ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আদালতের আদেশ অমান্য করে দেয়াল ভাংগার নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ ইউপি ভূমি কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বাড়ির সীমানা দেয়াল ভাংগার নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান মো.ইয়াকুব আলী ভূইয়া ও ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের দাবী গত বৃহস্পতিবার তাঁদের নির্দেশে প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী আবদুর রহমান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে লোকজন বিজ্ঞ আদালতের দেয়া ১৪৪ ধারা অবমাননা করে দেয়ালটি দিনের বেলায় ভেংগে ফেলে। অন্যদিকে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি ভ’মি কর্মকর্তা দেয়াল ভাংগার বিষয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন সীমানা দেয়াল সরকারী জায়গায় হওয়ায় স্থানীয় লোকজন দেয়াল ভেংগে দিয়েছে। kasba
জায়গার মালিক বাদী কামালপুর গ্রামের সামছুন্নাহার জানান; প্রতিপক্ষ আবদুর রহমান ও তার লোকজনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ অতি:জেলা ম্যাজিস্টেট আদালতে প্রকৃত জায়গা বুঝিয়া পাওয়ার জন্য মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত পর্যালোচনা করে ৭ জুলাই ২০১৪ সালে বাদি সামসুন্নাহারের পক্ষে রায় দেন। এবং সামছুন্নাহারকে তফছিলে বর্নিত জায়গা বুঝাইয়া দেন। জায়গা বুঝিয়া পাওয়ার পর সেখানে সীমান দেয়াল দিতে গেলে বাধা প্রদান করে প্রতিপক্ষ আবদুর রহমানের বাড়ির লোকজন। পরবর্তিতে আবার বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেন সামছুন্নাহার। বিজ্ঞ আদালত পুনরায় তার পক্ষে রায় দেন এবং প্রতিপক্ষের লোকজন যাতে কাজে বাধা দিতে না পারে বিজ্ঞ আদালত প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা জারি করেন। গত কয়েকদিন পূর্বে বিজ্ঞ আদালতের রায়ে পাওয়া জায়গায় সীমানা দেয়ালের কাজ শুরু করেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি ভ’মি কর্মকর্তা নির্দেশ দিলে সীমানা দেয়ালটি ভেংগে ফেলে প্রতিপক্ষের লোকজন। নিরুপায় হয়ে কসবা থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগি সামছুন্নাহার।
ইউপি ভ’মি কর্মকর্তা আতাউর রহমান দেয়াল ভাংগার নির্দেশের কথা অস্বীকার করে বলেন আমরা জানতে পারি সরকারী জায়গায় দেয়াল নির্মান হচেছ জেনে সামছুন্নাহারকে পরিমাপ ছাড়া কাজ করতে মৌখিকভাবে নিষেধ করেছি।
ইউপি চেয়ারম্যান মো.ইয়াকুব আলী ভূইয়া বলেন প্রতিপক্ষ আবদুর রহমান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট জায়গার বিষয়ে অভিযোগ দিলে আমাকে ব্যবস্থা নিতে বললে তিনি সামছুন্নাহার কে স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলেছি ভেংগে ফেলার নির্দেশ দেইনি।
জনমনে প্রশ্ন বিনা নোটিশে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে স্থাপনা ভেংগে ফেলার নির্দেশ কিভাবে দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি ভূমি কর্মকর্তা। দেয়াল সরকারী জায়গায় হলে বিজ্ঞ আদালত কিভাবে সামছুন্নাহারকে জায়গা পরিমাপ করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। ভুক্তভোগি অসহায় পরিবারটি এর সুবিচার চান উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.