প্রশান্তি ডেক্স॥ বিনিয়োগ ও ব্যবসা পরিবেশের আধুনিকায়ন, কর্মীদের সুরক্ষা ও সক্ষমতা জোরদার করা এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশকে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক।
সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং বাংলাদেশে বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান বুধবার ঢাকার হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বিশ্ব ব্যাংক ‘ডেভেলপমেন্ট পলিসি অপারেশন’ সহায়তার অংশ হিসেবে ওই অর্থ দিচ্ছে বাংলাদেশকে।
এই অর্থ দিয়ে আগামী ৫ বছরে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নয়ন করা হবে এবং তাতে তরুণ প্রজন্মের জন্য ‘গুণগত মানসম্পন্ন’ কাজের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
“আমি বিশ্বাস করি এ প্রকল্প এগিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছেন, তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থানের সুযোগ করতে হবে। আমি নিশ্চিত, এই পরিকল্পনা তাতে সহযোগিতা করবে। আমরা অবকাঠামো, শিক্ষা ও অর্থনীতিতে অনেক উন্নয়ন করেছি, কিন্তু চাকরির ক্ষেত্র তৈরিতে তেমন এগিয়ে যাইনি।”
আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার আরও বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “এ বছর ৮.২৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে। বেসরকারি খাতে সুযোগ বৃদ্ধি করায় আগামী ৫ বছরে আরও চাকরির সুযোগ আসবে। কর হারে ও ব্যাংক খাতে সংস্কার করা হবে। দীর্ঘদিন ধরে এসব খাতে সংস্কার হয়নি, এসব সংস্কার হলে সবাই সুবিধা পাবে।”
চিমিয়াও ফান বলেন, গত দ্ইু দশকে আর্থিক সূচকসহ মানব উন্নয়ন খাতে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য থাকলেও চাকরির সুযোগ সৃষ্টি এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন খাতে কর্মসংস্থান বাড়লেও সেগুলো বিশ্বমানে এগিয়ে নেই।
“এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে মানসম্মত কর্মসংস্থান তৈরিতে বড় ধরনের উন্নয়ন সহযোগী হতে চায় বিশ্ব ব্যাংক।”
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ অর্থ অর্থ বিভাগের বাস্তবায়িতব্য ‘জব ডেভলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট (ডিপিসি)’ প্রকল্পে ব্যবহৃত হবে।
প্রস্তাবিত বাজেট সহায়তার আওতায় বিশ্ব ব্যাংক আগামী তিন বছরে মোট ৭৫ কোটি ডলার ঋণ দেবে। এর প্রথম পর্যায়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য তারা দিচ্ছে এই ২৫ কোটি ডলার (দুই হাজার ১০০ কোটি টাকা) ।
এই ঋণ শোধ করতে ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছর সময় পাবে বাংলাদেশ। ওই অর্থের ওপর বার্ষিক ০.৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ এবং ১.২৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। অনুত্তোলিত অর্থের ওপর বার্ষিক সর্বোচ্চ ০.৫ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট চার্জ দিতে হবে।