প্রশান্তি ডেক্স॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য সব ভোটার, বিশেষত নারী ও নবীন ভোটারদের উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গত বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে তিনি এ অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রেখে সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের সূচনায় ভাষণ প্রদানের সুযোগ পাওয়ায় আমি পরম করুণাময় আল্লাহ’র কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। ইংরেজি নববর্ষ এবং সংসদ অধিবেশনের সূচনালগ্নে স্পিকার, আপনাকে এবং চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। একইসঙ্গে এই মহান সংসদের নব-নির্বাচিত সংসদ-সদস্যরা ও প্রিয় দেশবাসীকেও আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার জন্য আমি নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সশস্ত্রবাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও ব্যক্তিবর্গ এবং এ কর্মযজ্ঞে সহায়তা প্রদানের জন্য গণমাধ্যমকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এবং সার্চ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী গঠিত বর্তমান নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়, যা দেশে-বিদেশে সব মহলে প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণের বিপুল সমর্থনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়।
আবদুল হামিদ বলেন, জনগণের এ রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জননন্দিত নির্বাচনী ইশতেহার ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’-এর প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ। সরকার নির্বাচনী ইশতেহারে বর্ণিত প্রতিশ্রুতিসমূহ বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। এই সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সবাইকে ঐকান্তিকভাবে কাজ করতে হবে।