বা আ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় এবং টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ঢাকায় নিয়োজিত ওআইসির সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত, শার্জ ডি অ্যাফেয়র্স ও হাই কমিশনাররা।
নতুন সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে আগামীতে সরকারের সাফল্য কামনা করেন তারা।
ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর কূটনীতিকদের ১৭ সদস্যদের প্রতিনিধি দল রোববার বিকালে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতে গণভবনে যান।
প্রতিনিধি দলের নেতা ও ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান বলেন, “জাতীয় নির্বাচনে আপনার নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর মুসলিম দেশগুলোর প্রতিনিধি হিসাবে সম্মিলিতভাবে আপনাকে স্বাগত জানাতে পারা আমাদের জন্য খুবই সম্মানের বিষয়।”
শক্তিশালী বাংলাদেশ শক্তিশালী মুসলিম উম্মাহর প্রতিচ্ছবি মন্তব্য করে তিনি বলেন, “মুসলিম দেশ হিসাবে ব্যক্তিগতভাবে এবং সামষ্টিকভাবে আপনাকে সমর্থন করা আমাদের দায়িত্ব, কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।”
ঢাকায় দায়িত্বরত কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, আফগানিস্তান, তুরস্ক, কুয়েত, মরক্কো, মালদ্বীপ, ইরাক, ওমান, পাকিস্তান ও সৌদি আরবের কূটনীতিকরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর বিজয়কে শেখ হাসিনার প্রতি বাংলাদেশের মানুষের বিশ্বাস ও আস্থার প্রতিফলন বলে উল্লেখ করেন ওআইসি রাষ্ট্রদূতরা।
গত দশ বছরে প্রধানমন্ত্রীর ‘অক্লান্ত পরিশ্রমের’ ফল হিসেবে এই বিজয় এসেছে বলে মন্তব্য করেন তারা।
“বাংলাদেশের মানুষ চায়, তাদের দেশ সবক্ষেত্রে ভালো করুক, দেশ উন্নত হোক। তারা আপনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোর বাস্তবায়ন দেখতে চায়,”শেখ হাসিনাকে বলেন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত।
অতিথিদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে, মানুষ এটা উপলব্ধি করতে পেরেছে। নির্বাচনে সেজন্যই আমাদের ভোট দিয়েছে।
“আমরা বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে চাই যেন তারা খাদ্য, বাসস্থান, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাসহ অন্যান্য সুবিধাগুলো পায়। এই লক্ষ্য পূরণে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।”
অব্যাহত সমর্থনের জন্য ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “আমি আপনাদের দেশে থেকে এবং অনেক ওআইসি নেতার কাছ থেকে নিয়মিত সমর্থন পেয়ে আসছি। আপনাদের সমর্থন আমাকে মানুষের জন্য আরও বেশি কাজ করার শক্তি যোগাচ্ছে।” শেখ হাসিনা বলেন, অতীতে বাংলাদেশের মানুষ অনেক ভোগান্তির শিকার হয়েছে। “আমরা তাদের দুর্দশাগুলো চিহ্নত করতে চাই এবং তাদেরকে আরও উন্নত জীবন দিতে চাই, দেশকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য প্রস্তুত করতে চাই।”
আওয়ামী লীগের এই লক্ষ্যকে বাস্তবায়ন করতে এদেশের নারীসমাজ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম আওয়ামী লীগকে ‘ব্যাপকভাবে গণহারে’ ভোট দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও সামরিক সচিব মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন।