একটি “বেনামী পত্র” এবং “জাতীয় নির্বাচন”

মো: ইউছুফ হোসেন॥ খুব বেশীদিন আগের কথা নয়, ২০০১ সালের কথা বলছি, তখন চিঠি-পত্র আদান-প্রদানের একমাত্র মাধ্যম ছিলো সরকারী ডাক বিভাগ। দ্রুততম পদ্ধতিতে ডাক পৌঁছে দেবার বেসরকারী মাধ্যম ক্যরিয়ার সার্ভিসের ব্যবহার অপ্রতুল হলেও ছিলো, কিন্তু সরকারী ডাক বিভাগের মাধ্যমে দাপ্তরিক চিঠি-পত্র পাঠানোর নিয়ম ছিলো এখনকার মতোই বিধি সম্মত। এখন বিভিন্ন এপসের সাহায্যে শুধু মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই যে কোন তথ্য, বার্তা এবং ডকুমেন্টের কপি মূহুর্তেই পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে পৌঁছে দেয়া যাচ্ছে, অনায়াসে, প্রায় বিনা খরচে। প্রাপক না চাইলেও কিছু কিছু তথ্য ও বার্তা এখন ফেসবুকের মাধ্যমেই পৌঁছে যায় তাঁদের কাছে, ভাইরাল হয়ে। বার্তার জন্মদাতা (অরিজিনেটর) চমৎকার শব্দ গাঁথুনীতে, অনেকটা গল্পচ্ছলেই তাঁর বার্তাটি প্রাপককে পৌঁছে দিতে সক্ষম হন।
যে সময়ের কথা বলছিলাম, ঐ সময়ে সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কিংবা কমান্ড চ্যানেলে ‘বেনামী পত্র’ প্রেরণের প্রচলন কমবেশী ছিলো। সশস্ত্র বাহিনীতে ‘বেনামী পত্র’র ব্যবহারটা ছিলো ব্যাপক, যা মূলতঃ প্রয়োগ করা হতো প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্যে। ‘বেনামী পত্র’ লিখে তা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা যদিও ছিলো (এখনো আছে) শাস্তিযোগ্য অপরাধ, আবার ‘বেনামী পত্র’র উপর কারো বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়াও ছিলো (এখনো আছে) নিষেধ, তবে আইন আছে যে, অধিনায়ক চাইলে কোন ‘বেনামী পত্র’র তদন্ত করতে পারেন এবং ‘বেনামী পত্র’র অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। অধিনায়কগণ বরাবরই ‘বেনামী পত্র’র তথ্যকে খুব গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। কিছু কিছু ‘বেনামী পত্র’র তথ্য ইউনিট/প্রতিষ্ঠানের জন্যে ইতিবাচকও হয়।
২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৩য় সপ্তাহে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করার জন্যে আমাকে সেনাবাহিনী থেকে বিজিবি (তৎকালীন বিডিআর) সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। বিজিবি সদর দপ্তর আমার সেনাবাহিনীর পোশাক বদলে বিজিবি’র পোশাকে আমাকে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়নে পাঠিয়ে দেয়। শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন আমাকে দুই প্লাটুন সৈনিক, অস্ত্র, গোলাবারুদ, যানবাহন ও রসদ সহ জেলার স্ট্রাইকিং ফোর্স কমান্ডার হিসেবে হবিগঞ্জে পাঠিয়ে দেয়। আমি যথাসময়ে হবিগঞ্জ পৌঁছে যাই এবং জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে নির্বাচনী দায়িত্ব বুঝে নেই। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে বিডিআর ফোর্সকে হবিগঞ্জ কিবরিয়া অডিটোরিয়ামে থাকার ব্যবস্থা করে আমি নিজে থাকার জন্যে সার্কিট হাউজে একটি কক্ষ বরাদ্দ পাই। বিডিআর ফোর্সকে নির্বাচনী টহল ও অন্যান্য কর্তব্য নির্ধারন করে দিয়ে আমি নিজেও জেলা নির্বাচনী নিয়ন্ত্রণ কক্ষে দায়িত্বে নিয়োজিত থাকি। এই সুবাদে তৎকালীন জেলা প্রশাসক এবং জেলা প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তার সাথে আমার সহকর্মী পর্যায়ের একটা সখ্য গড়ে উঠে। জেলা প্রশাসক মহোদয় একজন জ্যেষ্ঠ ও খুব ভালো মনের মানুষ ছিলেন। এই মূহুর্তে উনার নাম মনে পড়ছেনা, তবে উনি ছিলেন বিক্রমপুরের অধিবাসী। জেলা নির্বাচনী নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, টহল এবং বিভিন্ন সংস্থার সাথে আলাপচারিতায় সময় কেটে যাচ্ছিলো খুব দ্রুতই। ২ দিন পরই কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে আর্টিলারী ব্রিগেডের অধীনস্ত একটি আর্টিলারী ব্যাটালিয়ন হবিগঞ্জ জেলায় নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্যে অবস্থান গ্রহণ করে। আমি নিজে সেনা কর্মকর্তা হওয়ায় নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় একটি সেনা ইউনিটের আগমনে নিজেরই সহকর্মীদেরকে দেখে বেশ খুশীই হলাম। তাছাড়া, ঐ ইউনিটের অধিনায়ক ও উপ-অধিনায়ক সহ অনেক অফিসারই আমার পরিচিত ছিলেন। সংগত কারনে ব্রিগেড ও ব্যাটালিয়ন নম্বর এবং কর্মকর্তাদের নাম উল্লেখ করতে পারছিনা বলে দুঃখিত। যাহোক, সবার উদ্দেশ্য একই হওয়ায় কাজের সুবিধার পাশাপাশি বিডিআরের একক কর্মকর্তা হিসেবে আমার গত ক’দিনের একাকীত্বও কেটে গেলো। নির্বাচনী বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদানের ঝক্কি-ঝামেলা কমে গিয়ে সহায়ক ও উদ্যমী একটা কর্ম-পরিবেশ সৃষ্টি হলো।
নির্বাচনের ১০/১২ দিন আগে, সেপ্টেম্বরের ১৯ বা ২০ তারিখে আমার অর্ডারলী সরকারী ডাকযোগে আসা একটি চিঠি আমার কাছে নিয়ে আসে। “কার চিঠি” জিজ্ঞাসা করায় অর্ডারলী উত্তর দিলো, “আপনার স্যার”।
“এখানে আমাকে চিঠি পাঠালো কে?” আমার বিহ্বল প্রশ্নে অর্ডারলীর চটপটে উত্তর, “স্যার, প্রেরকের কোন নাম-ঠিকানা নেই। মনে হয় বেনামী চিঠি”। “তুমি কেমনে বুঝলা এইটা বেনামী চিঠি?”
“ব্যাটালিয়নে এরকম চিঠি অনেক আসে, স্যার” বলতে বলতে অর্ডারলী চিঠি আর আমার জন্যে আনা সিগারেটের প্যাকেটটি টেবিলে রেখে স্যালুট দিয়ে চলে গেলো। টেবিল থেকে চিঠিটি খুব আগ্রহ নিয়ে হাতে নিলাম।
গোলাকার “হবিগঞ্জ ডাকঘর” সীল মারা ২ টাকার সরকারী হলুদ খামে পাঠানো চিঠিটির সামনের পৃষ্ঠায় প্রাপকের স্থানে বলপেন দিয়ে বাংলায় লিখা “কমান্ডার, বিডিআর স্ট্রাইকিং ফোর্স, কিবরিয়া অডিটোরিয়াম, হবিগঞ্জ”, আর অপর পৃষ্ঠায় প্রেরকের স্থানে লিখা “দেশপ্রেমিক জনতা, বাংলাদেশ”।
খামের উপরে বলপেনের লিখাগুলো খুব দৃষ্টিনন্দন ছিলোনা, কিন্তু প্রতিটি শব্দ ছিলো স্পষ্ট এবং নির্ভুল। সেনাবাহিনীর সহজাত দৃষ্টিতে নিশ্চিত হয়ে গেলাম যে, লিখাগুলো অবশ্যই সশস্ত্র বাহিনীর কোন অবসরী কর্মকর্তার। খামের ভিতরের চিঠিটি ছিলো হাতে লিখা একটি চিঠির ফটোকপি।
সহজেই বুঝতে পারি যে, চিঠিটি অসংখ্য কপির একটি। খুব সাদামাটা কাগজে কপি করা এবং অনাড়ম্বর চিঠিটির ভিতরের হাতের লিখার সাথে খামের উপরের হাতের লিখার কোন মিল নেই। স্থান বা তারিখ উল্লেখ ছাড়াই ৩ (তিন) প্যারাগ্রাফে দেড় পৃষ্ঠায় লিখা চিঠিটির শুরু হয়েছে “প্রিয় দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী” কথাটি দিয়ে, আর শেষ হয়েছে “বাংলাদেশ জিন্দাবাদ” কথা দিয়ে।
চিঠির ১ম প্যারাগ্রাফটিই ছিলো সব’চে বড়ো এবং এর বক্তব্য ছিলো ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসা সরকারের ব্যর্থতার ফিরিস্তিতে ঠাসা আর “ভারতের কাছে বাংলাদেশকে বিক্রি করে দেবার ষড়যন্ত্র’র অনবদ্য লিখনীর কল্পিত বিবৃতি ও ক’তেক অজ্ঞাতনামা পত্রিকার উদ্বৃতি। ১ম প্যারাগ্রাফটির লিখা পড়েই প্রাপকের মনে হবে যে, গত সরকার ইতোমধ্যেই গোপন দলিলপত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে, এবং আগামীকালই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমান্ড চলে যাচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে, আগামীকালই কোর্টমার্শালের মাধ্যমে চাকুরীচ্যুত হয়ে কারাগারে যেতে হচ্ছে হাজার হাজার সেনাসদস্যকে। ২য় প্যারাগ্রাফে সেনাবাহিনীকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে কোন কৌশলে এবং কোন সময়ে গত সরকারের নেতা-কর্মীদেরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে জেলে পাঠানো যাবে। ৩য় প্যারাগ্রাফে সেনাবাহিনীকে অনুরোধ করা হয়েছে “সেনাকর্মকর্তার গঠিত ইসলামী ও জাতীয়তাবাদী” শক্তির দলকে ক্ষমতায় আসতে সহযোগীতা করার জন্যে।
সান্ধ্যকালীন রোলকলে আমি আমার বিডিআর ফোর্সের সাথে মিলিত হই হবিগঞ্জ কিবরিয়া অডিটোরিয়ামে। রোলকল শেষে আমার ফোর্স টুআইসি সুবেদার সাহেবকে কথা বলার ছলে অডিটোরিয়ামের বাইরে ডেকে আনি এবং কৌশলে ঐ বেনামী চিঠির ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করি। উল্লেখ্য যে, বিডিআর’র সদস্যরা সেনাবাহিনীর সদস্যদের তুলনায় টেকনিক্যাল কিছু বিষয়ে অগ্রগামী। সুবেদার সাহেব আমার ইংগিত দ্রুতই বুঝে ফেললেন এবং বললেন যে, তিনিও ঐ চিঠিটির একটি কপি পেয়েছেন। তিনি আরো জানালেন যে, অপর দুই প্লাটুন কমান্ডার অর্থাৎ হাবিলদাররাও একই চিঠি পেয়েছেন। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, প্রেরক দল বিস্তৃত পরিকল্পনা হাতে নিয়েই সারাদেশে নির্বাচনী মাঠে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর প্রতিটি ইউনিটের সর্বনিম্ন কমান্ড পর্যায় পর্যন্ত ঐ চিঠিটি প্রেরণ করেছে। বেনামী পত্রটি বিতরণের ৮/১০ দিন পর অক্টোবরের ১ তারিখে অনুষ্ঠিত ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করলেও প্রমাণ হয় যে, এরা এতে ১০০% সফল হয়েছে, যদিও রাজনৈতিক কারনেই আমার নির্বাচনী দায়িত্বপূর্ণ এলাকা হবিগঞ্জ সদর আসনে এরা ব্যর্থ হয়েছে। ঐ নির্বাচনে গত সরকারের নির্বাচিত সাংসদ গ্রেনেড হামলায় নিহত হবার পর অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে ঐ বেনামী চিঠি লেখক দলের প্রার্থী নির্বাচিত হয়।
খাম সহ ঐ বেনামী চিঠিটি আমি খুব যতœ করেই রেখেছিলাম অনেকদিন, কিন্তু অফিস বা বাসা বদলের সময় ফেলে দেয়া পুরনো কাগজপত্রের সাথে ঐ চিঠিটিও হারিয়ে যায়। স্মরণীয় ঐ বেনামী চিঠিটি যতেœর সাথে অনেকদিন রাখার যথেষ্ঠ কারন ছিলো; আমি দেখেছি, প্রাতিষ্ঠানিক কারনে রাজনীতি ও তথ্য-জগত থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন বা অনাগ্রহী থাকা সেনাবাহিনীর সদস্যদের হাতে সেদিন (বিশেষ করে কনিষ্ঠদের) ঐ চিঠিটি পড়ায় ভোটের পরিস্থিতি কীভাবে বদলে গিয়েছিলো।
মিথ্যা তথ্যে ভরপুর একটি বেনামী পত্র “সিঙ্গেল ফাইলে চলা” সেনাসদস্যদের মনকে আবেগ আপ্লুত করে দিয়েছিলো। আবেগ তাড়িত হৃদয় একসময় প্রায় অন্ধই হয়ে যায়, ফলে কঠিন দায়িত্বকালে সহসাই ভুল সিদ্ধান্তে নিমজ্জিত হতে হয়, যা ঘটেছে ঐ নির্বাচনে। আমার বিশ্বাস, সেনারা কখনোই ব্যালট ছিনিয়ে সীল মারেনি এবং কোনদিন মারবেও না, কিন্তু ভুল আবেগে তাড়িত হয়ে ভোটারদের মধ্যে ভীতির উদ্রেক ঘটালে ভুলটা বড়ো হয়েই দাঁড়িয়ে পড়ে, যা অল্প-বিস্তর হলেও ঘটেছে ঐ নির্বাচনে।
আমি দেখেছি, ঐ বেনামী চিঠির প্রভাব পড়েছিলো কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে আসা ঐ সেনা ইউনিটেও। ঐ বেনামী চিঠির বিরুদ্ধে দু’একটা কথা বলতে গিয়ে আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের রোষানলে পড়েছিলাম, যার ফলস্বরূপ সার্কিট হাউসের বাসস্থানটি ছেড়ে আমাকে আশ্রয় নিতে হয়েছিলো পাউবো’র রেষ্ট হাউজে (ওটা আরেক গল্প, বলবো অন্য কোন দিন)।
২০০১ সালের ঐ বেনামী চিঠি প্রেরকের দল এবারের নির্বাচনেও বেশ সক্রিয়, তবে তারা কৌশল বদলিয়ে পুরনো পদ্ধতির বেনামী চিঠি না চেলে নিবেদিত হয়েছে ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসএপ, ভাইবার, ইত্যাদি ডিজিটাল মাধ্যমে সাইবার চিঠি ও বার্তা চালাচালিতে। এরা বিভিন্ন সত্য তথ্যকে বিকৃত করে নিজেদের বিকৃত রুপকেই সামনে তুলে ধরছে। কারন, ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়নকামী একজন কৃষকও এখন জানে কীভাবে শুধু মোবাইল ফোনের সাহায্যেই প্রাপ্ত কোন তথ্যকে যাচাই করতে হয়।
প্রাক্তন ঐ বেনামী পত্র প্রেরক দলের বর্তমান লক্ষ্য হচ্ছে, বিভিন্ন বিকৃত তথ্যের ব্যাপক প্রচার করে বাংলাদেশের গর্ব সেনাবাহিনীর সদস্যদেরকে বিভ্রান্ত করে সেনাবাহিনীর সম্মানকে ভুলুন্ঠিত করা।
বেনামী পত্র প্রেরক দলের জানা নেই যে, “ ডঊ জঊঠঙখঞ, ঃযব ঈড়ঁৎধমবড়ঁং ঊপযড় রং ঈড়সরহম ইধপশ ” ধরনের অপরাধ মূলক আবেদন ও মিথ্যা ভাবাবেগে তাড়িত হয়ে ২০০১ সালের মতো ভুল করার স্থানে বাংলাদেশের কেউ নেই এখন।
মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্থানী দখলদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের বিরুদ্ধে আমাদের বিজয়ের এই মাসে চাই সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে একটি চমৎকার নির্বাচন, যে নির্বাচনের ফল বজায় রাখবে বাংলাদেশের উন্নয়ন।
জয় হোক বাংলাদেশের..
জয় হোক আমাদের অপরাজেয় সেনাবাহিনীর..

Leave a Reply

Your email address will not be published.