শান্তি ডেক্স॥ পারটেক্স গ্রুপের বোতলজাত পানি ‘মাম (MUM)’-এ ময়লা-আবর্জনা পাওয়া গেছে। পানির উপর এ আবর্জনা শ্যাওলার মতো ভাসতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে এ নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন মো. আমির হোসেন নামের এক ভোক্তা। গত ২১ জানুয়ারি, সোমবার শুনানি শেষে এই জরিমানা করা হয়।
অভিযোগে আমির হোসেন বলেন, ‘আমি গত ২৭ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে ১ কেস মাম পানি ক্রয় করি। যার নম্বর-৯৮৫৯। পরবর্তীতে উক্ত পানির একটি বোতল
পরীক্ষা করে দেখতে পাই যে, ঐ পানির বোতলের মধ্যে ময়লা-আবর্জনা ভেসে বেড়াচ্ছে। পারটেক্স বেভারেজ এখন মানহীন পানি উৎপাদন ও বাজারজাত করে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে ‘
আমির জানান, তিনি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে গত ৬ ডিসেম্বর ২০১৮ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভোক্তা ও উৎপাদক উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানি হয়। প্রথম শুনানির তারিখ ছিল ২৬ ডিসেম্বর। কিন্তু এদিন উভয়পক্ষ অনুপস্থিত থাকায় শুনানির দিন পিছিয়ে ১৪ জানুয়ারি ধার্য করা হয়। এদিন দুই পক্ষ উপস্থিত থাকলেও মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন না। এরপর তৃতীয় দিনের শুনানি হয় গত সোমবার। এদিন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. মাসুম আরেফিন শুনানি শেষে মাম পানির উৎপাদক প্রতিষ্ঠান পারটেক্স বেভারেজ লিমিটেডকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
মাসুম আরেফিন বলেন, জরিমানার বিষয়টি আজ পারটেক্স বেভারেজ লিমিটেডের ৪ জন প্রতিনিধিকে মৌখিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার জরিমানার অর্থ পরিশোধে ৫ কার্যদিবসের সময় দিয়ে পারটেক্স বেভারেজ লিমিটেডকে নোটিশ পাঠানা হবে।
‘জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের শুনানি শেষে কোন আপিল করার সুযোগ নেই। একমাত্র হাইকোর্টে এ শুনানি আদেশ স্থগিত করতে পারে। তাই আশা করছি ৫ কার্যদিবসের মধ্যে জরিমানার অর্থ আদায় হবে। এতে প্রতিষ্ঠান তাদের খারাপ পণ্য উৎপাদন থেকে বিরত থাকবে,’ বলেন মাসুম আরেফিন।
আমির হোসেন বলেন, ‘ভোক্তা হিসেবে আমরা চাই নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত পণ্য পেতে। কিন্তু পারটেক্স বেভারেজের মতো একটি প্রতিষ্ঠানে যদি এমন পানি সরবরাহ করে, তবে আমাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তাটা কোথায় পাব? এর একটা উপলব্ধিবোধ উৎপাদকদের দেওয়ার জন্য অভিযোগ করেছিলাম। আশা করছি ভবিষ্যতে তারা আমাদের মানসম্মত ও স্বাস্থ্যকর পানি সরবরাহ করবে।’