বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে এটা নিশ্চিত বলার অনেক কারণের একটি হলো একটি নাম, একটি অধ্যায়, একটি প্রস্ফুটিত গোলাপ, একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র, একটি উন্নয়নমাখা মুখ, একটি নিরলস পরিশ্রমী হাস্যোজ্জ্বল চেহারা, একটি অতি সাহসী পদক্ষেপ, একটি তারা ঝিলমিল করা হাসি এবং নি;শর্ত ভালবাসার বন্ধন, একটি ক্ষমা ও ন্যায়পরায়নতার মাপকাঠি একটি নির্লোভ প্রতিক, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠিন এক জলন্ত বারুদ। একটি অতি উত্তম ভাবনার দৃশ্যমান প্রতিচ্ছবি। স্বপ্ন দেখার এবং স্বপ্ন বুনার এক বাস্তব রূপদানকারী কারিঘর। শিক্ষার ও দৃষ্টান্তের এক আলোকবর্তিকা। সর্বোপরি বিশ্ব মানবতর মা এমনকি অসহায় নিপিড়িত মানুষের জন্য খোদার পরের শেষ আশ্রয়স্থল। আর তিনিই হলেন এক কথায় আমাদের গার্ডিয়ান বা অভিভাবক বঙ্গবন্ধু তনয়া যোগ্য উত্তরসূরী মানবতার মা আমাদের প্রীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকের বিশেশায়িত করে শেষ করা যাবে না এমনকি হরেক রকমের বিশেষনে বিশেশায়িত করে ছোট করাও ঠিক হবে না। তিনি সকল হিসেব নিকেশের উদ্ধে। তাঁর তুলনা তিনি নিজেই। তাঁর প্রতিদ্ধন্ধীও তিনি নিজে।
অন্ধকারের গহব্বর থেকে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে এসেছেন উন্নত দেশের কাতারে। স¤œানের উন্নয়ন, জীবনের উন্নয়ন, রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন, স্কুল কলেজের উন্নয়ন, মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের এবং জিনিসের উন্নয়ন ও সহজলভ্যতা, সামাজিক অবস্থানের মানদন্ডের উন্নয়ন, বৈদেশিক মর্যাদার উন্নয়ন, নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় দ্রব্যের উন্নয়ন, কৃষি ও শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, জীবনের নিরাপত্তার উন্নয়ন এমনকি কর্মসংস্থানের বৈপ্লবিক উন্নয়ন সাধন সবই হয়েছে এই শেখ হাসিনার হাত ধরেই। স্বাধীনতা এসেছিল বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে; আর স্বাধীনতার স্রষ্টা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তব রূপ লাভ করছে তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে। যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ এবং বিভিন্ন ভাতা প্রদানের দৃষ্টান্তমূলক নজির এখন বাংলাদেশ আর এই নজিরকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে এগিয়ে যাবে আগামীর স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে।
এমন কোন জায়গা নেই যেখানে এই উন্নয়নের ছাপ বা দৃষ্টান্ত দৃশ্যমান নয়। সবখানেই এই উন্নয়ন এবং জনগণও সেই উন্নয়ন ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য বিপুল ভোটে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকেই কাজে লাগিয়েছে বিপুল ভোটের ব্যবধানের বিজয়ী করে। জনগনের সেই অস্থাকে সম্মান দেখিয়ে তিনি শেখ হাসিনা মন্ত্রীসভায়ও চমক দেখিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন তাঁর উপদেষ্টাতেও। স্বচ্ছ ও কর্মোদ্দিপক উপদেষ্টা মন্ডলী গঠন করেছেন, বরাবরের ন্যায় আগামীর ভবিষ্যৎ কান্ডারী সজীব ওয়াজেদ জয়কেও পূর্বের ন্যায় করেছেন অবৈতনিক উপদেষ্টা। আগামীতে নারী সংরক্ষিত আসনেও আনবেন কাংখিত চমক। সবই সম্ভব হয়েছে একমাত্র আমাদের গর্বের ধন ও উন্নয়নের সুতিকাগার শেখ হাসিনার জন্য। তার মাধ্যমেই জাতি পেয়েছে একটি রক্তপাতহীন শান্তি ও স্থিতিশীল নির্বাচন। উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা ধরে রাখার জন্য শান্তির ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এখন এগিয়ে যচ্ছে স্বপ্নের বাস্তবায়নের লক্ষে।
আমাদের এমপি ও মন্ত্রীরাও আজ তাঁর দৃষ্টান্তে অমলিন। প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এটাই এখন সকলের প্রত্যাশা। হিংসা বিবেদ ভুলে গিয়ে শান্তির পতাকাতলে মিলিত হবে এদেশের সকল মানুষ এই প্রত্যাশা এখন সকলের। মানুষ যে সৌহাদ্য ও সহযোগীতাপূণ আচরণে অভ্যস্থ হচ্ছে তার প্রমান এই নির্বাচন ও তার পরবর্তী দিনগুলি। বিরোধী পক্ষ এখন আর নেতিবাচকতায় না ফিরে ইতিবাচকতায় এগিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা সকলের। বাস্তবে যে দৃশ্যমান আচরণ তার শুভ লক্ষণই আগামীতে বিরোধী শিবিরকে সামনে এগিয়ে আসতে সহায়তা করবে বলে জনতার বিশ্বাস কিন্তু সেই বিশ্বাসে যেন আর কোন ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয় নেতিবাচক ঐতিহ্যকে গ্রহন করে তা মাথায় রাখতে হবে। সকলেই সজাগ থেকে চলমান ধারাবাহিকতা এগিয়ে নিবে এটাই আমার এবং আপনার সকলের প্রত্যাশা।
অতি উৎসাহি এবং ক্ষমতার মোহে যেন কোন অন্যায় বা নিরিহের ক্ষতি না করি তা লক্ষ্য রেখে এগিয়ে যেতে হবে। কাজ করতে হবে আগামীর শান্তী ও স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের গতিশীলতা রক্ষায়। লিখার টুটি চেপে ধরে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা দিচ্ছে এক অদৃশ্য শক্তি। এখনই সময় এই অদৃশ্য শক্তির হাত থেকে সম্পাদক ও প্রকাশককে রক্ষা করতে হবে। নতুবা চলমান ধারাবাহিকতায় ছেদ গঠবে। বাকি লিখার সুযোগ কেড়ে নেয়ায় সম্পাদক এখন প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনার প্রতিক্ষায়…