বা আ॥ জীবনযুদ্ধে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর ঘুরে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে পায়েলের বক্তব্য শুনে খুব খুশি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সে সিরাজগঞ্জের পায়েল বলেন, ‘আমরা ভোটাধিকার পেয়েছি। ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে আমরা সেলাই মেশিন কিনে জীবিকা নির্বাহ করছি। এ ছাড়া বিউটি পার্লার করে এবং অন্যান্য ব্যবসা করে আমরা এখন প্রতিষ্ঠিত। এখানকার ডিসি কামরুন নাহার সিদ্দিকা ও এমপি হাবিবে মিল্লাতসহ প্রশাসন ব্যাপকভাবে আমাদের সহযোগিতা করছেন। সব প্রকার সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি।’
পায়েলের কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘খুব খুশি হলাম। সমাজে যারা অবহেলিত ছিল, যাদের দেখে মানুষ তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করত, তারা আজ ব্যবসা করে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। এখন তাদের আর কেউ অবহেলা করতে পারবে না। তারা মর্যাদা নিয়ে সমাজে বাস করবে। আমি এটাই চেয়েছি।’
গত বুধবার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ৬টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত নতুন ৯টি গ্রিড উপকেন্দ্র, সন্দীপ উপজেলায় বিশেষায়িত বিদ্যুতায়ন এবং ১২টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধনী অনষ্ঠোনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের উপকার ভোগী এক তাঁতীও এ সময় অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। তাঁতী মুরসাইদ বলেন, ‘ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে ব্যবসা করে আমরা খুব ভালো আছি।’
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাঁতের শাড়ি আমার পছন্দের। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বেই এর কদর আছে। আজকেও আমি তাঁতের শাড়ি পরে আছি।’
তাঁতীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বের ডিজাইন, রং এবং ফ্যাশন সম্পর্কে তাঁতীদের ধারণা থাকতে হবে। সময় উপযোগী ডিজাইন করতে পারলে বাংলাদেশের তাঁত শিল্প আরও উন্নত হবে।’ সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত বলেন, ’৪৮ বছরে সিরাজগঞ্জবাসী যা পায়নি ১০ বছরে তা পেয়েছি।’