ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা ইসলাম ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নৌকা প্রতীকে ১,৯৮,০২৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত বলে ঘোষণা করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি মো. জসিম উদ্দিন হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ১১২৫ ভোট। অপরদিকে সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, নৌকা প্রতীকে পেয়েছে ৮৪০৩৮ ভোট এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হাতপাখা প্রতীক পেয়েছে ১৮২৪ ভোট।
বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হওয়ার পর আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, জনগণের এ সমর্থন পেয়ে আমি সত্যি সত্যি অভিভূত। আমার উপরে যে আস্থা রেখেছেন তার জন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। ইনশাআল্লাহ জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশের যে উন্নয়ন করে যাচ্ছেন, সেই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা শুধু অগ্রযাত্রাই হবে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ।
সরেজমিনে বেশকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করে জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী এলাকায় উৎসব মুখর পরিবেশে ভোটারা ভোট দিয়েছেন। সকাল ৮ থেকে শুরু করে ৪টা পর্যন্ত কসবা উপজেলার ৭৪ টি কেন্দ্রে ও আখাউরা উপজেলার ৪৪টি ভোট কেন্দ্রে কোন প্রকার সহিংসতা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ আসনে শুধু দু’জন প্রার্থী থাকায় দ্রুত ভোটাররা ভোট দিতে পেরেছেন বলে ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়। প্রতিটি কেন্দ্রে নতুন ভোটারের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। প্রথমবারের মতো শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিয়ে নতুন ভোটাররা নিজেদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ নির্বাচনী এলাকা কসবা ও আখাউরা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এই আসনে আওয়ামী লীগ হেভীওয়েট প্রার্থী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও ইসলামী আন্দোলনের মুফতী মো. জসিম। গত ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে আইনমন্ত্রী তাঁর গ্রামের বাড়ি পানিয়ারূপ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন। ভোট প্রদান শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ঐক্যফ্রন্টের এখন মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানো আইনগত সময় নেই। নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর সময় ছিল ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এখন সরে যাওয়া মানে নির্বাচন নিয়ে নাটকিয়তা সৃষ্টি করা। এসময় সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
কসবা উপজেলার শাহপুর উচ্চ বিদ্যালয়, কসবা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, কসবা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রসহ প্রায় বেশ ক’টি কেন্দ্রে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো ভালো। প্রতিটি কেন্দ্রেই নারী-পুরুষ সারিবদ্ধভাবে তাদের নিজেদের ভোট প্রদান করেছেন।