প্র্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেয়ে খুশি ৯৭৬ পরিবার

প্রশান্তি ডেক্স॥ ফেলানী বেগম। ভিক্ষা করে চলে তার জীবন-জীবিকা। ৩ শতক জমি থাকলেও থাকার বসত ঘর ছিলো না তার। তাই সারা দিন ভিক্ষা করে রাতে অন্যের বাড়িতে ঝুপড়ি ঘরে ঘুমাতে হতো তাকে। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ কর্মসূচির আওতায় ‘জমি আছে, ঘর নাই’ প্রকল্পের মাধ্যমে ঘর পেয়ে খুশি ফেলানী বেগম। তার বাড়ি লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ডে। prodan montre 976 porever
ঘর পেয়ে ভিক্ষুক ফেলানী বেগম বলেন, আজ শান্তিতে ঘুমাতে পারছি। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। আমাদের মতো সহায় সম্বলহীন পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর জন্য। ঘর পেতে কাউকে কোনো টাকা পয়সা দিতে হয়নি। হঠাৎ একদিন অফিসার এসে বলেন, আমার নামে নাকি প্রধানমন্ত্রী ঘর বরাদ্দ দিয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ন-২ কর্মসূচির আওতায় “জমি আছে, ঘর নাই” প্রকল্পের অধীনে উপজেলার নদী ভাঙ্গনের শিকার, দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধা, ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্ত, বয়োঃবৃদ্ধ কর্মহীন পরিবার ও অসহায় পরিবারগুলোকে এ কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। এতে প্রথম পর্যায়ে উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে ৯ শত ৭৬ টি পরিবারের মাঝে একটি করে আধা পাকা ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। ৯ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পে প্রতিটি ঘর নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে ১ লক্ষ টাকা। ঘর পেয়ে খুশি ওই সব গৃহহীন পরিবারগুলো।
হাতীবান্ধা উপজেলার দঃ গড্ডিমারী গ্রামের আব্দুস ছামাদ জানান, নদী হামার সব ভাঙ্গি নিয়ে গেইছে। ১৫ বছর থাকি পোয়ালের (খড়) চালাত আছনোং, এ্যালা ঘর পায়া হামার ভাল হইছে। আইতত শান্তিতে নিন্দ (ঘুম) পারবের পাই।
কথা হয় ওই এলাকার ছকিনা বেগম, পার্শ্ববতী গ্রামের আজিয়া বেগমসহ অনেকের সাথে। তারাও ঘর পেয়ে অনেক খুশি। তারা বলেন, অনেক কিছু সাহায্য পাইছি, কিন্তু টাকা পয়সা ছাড়া ঘর পাব এমন আশা কখনও করিনি। আল্লাহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দীর্ঘজীবী করুন।
হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহম্মেদ বলেন, তিস্তা নদীর ভাঙ্গনের কারণে এ উপজেলায় হাজার হাজার পরিবার মানবেতর জীবন-যাপন করছে। ওই সব দুঃস্থ, নদী ভাঙ্গা ও অসহায় পরিবার গুলোর মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে মাননীয় প্র্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্পের মাধ্যমে ঘরের ব্যবস্থা করেন। বাস্তবায়িত ঘর গুলোর নিয়ম মোতাবেক শতভাগ গুণগত মান রক্ষা করে ডিজাইন অনুযায়ী নির্মাণ করা হয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু বলেন, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ায় সব মানুষকে ঘর দেয়া সম্ভব হয়নি। স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনের মাধ্যমে আরো চাহিদা অনুযায়ী তালিকা প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। বরাদ্দ সাপেক্ষে বাকীদের পর্যায়ক্রমে এ প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ন-২ কর্মসূচির আওতায় ‘জমি আছে, ঘর নাই’ প্রকল্পের মাধ্যমে জেলায় ৩ হাজার ৯ শত ৮১ টি পরিবারকে বসত বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। এ কর্মসূচি পর্যায়ক্রমে চলবে। শেখ হাসিনার বাংলাদেশে কেউ গৃহহীন থাকবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published.