তাজুল ইসলাম॥ ভিসা একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক উপাধান এবং অধিকারের একটি পরিণত এবং পরিগণিত হয়েছে। ইদানিং বৈশ্বিক বিশ্লেষণে বাংলাদেশ ভিসা অফিস অনেক পিছনে ও পুরানের সংস্করণে অন্ধকারের হাতছানিতে ঘুরপাক খাচ্ছে। আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ এর স্লোগান এবং অগ্রসরমান অবস্থানের মধ্যে একটি অনগ্রসরতার প্রমান বহন করে। পূর্বের প্রিন্ট ভিসার স্থলে এখন হচ্ছে হাতে লিখা ভিসা। এটা বেমানান এবং সরকারের উন্নয়নকে মলিন করার একটি প্রক্রিয়া কিনা তা দেখার এবং অনুসন্ধান করার দরকার। ভিসা প্রত্যাসিরা যেহেতু সকলেই ভিনদেশী তাই এই প্রক্রিয়াটাকে স্বচ্ছ এবং নির্ভেজাল ও জঞ্জালমুক্ত করার পদক্ষেপ নেয়া জরুরী বা ফরজে আইন হয়ে দাড়িয়েছে। ভিসা প্রত্যাশিদের অসহায়ত্ব এবং ভিসা অফিসের কর্মীদের অদক্ষতা ও ইংরেজি বলার ও বুঝার অপারগতা এবং বিশাল গ্যাপ এখন দেশের সুনাম নষ্টের কারণে পরিণত হয়েছে।
আনসার ও পিয়নের দৌরাত্বে কাবু হয়ে যাচ্ছে সকল ভিসা প্রত্যাশিরা। উপরির উপর ভিত্তি করে ভিসা প্রদানের ব্যবস্থায় এখনই ছেদ ঘটানো প্রয়োজন। কারণ আমাদের উন্নয়ন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নিতি চলমান অবস্থায় ভিসা অফিসের এহেন দুর্দশা মেনে নেয়া যায় না। ফাইল পুট-আপ এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও নিরাপত্তা ছাড়পত্রের সংরক্ষনে জটিলতা নিরসন করা দরকার। সময় মত ভিসা ডেলিভারি দেয়া একটি নৈতিক দায়িত্ব কিন্তু এই ক্ষেত্রে বিশাল সেশন জট পরিলক্ষিত হয়। এক্সিট ভিসা পাওয়াও যেন সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে তাই এই ক্ষেত্রে দক্ষ লোকবল এবং ক্যাডার ভিত্তিক অফিসার সরবরাহ করা অতি জরুরী হয়ে পরেছে।
দেশের সুনাম রক্ষা এবং দুর্নীতির দুর্নাম ঘুচানো এখন সময়ের দাবি আর সরকারের অগ্রাধিকার। তাই ভিসা অফিসের দুর্নাম ভাইরাল হওয়ার হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা অতিব জরুরী। গত এক সপ্তাহে ভিসা অফিস ঘুরে দেখাগেল এই নড়বড়ে অবস্থার করুন পরিণতি। বিশেষ করে বিদেশী চাকুরীজিবি পরিবারের নির্ভরশীল ভিসা প্রত্যাশীদের ক্ষেত্রে পুলিশ রিপোট ছাড়াও কয়েক মাসের ভিসা প্রদানের ব্যবস্থা রাখা আবশ্যক। কারণ বিশেষ প্রয়োজনে বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। যাতে করে ঐ বিশেষ প্রয়োজনে ভিসা নিয়ে যেতে পারে এবং পরবর্তীতে দেশে এসে আবার পুনরায় ভিসার আবেদন করে পুলিশ রিপোর্টের ভিত্তিতে ভিসা পেতে পারে।
এক্সিট ভিসার ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে; কারণ ভিসা নিয়ে এয়ারপোর্টে পৌঁছার সময়টুকু জানজটযুক্ত ঢাকায় চিন্তা করে অন্তত একদিন আগে ভিসা দেয়ার বিধান করতে হবে। নতুবা ভিসার আবেদনের এমআরপি স্লিপ নিয়ে এয়ারপোর্টে গিয়ে হাজির হয় এক্সিট ভিসা জরিমানা দিয়ে নিয়ে দেশ ত্যাগ এবং তিক্ত অভিজ্ঞতার দুর্নাম ভাইরাল হওয়ার উপক্রম সৃষ্টি হয়। এই ক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান ডা: কার্ডিউলজি স্পেশালিষ্ট এবং সুইজারল্যান্ড নাগরিকের ভোগান্তি কম কিসের।
আমাদের প্রত্যাশা ভিসা ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন হতে এবং ভিসা প্রত্যাশিরা ভিসা নিয়ে দেশ বিদেশ ঘুরবে ও বাংলাদেশের প্রশংসায় পঞ্চমূখ থাকবে। এই আশা রেখেই এই যাত্রায় বিরতী।