এখন থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন ভুক্তভোগীরা

বা আ॥ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জনহয়রানি বন্ধের জন্য তাঁর কার্যালয়ে একটি বিশেষ সেল করা হচ্ছে। জনগণের ভোগান্তি এবং জনসেবা লাভে হয়রানি বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। একজন মহাপরিচালকের নেতৃত্বে সেলের সঙ্গে একটি টেলিফোন নাম্বার থাকবে। যেই নাম্বারে জনভোগান্তির শিকার যেকোন নাগরিক টেলিফোন করে তার অভিযোগ বলতে পারবেন। একটা অটো হান্টিং টেলিফোন নাম্বারে প্রথম পর্যায়ে ১১টা অভিযোগ করা যাবে। এর মধ্যে অভিযোগগুলো হলো:sorasore jugajog
১. স্বাস্থ্যসেবা লাভে হয়রানি। ২. আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সেবা লাভের ক্ষেত্রে হয়রানি। ৩. সরকারী কোন অফিসে হয়রানি। ৪. তথ্য অধিকার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে হয়রানি। ৫. দুর্নীতি দমন কমিশনে হয়রানি। ৬. রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউকের সেবা লাভের ক্ষেত্রে হয়রানি। ৭. ভূমি অফিসে বিভিন্ন সেবা লাভে হয়রানি। ৮. জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অফিস এনবিআর অফিসে আয়কর বা অন্যান্য ক্ষেত্রে হয়রানি। ৯. শিল্প ও বাণিজ্য স্থাপনা সংক্রান্ত হয়রানি। ১০. বিদ্যুৎ বিল ও বিদ্যুৎ প্রাপ্তিতে হয়রানি। ১১. পানি এবং ওয়াসা সংক্রান্ত হয়রানি।
এ সমস্ত হয়রানির শিকার যেকোন ভুক্তভোগি থেকে কোন অভিযোগ পেলে বা সেবার মান খারাপ হলে বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীর কাজে গাফিলতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি নাম্বরে ফোন করতে পারবেন। ফোন করে সংক্ষিপ্তভাবে তিনি তার অভিযোগটি বর্ণনা করবেন এবং প্রধানমন্ত্রীর

কার্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ঠ মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরে তাৎক্ষনিকভাবে এর প্রতিকারের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী টানা তৃতীয়বারের মত দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে জনকল্যাণমুখী এবং জনবান্ধবমুখী একটা সরকার ব্যবস্থা তৈরীর উদ্যোগ নিয়েছেন।
এজন্য তিনি সুনির্দিষ্টভাবে কয়েকটি প্রস্তাবনা দিয়েছেন। যার মধ্যে অন্যতম দুর্নীতি বন্ধে শুন্য সহিষ্ণুতা এবং জনগন যেন কোন সেবা লাভে ভোগান্তির বা হয়রানির শিকার না হন। একারণেই জনসেবার মান যেন উন্নত হয়, মন্ত্রণালয় যেন জবাবদিহিতার আওতায় আসে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সেবা নিতে গিয়ে যেন জনগন হয়রানির শিকার না হয়। সে কারণেই অভিযোগ কেন্দ্র করা হচ্ছে। যেখানে জনসেবা লাভে হয়রানি বা ভুক্তভোগিরা অভিযোগ জানাতে পারবেন। প্রধামন্ত্রীর কার্যালয়ের সূত্রগুলো বলছে, শুধু টেলিফোনের অভিযোগই নয়। চিঠি লিখেও তাদের নাম ঠিকানা দিয়ে অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবারনী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাতে পারবেন। তবে এই ধরনের অভিযোগের নামে যেন কোন রকম বাড়াবাড়ি না হয়। প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে কেউ যেন ভিত্তিহীন এবং অসত্য অভিযোগ না করে, সেজন্য ব্যবস্থা রাখা হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। সেইজন্যই এখানে নাম ঠিকানা দিয়ে অভিযোগ করতে হবে।
আর এখানে তৃতীয়পক্ষের অভিযোগ রাখার কোন সুযোগ হবে না বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। শুধুমাত্র ভুক্তভোগিরাই এখানে আবেদন করেতে পারবেন। তার যে হয়রানির বিবরণ সেটাই উল্লেখ করতে হবে। অন্যকোন ঘটনা বা সাধারণ দুর্নীতি বা কর্তব্যে গাফিলতি এই চিঠির মধ্যে দেওয়া যাবে না। ব্যাক্তিগত হয়রানি এবং সেবা প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতার অভিযোগই শুধুমাত্র করা যাবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে যে, এই ব্যাপারে একটি ডিজিটাল সফটওয়ার তৈরীর কাজ চলছে। যেটা করছে এটুআই। এটা সম্পন্ন হলেই আনুষ্ঠানিকভাবে কার্য উদ্বোধন হবে। একটা সূত্র বলছে, আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন এবং সেই দিনই এটা চালু করার সম্ভাবনা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.