প্রশান্তি ডেক্স॥ উন্নত গ্রাহকসেবা ও নিরাপদ উড্ডয়নে আদর্শ প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ২০১৮ সালে যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে পাঁচ তারকা পেয়ে বিশ্বের সেফটি এয়ারলাইন্সের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বিমান। এয়ারলাইন রেটিংস ডটকমের ওয়েবসাইট ও বিমান সূত্রে গত রোববার এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। আকাশপথে কোন বিমান সংস্থা নিভরযোগ্য ও নিরাপদ- সেই রেটিং প্রতি বছর করে থাকে রেটিংস ডটকম।
এবার ১২টি পৃথক মানদন্ড ব্যবহার করে বিশ্বের ৪০৫টি এয়ারলাইন্সের তথ্য ব্যাপকভাবে বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিরাপদ এয়ারলাইন্সের তালিকা তৈরি করেছে সংস্থাটি। সরকারি, বিশ্ব এভিয়েশন গভর্নিং বডি ও এভিয়েশন সংশ্লিষ্ট শীর্ষ সংগঠনগুলোর অডিটের আলোকে এই মানদন্ড নিরূপণ করা হয়। এ ছাড়া প্রতিটি এয়ারলাইনের উড়োজাহাজের বয়স ও লাভের হারের সঙ্গে দুর্ঘটনায় পড়া ও গুরুতর ঘটনার রেকর্ড ঘেঁটে দেখা হয় এ রেটিংয়ে।
আইয়াটা অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) সনদপ্রাপ্ত হওয়ায় তিন তারকা পেয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) কালো তালিকাভুক্ত না হওয়ায় পূর্ণ তারকা পেয়েছে বাংলাদেশের পতাকাবাহী বিমান সংস্থাটি। গত ১০ বছরে দুর্ঘটনা এড়াতে পারায় ও কোনও আরোহীর মৃত্যু না হওয়ায় আরেকটি পূর্ণ তারকা পেয়েছে বিমান। তবে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) অনুমোদন না থাকা ও আইকাওয়ের আটটি নিরাপত্তা প্যারামিটার সম্পন্ন না করায় বিমান দুটি তারকা পায়নি।
এ বিষয়ে বিমানের মুখপাত্র ও জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ প্রশান্তি নিউজকে বলেন, ১৯৭২ সালের জানুয়ারি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স অতি নিরাপদ ও উন্নত যাত্রীসেবার লক্ষ্য স্থির করে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। যাত্রী নিরাপত্তাকে সবার আগে বিবেচনা করার কারণে এখন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর উপহার দেয়া ডিসি-৩ উড়োজাহাজ দিয়ে প্রথম কার্যক্রম শুরু হয় বিমানের। বিমানের এয়ারলাইন কোড ‘বিজি’। এর উড়োজাহাজগুলো হলো- কিউ-৪০০, এ৩১০, ৭৩৭-৮০০ ও ৭৭৭-৩০০ইআর ও ৭৮৭ ড্রিমলাইনার।