমূলে কুঠারাগাত পরিলক্ষিত হচ্ছে। তবে একজনই যথেষ্ট জাতিকে ডোবাতে আর একজনই যথেষ্ট জাতিকে উঠাতে। তাই যিনি জাতি এবং দলকে ও ঐক্যকে ডুবিয়েছেন তিনি কিন্তু আর কেউ নন; তিনি আমার আপনার অতি পরিচিত সেই কুখ্যাত তারকা। তার ছোয়াই শেষ অস্তমিত সূর্য্যরে বিলীনতা প্রদর্শীত হবে। জাতি অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে যাতে সেইদিনটি দ্রুতলয়ে এগিয়ে আসে এবং গভীর অন্ধকারে সকল অপশক্তি নিমজ্জিত হয়।
দেশ, জাতী এবং নির্বাচন একসূত্রে গেঁথে উঠুক। আইন-শৃঙ্খলা এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা সাম্যের ভিত্তিতে রচিত হউক আগামীর জন্য। যারা এই অসাধ্য কাজটুকু করে যাচ্ছেন তাদেরকে সালাম এবং তাদের প্রতি রইলো হাজারো লক্ষ্য কৃতজ্ঞতা এবং খোদার দরবারে লাখো শুকরিয়া। জাতি আপনাদের স্বর্ণাক্ষরে স্মরন করবে এবং আপনাদের দেখানো পথেই এগিয়ে যাচ্ছে ও যাবে। তাই আপনারা নির্ভয়ে এগিয়ে যান এবং সমগ্র জাতির সমর্থন কাজের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করুন ও প্রকাশ করান। সত্যের জয় হউক এবং আপনাদের পরিশ্রম সার্থক হউক। আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রয়াসগুলো আপনাদেরকে উৎসাহ যুগিয়ে যাক আর আমরা অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণীত হয়ে আগামীর দায়িত্ব কাধে নিতে প্রস্তুত হয়ে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আপনাদের জয়গান গাহিতে গাহিতে চিরনিদ্রায় নিদ্রা যাপন করতে চাই। আগামীতে আরো নতুন কিছুর প্রত্যাশায় ….।

Leave a Reply

Your email address will not be published.