প্রশান্তি ডেক্স॥ মালয়েশিয়ায় অবৈধ বিদেশি শ্রমিকদের বৈধকরণ প্রক্রিয়া শেষ হলেও প্রদেশে প্রদেশে পাসপোর্ট প্রদানে চলছে বাংলাদেশ দূতাবাসের ভ্রাম্যমাণ ক্যাম্পেইন। ২০ জানুয়ারি রোববার মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্যের জর্জ টাউনে দূতাবাসের এ ক্যাম্পেইনে ভিড় করেন হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি। কেউ আসেন পাসপোর্ট নিতে, আবার অনেকেই আসেন নতুন পাসপোর্টের আবেদন করতে। সেবা নিতে আসা প্রবাসীদের সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন দূতাবাসের কর্তারা।
পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রধান মো: মশিউর রহমান তালুকদারের নেতৃত্বে পেনাংয়ের ক্যাম্পেইনে প্রবাসীদের পাসপোর্ট বিতরণ করেন পাসপোর্ট বিভাগের সহকারী সুশান্ত সরকার, মো. আরিফুল ইসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. তারিকুল ইসলাম ও মো: কিবরিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পেনাং দূতাবাসের কন্স্যলার দাতু ইসমাইল।
এদিকে অনেকেই অভিযোগ করেন সময়মতো তারা পাসপোর্ট হাতে পাননি। কিন্তু দূতাবাসের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় প্রবাসীদের হাতে পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে।
পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রধান মো. মশিউর রহমান তালুকদার এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘মালয়েশিয়ার প্রত্যেকটি প্রদেশে সরকারি ছুটির দিনে পাসপোর্ট বিতরণসহ কন্স্যলার সেবা দেয়া হচ্ছে। আমরা প্রবাসী ভাইদের সেবা প্রদানে অত্যন্ত তৎপর। আর এ সেবা প্রদানে ক্যাম্পেইন অব্যাহত থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘পাসপোর্ট আবেদনে যদি কোনো ত্রুটি না থাকে নির্ধারিত সময়ের আগে ১৫ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট বিতরণ করা হচ্ছে। আমরা গত শনি ও রোববার পেনাংয়ে পাসপোর্ট বিতরণ করছি।’
মশিউর রহমান আরও বলেন, ‘দূতাবাস থেকে গত এক বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৪৩২টি পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে।’
মো. সিদ্দীকুর রহমান নামে একজন জানান, তিনি গত (২০ জানুয়ারি) নির্ধারিত সময়ে পাসপোর্ট হাতে পেয়েছেন। সময়মতো পাসপোর্ট পেয়ে খুবই খুশি। এখন পারমিট পাওয়ার পালা। দ্রুত পাসপোর্ট পাওয়ায় হাইকমিশনের সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান মো. সিদ্দীকুর রহমান।
এদিকে মো. আশরাফুল ইসলাম ও এনায়েত আসেন নতুন পাসপোর্টের আবেদন করতে। তারা জানান, দালাল ছাড়াই দূতাবাসের ক্যাম্পেইনে কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ১১৬ রিঙ্গিত ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে ফরম পূরণ করে জমা দিয়েছেন। তারা আশা করছেন নির্ধারিত সময়ে পাসপোর্ট হাতে পাবেন।