প্রশান্তি ডেক্স॥ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কড়া সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব বেপরোয়া চালক হয়ে গেছেন। বেপরোয়া চালক কখন যে কী করে, ‘অ্যাকসিডেন্ট’ ঘটান, তার ঠিক নেই। সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। গত বুধবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ আয়োজিত এক বর্ধিতসভায় তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত মঙ্গলবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচনে ‘প্রহসন’ ও ‘ভোট ডাকাতির’ অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে স্টেডিয়ামে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।
ফখরুল ইসলামের এই বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যে মহাসচিব ১০ বছরে ১০ মিনিটও আন্দোলন করতে পারেননি, নির্বাচনে ১০টিও আসন পাননি, আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনেও ব্যর্থ, লজ্জা থাকলে তাঁর (ফখরুল ইসলাম) পদত্যাগ করা উচিত।’
বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আমাকে ক্ষমা চাইতে বলেন? কোন দোষে? শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বতঃস্ফূর্ত গণজাগরণ ভালো লাগছে না? ভালো তো লাগবেই না। এই অভূতপূর্ব ফলাফল পঁচাত্তর পরবর্তী এই গণজাগরণ বাংলাদেশে কেউ আর কখনো দেখেনি।’ তিনি বলেন, ‘লজ্জা-শরম নেই তো, পদত্যাগও করবে না। নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে? মির্জা সাহেব, আপনি যে জিতলেন, কারচুপি হলে সেখানে আপনি কেমন করে জিতলেন? এটার জবাব দিন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের এ অভূতপূর্ব বিজয় যারা প্রত্যাখ্যান করছে, তাদের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুন্দর হয়েছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, নির্বাচনের দিন বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের কোনো এজেন্ট কি নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রতিবাদ করেছে?
নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তা প্রত্যাখ্যান করেন আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক কাদের। তিনি বলেন, টিআইবি গল্প অলীক গল্প সাজাচ্ছে। অবিশ্বাস্য রূপকথার কাহিনি সাজাচ্ছে যে নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়নি। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।