প্রশান্তি ডেক্স॥ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের বিষয়টি বিদেশি সহায়তাসহ সম্পদের প্রাপ্যতার ওপর ব্যাপকভাবে নিভরশীল হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ ভালো করছে এবং এসডিজির বহু টার্গেট অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
গত রোববার প্রকাশিত ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস : বাংলাদেশ প্রোগ্রেস রিপোর্ট ২০১৮’-এ কথা বলা হয়।
ঢাকার শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘এসডিজির ১৬৯টি লক্ষ্যের মধ্যে ৪১ অর্জনের জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্য-সহায়তা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। সভাপতিত্ব করেন প্লানিং কমিশনের জেনারেল ইকোনমিক বিভাগের (জিইডি) সদস্য ড. শামসুল আলম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. নজিবুর রহমান ও জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সিপ্পো। পরে তারা অনুষ্ঠানিকভাবে মোড়ক উন্মোচনের মাধ্যমে গ্রোগ্রেস রিপোর্ট প্রকাশ করেন।
রিপোর্টে বলা হয়, এসডিজি ২০৩০-এর ন্যায় ব্যাপক ও সার্বিক উন্নয়ন এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশকে পর্যাপ্ত ও সময়োচিত আন্তর্জাতিক সহায়তা দিতে হবে।
ড. মশিউর রহমান কাজ বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর ব্যবহার সক্ষমতা আরও বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘এসডিজি’র বহু লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ ভালো করলেও তৃপ্তির কোনো সুযোগ নেই। এসডিজিগুলো অর্জনে আমাদের বহু দূর যেতে হবে।’ তিনি বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে আরও পরিকল্পিত কার্যক্রম গ্রহণে এ প্রতিবেদন সুযোগ করে দেবে।
ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, এ ধরনের প্রতিবেদন ডাটা তৈরির চাহিদা সৃষ্টি করে এবং সীমাবদ্ধতা ও বর্তমান প্রবণতা কী তা ধরিয়ে দেয়। গত তিন বছরে এসডিজি ব্যাপারে কতিপয় ইতিবাচক উন্নয়ন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের চমৎকার ক্ষেত্র রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মুখ্যসচিব মো. নজিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।