বা আ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের আমন্ত্রণে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি দেশটি সফর করবেন। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সফরের সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে ১৭ ফেব্রুয়ারি হতে শুরু হওয়া পাঁচ দিনব্যাপী মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের একমাত্র সামরিক প্রদর্শনী কনফারেন্স ইন্টারন্যাশনাল ডিফেন্স এক্সিবিশনে (আইডিইএক্স) অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে।
২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত সামরিক প্রদর্শনীতে ৫৭টি দেশ অংশগ্রহণ করে। আইডিইএক্স-এর এবারের সিলভার জুবিলিতে গতবারের চেয়ে বেশি সংখ্যক দেশ, সরকারপ্রধান, সামরিক বিশেষজ্ঞ ও সমরাস্ত্র নির্মাতা কোম্পানি অংশ নেবে।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের দ্বিতীয় শ্রমবাজার আরব আমিরাতে লোকবল পাঠানো বন্ধ রয়েছে। ভিসা ও ভিসা ট্রান্সফার সংক্রান্ত জটিলতা নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর সফরে আলোচনা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
আবুধাবি বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুহাম্মদ শওকত আকবর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আমিরাত সফর করবেন ১৭ ফেব্রুয়ারি। আমরা বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে দেশরতœকে স্বাগত জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু পরিষদের অভিভাবক ইফতেখার হোসাইন বাবুলের নেতৃত্বে সিনিয়র নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। সে সময় তারা প্রবাসীদের বিভিন্ন দাবি, সমস্যা ও সমাধানের একটি লিখিত কপি প্রধানমন্ত্রীর হাতে হস্তান্তর করেন।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শওকত আকবর আশা করেন, প্রধানমন্ত্রীর এ সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং দীর্ঘদিনের ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা দূর হবে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন বাংলাদেশের ভিসা ট্রান্সফার ব্যবস্থা চালু থাকলেও বর্তমানে এটি বন্ধ রয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বর্তমানে প্রায় সাত লাখ বাংলাদেশি কর্মী রয়েছেন। এর মধ্যে ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে সবচেয়ে কম বাংলাদেশি কর্মী ইউএই গেছেন। গেল ১০ বছরে কর্মী প্রেরণের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাংলাদেশ থেকে ২০০৯ সালে দুই লাখ ৫৮ হাজার ৬৪৮ জন, ২০১০ সালে দুই লাখ তিন হাজার ৩০৮ জন, ২০১১ সালে দুই লাখ ৮২ হাজার ৭৩৯ জন, ২০১২ সালে দুই লাখ ১৫ হাজার ৪৫২ জন, ২০১৩ সালে ১৪ হাজার ২১৪ জন, ২০১৫ সালে ২৫ হাজার ২৭১ জন, ২০১৬ সালে আট হাজার ১৩১ জন, ২০১৭ সালে চার হাজার ১৩৫ জন এবং ২০১৮ সালে তিন হাজার ২৩৫ কর্মী ইউএই গেছেন। ২০১২ সালের আগস্টে শ্রমিকদের নতুন ভিসা প্রদান বন্ধ করে দেয়া হয়।