আসন্ন নির্বাচনে মানুষের মত ও পথের ভিন্নতা দূরীকরণের স্বার্থে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করা অত্যাবশ্যক বা ফরজে আইন হয়ে দাড়িয়েছে। নির্বাচন যতই এগুচ্ছে ততই এর বাস্তবসম্মত জোরালো দাবী ঘনীভূত হচ্ছে। আমরা আশা করব সরকার এই জোরালো দাবীর প্রতি গুরুত্ব দিয়ে অতি সতর্কতার সহিত অতি প্রয়োজনীয় কাজটুকু সম্পন্ন করিবেন।
অতি সম্প্রতি মার্কিন দুতাবাসও পূর্বাভাস দিয়েছেন ঐক্যফ্রন্ট বা বিএনপি গনতন্ত্রের জন্য হুমকীস্বরূপ। পৃথিবীর অন্যদেশ বা ঐসকল দেশের মানুষ যদি বুঝতে পারে তাহলে আমরা বাঙ্গালীরা কেন নয় এমনকি সরকার, প্রশাসনসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন সম্মানীতরা কেন নয়? শেখ হাসিনার সরকার সন্ত্রাস এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। দূর্নীতি এবং আইনের স্বচ্চতা, জবাবদিহীতা, ন্যায়-পরায়নতা সকল ক্ষেত্রেই এখন জিরো টলারেন্স নীতি পর্যবসীত হচ্ছে। এতে কারো কারো গাত্রদাহ হচ্ছে আবার কারো কারো পোয়া বারোও হচ্ছে। তবে এর সফল ও সুফল ভোগ করতে সাধারণ আম-জনতাকে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। সুযোগ দিতে হবে ঐ শিশু বয়স থেকে বয়োবৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে দেশের কাজে জনগনের আশা ও ভরসায় পরিণত হতে।
স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং অবাধ বিচরণেও বিশ্বাসী কিন্তু অতিরঞ্জিত স্বাধীনতা ও বিচরণে আমি শংকীত এবং বিশ্বাসী নয়। কারণ ঐ অতিরঞ্জিত স্বাধীনতা জাতির ভাগ্যাকাশে বহুবার সর্বনাশ এবং বিপদ ডেকে আনার সমূহ সম্ভাবনা উকি দেয় ও দিয়েছে এমনকি দেয়ার হাতছানি দিচ্ছে। শয়তান জীবিত আর ঐ শয়তানের দূসররাও হন্যে হয়ে ছুটছে নেতিবাচক এবং সর্বনাশের কিছু একটা করার জন্য। এই নির্বাচনে বহুরূপী মানুষগুলি মিনিটে মিনিটে এবং সেকেন্ডে সেকেন্ডে রং বদলাচ্ছে। সাবধান ঐ বহুরূপী মানুষদের কাছ থেকে। একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে আমাদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে যে, ঐক্যফ্রন্ট তাদের নেতাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন যে, কর্মী ও ভোটারদের যেন এই বার্তাটি দেয়…. সবাই এখন আওয়ামী লীগ হয়ে যাও এবং চারিদিকে আওয়ামী লীগের জয় জয়াকার যেন প্রকাশ পায়। আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্যকিছু নেই। নির্বাচনে তারা ঐ আওয়ামী লীগ এর লেবাস এবং আওয়াজ দিবে; সবাই ভোট কেন্দ্রে যাবে আওয়ামীলীগ হয়ে এবং ভোট প্রদান করবে ঐক্যফ্রান্টকে। যাতে করে নিরবে তাদের বিজয় নিরব বিল্পবে পরিণত হয়। সুতরাং জনতার স্রোত এবং আওয়াজ দেখে আনন্দে আত্মহারা না হয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে সতর্ক দৃষ্টিতে নিজেদের বিজয়টুকু ছিনিয়ে আনুন এবং বিজয়ের জয়যাত্রা অব্যাহত রাখুন।
ভোটকেন্দ্র এবং ভোটার ও ভোট দান এর ক্ষেত্রেও জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়ন অব্যাবহত রাখুন। কোন সুযোগ দেয়া যাবে না ঐ স্বাধীনতা বিরোধী চক্রকে। এবারের নির্বাচন শুধু স্বাধীনতার পক্ষে এবং বিপক্ষের। এবারের নির্বাচন শুধু উন্নয়নের পক্ষে এবং বিপক্ষের। তাই সকল ক্ষেত্রেই আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করে যেতে হবে। যাতে স্বাধীনতা বিরোধীরা এই বিজয়ের মাসে তাদের চিরস্থায়ী পরাজয় মেনে নিয়ে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়। কারণ আগামী দিনে জাতি ঐ কলংকিতদের সংগে আর বসবাস করতে চায় না। বরং জাতি চায় নির্ভেজাল একটি স্বত্তা ভেজালহীনভাবে বিশ্বের দরবারে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে। আর এর যে জয়যাত্রা চলমান তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে।
যারা এখন স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে তাদের আগামীর আগমনকে পথরূদ্ধ করুন। তাদের সুন্দর জীবনকে বাকরূদ্ধ করুন। তাদের নির্বিচার নিলজ্জ্ব মিথ্যাচারকে ভয়কট করুন এবং যত্র-তত্র বিনা বাধায় বিচরণকে রোধ করুন। নতুবা সরলমনা মানুষকে তারা ভুল পথে পরিচালিত হতে উৎসাহিত করবে এবং পথ দেখাবে বিভক্তির পথে নেতিবাচকতায় আকৃষ্ট হতে। আগামী ৩০ তারিখের নির্বাচনেই প্রমান করবে এই দেশ স্বাধীনতা বিরোধীদের এবং উন্নয়ম বিমুখ গোমরা মানুষদের না স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির উন্নয়নকামী মানুষদের। তাই সতর্ক এবং সজাগ থাকুন। নিজেদের ভুমিকা এবং দায়িত্ব ৭১এর রনাঙ্গনের আলোকে তেজদৃপ্ত উদ্দীপনায় কাজে লাগান। আবার জিরো টলারেন্স নীতির প্রয়োগে ঐক্যবদ্ধভাবে মেধার বিপ্লব ঘটান।
নির্বাচনী আইন ও আচরণ বিধীর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কোনরকম ঝুকি নিতে রাজি নন। তিনি তাঁর সততার, আত্মবিশ্বাসের এবং ন্যায়-নীতি বাস্তবায়নের জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রেখেছেন। এতে দেশবাসী উপকৃত এবং অন্যান্যদের শিক্ষা নেয়ার একটি দৃষ্টান্তও বটে। তাই তিনি যেভাবে জীবনের ঝুকি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন তা কিন্তু ঐতিহাসিক দৃষ্টান্তে উপনীত হয়েছে। তবে এই দৃষ্টান্ত যেন জাতীর ভাগ্যাকাশে কোন কালোমেঘের ছায়া হয়ে দেখা না দেয় সেইদিকে দৃষ্টি দিতে হবে আমাদের। তিনি একাধারে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও বটে। তিনি শুধু বাংলাদেশের নেত্রী নন। তিনি এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গণের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি দেশের ভাবমূর্তী উজ্জ্বলে / উন্নয়নে/ স্থীতিশীলতায়/ মেধাবৃত্তিক রাজনীতি পরিচালনায় একটি ব্যান্ড। তাঁর কারণেই আজ দেশ সম্মানীত এবং মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত রাষ্ট্রের শিখরের কাছাকাছি এগুচ্ছে। তাই তাঁর চিন্তা-ভাবনাকে শ্রদ্ধা ছাড়া আর কিছুই বলার নেই। বরং বলার আছে তিনি তাঁর সঠিকতা প্রকাশ করেছেন কিন্তু আমাদের রাষ্ট্রের যে দায়িত্ব তাও নিশ্চিত পালন করতে হবে সুচারুরূপে। তাঁর (শেখ হাসিনার) নিরাপত্তায় জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন আসন্ন।
প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশন ও নেতা-কর্মীরা এই বিষয়ের দিকে দৃষ্টি দিবেন এবং অতি দ্রুত পদক্ষেপে এগিয়ে যাবেন, যাতে করে শেখ হাসিনা এখন আমাদের জাতীয় সম্পদ; আর এই সম্পদ রক্ষা করা দল মত নির্বিশেসে সকলের দায়িত্ব। শেখ হাসিনাকে কোন দলের আবর্তে দেখা উচিত নয় বরং তাকে ব্যান্ড এবং দেশের সম্পদের এমনকি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত নেতৃত্বের নেতা হিসেবে চিহ্নিত করে সুরক্ষা বলয়ে রাখা প্রয়োজন। এতে যদি কারো দ্বিমত থাকে তাহলে তারা দেশ এবং জাতির শত্রু। আর ঐ শত্রুদের চিহ্নিত করুন এবং আগামী দিনে তাদেরকে দেশদ্রোহী হিসেবে কঠোর ও কঠিন আইনি ব্যবস্থায় ফয়সালা করুন। এই ক্ষেত্রেও জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়ন যুগের দাবি।
বিজয় দিবস এবং আগামী নির্বাচনের বিজয়ে ভরপুর হউক আমাদের প্রতিটি মানুষ; হ্রদয়, মন এবং জাগ্রত বিবেক। সিদ্ধান্ত নিতে মানুষ এগিয়ে আসুক আগামীর সুপ্রভাত সাবলীল এক নক্ষত্রকণায় বিলাসী অলসতাবিমূখ কর্মচাঞ্চল্য স্থীতিশীল নিশ্চয়তার আলিঙ্গনে। এই আলিঙ্গনেও জড়িয়ে থাকুক জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়ন।