বা আ॥ প্রথানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ দুর্যোগের দেশ। আবহাওয়া ও জলবায়ুর কারণে বাংলাদেশে বন্যা, খরা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো দুর্যোগ নেমে আসে। সরকারের সহযোগিতায় আমাদের দেশের জনগণ বুঝে গেছে কীভাবে দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হয়। আমাদের জনগণ এখন অত্যন্ত সচেতন। যেকোনো দুর্যোগের আগে সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের লোকজন ঝাপিয়ে পড়ে দুর্যোগ কবলিত মানুষদের রক্ষা করার জন্য। দুর্যোগ সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষের সচেতনা এখন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সিভিল মিলিটামি মানবিক সহায়তা কার্যক্রম সমন্বয় গ্রুপ (আরসিজি) এর চতুর্থ সেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল গ্রান্ড বল রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন দেশের ১৫০জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ প্রতিরোধ সম্ভব নয়। তবে দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলাদেশের অবস্থান অত্যন্ত নাজুক। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগও উপেক্ষা করতে পারি না। মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগেও অনেক ক্ষতি হয় বাংলাদেশের।
তিনি বলেন, সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগের আঘাত ছিল ১৯৭০ সালের সাইক্লোনে। এ দুর্যাগে প্রায় ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এত বড় সাইক্লোনের পর, দুর্যোগের পর তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সাহায্য নিয়ে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বিভিন্ন মানুষের সহযোগিতা নিয়ে ত্রাণকার্য পরিচালনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগের বিষয়ে আমরা কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আশা করি, যেকোনো মোকাবেলা করতে এবং ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সক্ষম হবো।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আমেদ। অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।