প্রশান্তি ডেক্স॥ সেদিনও দিনাজপুরে শিক্ষা সফরে গিয়েছিল সে। হাসি খুশিই ছিল তার চলা-ফেরা। এখন সেই মুখেই হতাশার ছাপ। মলিন মুখেই থাকে রাজশাহীর ইসলামীয়া কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার রুম্পা। হঠাৎ রাজশাহী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা নিতে গিয়ে ধরা পড়েছে দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে।
মেধাবী এই ছাত্রী উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালেও এখন নিজেই অসহায় হয়ে মানুষের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে তাকে।
সুমাইয়ার বাড়ি নগরীর মতিহার থানার বুধপাড়া এলাকায়। তার মামা মিজানুর রহমান সিনহা জানান, সুমাইয়ার বাবা সেলিম রেজার সম্বল বলতে বাড়ির ভিটে আর সিংগাড়া পুরির দোকান। অল্প আয়ে কোনোরকমে চলে তাদের সংসার। তবে হঠাৎ সুমাইয়ার কিডনি রোগ ধরা পরায় এখন কুলকিনারা পাচ্ছেন না তারা।
সুমাইয়া চিকিৎসা নিচ্ছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফের অধীনে।
ডা. আবু ইউসুফের বরাত দিয়ে সুমাইয়ার মামা সিনহা বলেন, দুইটা উপায় আছে। তার মধ্যে একটি হলো প্রতিমাসে ডায়ালাইসিস করা। অন্যটি কিডনি প্রতিস্থাপন। কিডনি প্রতিস্থাপন করতে ৬/৭ লাখ টাকা প্রয়োজন। যদি প্রতিমাসে ডায়ালাইসিস করতে ২০-২৫ হাজার টাকার প্রয়োজন হবে।
তিনি বলেন, দরিদ্র বাবাকে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। তার পক্ষে এতবড় ব্যয় বহন করা সম্ভব হবে না। সুমাইয়াকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
সুমাইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে ০১৭০৫-২৯৭৯৫৯ নম্বরে।