আনোয়ার হোসেন॥ ভোক্তা ও ভোজনরসিকদের স্বার্থ রক্ষায় ঢাকার কয়েকটি এলাকার রেস্টুরেন্টের মানকে এ-প্লাস, এ, বি, সি-এই চার গ্রেডিং সিস্টেমে তালিকাভুক্ত করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। রোববার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর পল্টনের ফারস হোটেলে এই গ্রেডিং পদ্ধতি কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
কার্যক্রমের অধীনে রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন ও সচিবালয়সহ কয়েকটি এলাকায় পাইলট প্রকল্প ১৮টি এ-প্লাস এবং ৩৯টি এ গ্রেডের স্টিকার দেয়া হয়।
এদের মধ্যে এ-প্লাস (উত্তম) মানের স্বীকৃতি পেয়েছে হোটেল কস্তুরী (পুরানা পল্টন), হান্ডি (পুরানা পল্টন), কিন্নরী (কাকরাইল), আল কাদেরিয়া ক্যাফে (পশ্চিম রামপুরা), ফার্স হোটেল অ্যান্ড রিসোটের ২টি প্রতিষ্ঠান (পুরানা পল্টন), কেএফসি (পুরানা পল্টন), ওয়েস্টার্ন রেস্টুরেন্ট (নয়াপল্টন), হোটেল পুর্বানী (দিলকুশা), বার্গার কিংয়ের ৭টি প্রতিষ্ঠান (বনানী, গুলশান, ভাটারা, যমুনা ফিউচার পার্ক, ধানমন্ডি, উত্তরা ও মিরপুর) এবং রাজধানী হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট (গুলিস্তান)।
এ গ্রেড অর্থাৎ ‘ভালো’ এর স্বীকৃতি পেয়েছে মতিঝিলের হিরাঝিল রেস্টুরেন্ট, হজরত শাহ চন্দ্রপুরি হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট (২টি শাখা), নিউ আল-ইমাম রেস্টুরেন্ট, নিউ মুন হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট, বাংলা রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে মাওলা, খান’স হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট, নিউ ক্যাফে হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট, দাওয়াতে মেজবান, ক্যাফে সিদ্দিক, এম/এস ক্যাফে দিলকুশা, নিউ ক্যাফে মতিঝিল, দ্য গাউচসিয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট, ঝালমুখ রেস্তোরাঁ, পল্টনের ক্লাসিক ফুড ল্যাব লিমিটেড, সিগাল রেস্টুরেন্ট, মৌরি রেস্টুরেন্ট, ভোজন রেস্টুরেন্ট, রহমানিয়া রুফটপ রেস্তুরেন্ট অ্যান্ড কনভেনশন হল, নিউ ক্যাফে নোয়াখালী রেস্টুরেন্ট, জিএফসি রেস্টুরেন্ট, ঢাকা কুজিন, মিডনাইট সান থ্রি, খানা বাসমতি, নিউ জাফরান রেস্টুরেন্ট, নিউ ধানসিঁড়ি রেস্তোরাঁ, ক্যাফে বিসমিল্লাহ ফুড জোন, রাঁধুনি বিলাস রেস্তোরাঁ, গুলিস্তানের রাজ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট, রাজধানী হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট, নিউ রাজধানী হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট, সেগুনবাগিচার ইনজয় রেস্টুরেন্ট অ্যাড ফাস্ট ফুড, নিউ মোঘল দরবার রেস্তোরাঁ, ভোজ-বাংলার স্বাদ, বাগিচা রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড পার্টি সেন্টার, কাকরাইলের বিপাশা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট, সুগন্ধা ফুডস, রামপুরার আল কাদেরিয়া ক্যাফে রেস্টুরেন্ট।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক বলেন, ‘গ্রেডিং সিস্টেমে এ প্লাসের মানে হচ্ছে রেস্টুরেন্টটি উত্তম, এ মানে ভালো, বি মানে গড়পড়তা ভালো এবং সি মানে গ্রেড পেন্ডিং।’
তিনি বলেন, ‘সবুজ রং আর নীল স্টিকারযুক্ত রেস্টুরেন্টের মান নিয়ে ক্রেতাদের কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না। কিন্তু হলুদ স্টিকারধারী রেস্টুরেন্টকে আপাতত ৩ মাসের সময়সীমা বেধে দেয়া হবে তাদের মান ও গ্রেড উন্নীত করার জন্য। একইভাবে কমলা রঙের স্টিকারযুক্ত রেস্টুরেন্টকে গ্রেডিং বাড়ানোর জন্য এক মাস সময় বেধে দেয়া হবে। এ সময়ের মধ্যে মান উন্নত না করা হলে হোটেল রেস্টুরেন্টের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।’
মানের ভিত্তিতে হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রেণিবিভাগ করা প্রসঙ্গে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, ‘গ্রেডিং সিস্টেমের আওতায় খাবারের মান, বিশুদ্ধতা, পরিবেশ, ডেকোরেশন, মনিটরে রান্নাঘরের পরিবেশ দেখা যাওয়ার ব্যবস্থা ও ওয়েটারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ভিত্তিতে রেস্তোরাঁগুলোতে চার ক্যাটাগরিতে চিহ্নিত করা হবে। এসব বিচারে ৯০ নম্বরের বেশি স্কোর হলে সবুজ রঙের স্টিকার এ প্লাস, স্কোর ৮০-এর বেশি হলে নীল রঙের স্টিকার বা এ, ৫৫ থেকে ৭৯ পর্যন্ত স্কোর হলে হলুদ রঙের বি এবং ৪৫ থেকে ৫৫ স্কোর হলে কমলা রঙের সি ক্যাটাগরির স্টিকার দেয়া হবে।’