প্রশান্তি ডেক্স॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট প্রার্থীরা। আগামী সপ্তাহে নতুন নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন। তবে এরই মধ্যে একটি প্রশ্ন সবার মনে ঘোরপাক খাচ্ছে। আর তা হলো নতুন অর্থমন্ত্রী কে হবেন?
কেননা রাজনীতি থেকে অবসর নেয়ায় এবার নির্বাচনে অংশ নেননি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তাই নতুন সরকারের অর্থমন্ত্রী কে হচ্ছেন তা নিয়ে সর্বস্তরের মানুষের মাঝে আগ্রহ দেখা দিয়েছে। অর্থমন্ত্রী হিসেবে সম্ভাব্য যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, জাতিসংঘের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ড. আবদুল মোমেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভনর ড. ফরাসউদ্দিন, বর্তমান অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান উল্লেখযোগ্য।
তবে আবুল মাল আবদুল মুহিতকেও এই তালিকা থেকে বাদ দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ টেকনোক্র্যাট কোটায় তিনি এই পদে আবারও আসতে পারেন। একটি দেশকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় নীতি সংস্কার ও প্রয়োগের দিকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এই গুরুত্বপূর্ন পদে তত্ত্বীয় জ্ঞানের তুলনায় ব্যবহারিক বা বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন কাউকেই নতুন অর্থমন্ত্রী বানানো জরুরি। এ ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের গত দুই মেয়াদে টানা দশটি বাজেট ঘোষণা করেছেন মুহিত। তবে অনেকেই অর্থমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে আমলাদের আর চাইছেন না। ফলে পরবর্তী অর্থমন্ত্রী হিসেবে বর্তমান পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালও বেশ এগিয়ে রয়েছেন। কারণ তিনি মন্ত্রণালয়ে যেমন সফল, তেমনি একজন সফল ব্যবসায়ীও।
তবে পরবর্তী অর্থমন্ত্রী হিসেবে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান আসতে পারেন বলে আভাস দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবদুল মুহিত। আগামী সপ্তাহে নতুন নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন। জাতীয় সংসদ সচিবালয় এ উপলক্ষে অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। পাশাপাশি একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী সদস্যদের নামে গেজেট প্রকাশের তোড়জোড় শরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই গেজেট জারি করবে ইসি। সংবিধান অনুযায়ী গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে সংসদ সদস্যদের শপথ নিতে হবে।
আগামী সপ্তাহে শপথ নিলেও ২৮ জানুয়ারি বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নবনির্বাচিতরা সংসদ সদস্য হিসেবে কার্যভার গ্রহণ করবেন। অধিবেশনের প্রথম দিন থেকে নতুন সংসদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শুরু হবে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে আগামী ৬ জানুয়ারি রোববার শপথ অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার গেজেট প্রকাশিত হতে পারে। রোববার দেশের ২৯৯টি আসনে একযোগে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী এই নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা পেয়েছেন ২৬৫টি আসন। লাঙ্গল নিয়ে নির্বাচন করে ২২টি আসন পেয়েছে জাতীয় পার্টি। বিএনপি ৭টি আসন এবং অন্যরা ৪টি আসনে জয়লাভ করেছে।