প্রশান্তি ডেক্স॥ ভিকারুননিসা নূন স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার পর ওই স্কুলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভিকারুননিসা নূন স্কুলে গেলে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। স্কুলে পৌঁছানোর পর মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। তবে শিক্ষার্থীরা এ সময় মন্ত্রীর কথা না শুনে প্রিন্সিপালের পদত্যাগ দাবি করতে থাকে।
স্কুলে যাওয়ার আগে মন্ত্রী সাপ্তাহিক প্রশান্তিকে বলেছিলেন, শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তিন সদস্যের একটা কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেছিলেন, ‘অভিভাবকরা মিছিল-টিছিল করছেন, বিষয়টা জটিল হয়ে গেল। আমি সেখানে যাচ্ছি। গত সুমবার শুনেই আমি যথাসম্ভব তথ্য নিয়েছি। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আমি কথা বলেছি। আমি তাদের বলেছি, আপনারা আইনগত দিকটা দেখেন, কারণ এরমধ্যে ক্রিমিন্যাল ব্যাপার আছে একটা। আর আমরা আমাদের বিষয়টা দেখব।’ ভিকারুননিসা শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা : মন্ত্রণালয়-স্কুলের দুই কমিটি।
গত সোমবার দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় অরিত্রি। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অরিত্রির আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে গত সুমবার তারা বাবা দিলীপ অধিকারী বলেছিলেন, অরিত্রির স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। গত রোববার সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের ডেকে পাঠায়। গত সোমবার স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, অরিত্রি মোবাইল ফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের (টিসি) সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার মেয়ের সামনে আমাকে অনেক অপমান করে। এই অপমান এবং পরীক্ষা আর দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় অরিত্রি।