যশোর প্রতিনিধি॥ যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট থেকে জামায়াত নেতা মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাসকে প্রার্থী করায় স্থানীয় বিএনপি সংগঠনের ১৭টি ইউনিয়ন এবং পৌর শাখার সভাপতি-সম্পাদকসহ দুই সহস্রাধিক নেতাকর্মী গণপদত্যাগ করেছেন। গত রবিবার (৯ ডিসেম্বর) নেতাকর্মীরা তাদের পদত্যাগপত্র নিয়ে দলের উপজেলা কার্যালয়ে আসেন। এরপর তারা উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরে সেগুলো দলটির জেলা কমিটির সভাপতি বরাবর পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত শনিবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাসের চূড়ান্ত মনোনয়নের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। দলটির নেতা-কর্মীদের অনেকেই ওই রাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘আর বিএনপি করবেন না’ এমন পোস্ট দিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। কাশিমনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জি এম আহাদ আলী বলেন, ‘বিগত দিনগুলোতে আমার ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের কোনো খোঁজ রাখেননি ওয়াক্কাস।
গত পাঁচ বছরে মণিরামপুরে ১১-১২ জন নেতাকর্মী বিভিন্ন ইস্যুতে মারা গেছেন। তাদের কারও পরিবারের খোঁজ নেওয়া তো দূরের কথা, তাদের জানাজায় মুফতি ওয়াক্কাস ও তার ছেলেরা কোনও দিন আসেননি। তাছাড়া নেতাকর্মীদের মামলার ব্যাপারে কোনও দিন ওয়াক্কাস বিএনপির নেতাকর্মীদের খোঁজ নেননি। তারপরও যদি ওয়াক্কাসকে মনোনয়ন দেওয়া হয়, সেই দুঃখ রাখার আর জায়গা নেই। তিনি আরও বলেন, মুফতি ওয়াক্কাস একজন জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাসী নয় তারা বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখে না। তারপরেও যদি বিএনপি জামায়াতের সংঙ্গ দেয় তাহলেতো আমাদের পদত্যাগ ছাড়া আর কোনো পথ নেই। আর এখানে সেটাই হয়েছে।