সাবিনা আফরিন॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ একেবারেই কম। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থীর অভাব হবে বলে মনে হচ্ছে না। এটা তো জাতীয় নির্বাচন না, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী অনেক থাকবে। বিএনপি নির্বাচনে না এলেও অনেক দলই নির্বাচনে অংশ নেবে। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে।
গত মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন বিতরণের শুরুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে না এটা অফিশিয়ালি, দলীয়ভাবে তারা বলছে। কিন্তু বিএনপি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে তাদের ওয়ার্ড পর্যায়ের অনেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। কাউন্সিলর পদে দলীয় প্রতীক নেই, তারা কিন্তু নির্বাচনে আছে। বিএনপি একেবারে মাঠে নেই, এ কথা বলা যাচ্ছে না। এখন উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতে পারে। আর মনোনয়ন জমা দিলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমাদের সবকিছু মাথায় আছে, রাখতে হচ্ছে।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা যাচাই বাছাই করে দলীয় মনোনয়ন দেব। এখানে শুধুমাত্র তৃণমূল থেকে তিনজনের নাম চেয়েছি। এক থেকে তিনজনের বেশি নয়, আবার একজন বা দু’জন বা তিনজনের নামও কেউ দিতে পারেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, মনোনয়নের বিষয়ে আমরা দেখব যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের স্বাক্ষর রয়েছে কি না। সেই সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা করে প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে কি না, সেটাও দেখা হবে।
তিনি বলেন, কোথাও এ ধরনের পদ্ধতি অনুস্মরণের ব্যত্যয় ঘটলে সেখানে আমরা সার্ভে রিপোর্টের ভিত্তিতে মনোনয়ন দেব। কাজেই মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে সব কিছুই যাচাই করে দেখা হবে।
বিএনপির আন্দোলন সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, আন্দোলন যাকে বলে সেটা হলো গণআন্দোলন। গণআন্দোলন করার মত অনেক ইস্যু বিএনপির হাতে ছিল। বেগম খালেদা জিয়াকে যখন গ্রেফতার করা হলো, তিনি জেলে গেলেন, তার জেলে যাওয়ার মতো সেনসেটিভ ইস্যু তাদের দলের জন্য ছিল। এ ধরনের ইস্যুকে যারা কাজে লাগাতে পারে নি, আন্দোলন করতে ব্যর্থ হয়েছে, তারা এখন নতুন কোন ইস্যুতে আন্দোলন করবে? তাদের হাতে তো কোন ইস্যু নেই। আন্দোলনের এজেন্ডা হিসেবে যেটাকে বিএনপি পিক করতে পারে, নতুন সরকারে এমন কোন ইস্যু নেই।
সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, বিএনপি এই মুহূর্তে ছত্রভঙ্গ, এলোমেলো একটি দল। পথিক যেমন পথ হারায়, বিএনপি নির্বাচনে হেরে সেই দিশেহারা পথিকের মত। তারা কি করবে না করবে, সেটা ভেবে পাচ্ছে না। বিএনপি এখন কিংকর্তব্যবিমুঢ় একটি রাজনৈতিক দল। তাদের যখন দলীয় বৈঠক হয়, তখন দলটির নেতারা ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করে বলে পত্র-পত্রিকার খবরে আমরা দেখতে পাই।