রোজ কেয়ামত পর্যন্ত বিএনপি অভিযোগ করবে…কাদের

আনোয়ার হোসেন॥ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রোজ কেয়ামতের দিন পর্যন্ত বিএনপি অভিযোগ করবে। তারা যখন দেখে নির্বাচনে জেতার সম্ভাবনা নেই, তখন তারা এক তরফা নির্বাচনের অভিযোগ করে।roj keyamot porjonto
নির্বাচন ভবনে সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তারা নির্বাচন হওয়ার আগেই হেরে যায়। নির্বাচন হওয়ার আগেই তারা নির্বাচন সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করে। বিরূপ মন্তব্য করা, নালিশ করা তাদের পুরনো অভ্যাস। যেসব নির্বাচনে তারা নির্বাচিত হয়েছে, সেসব নির্বাচনেও তারা দেখা গেছে ফলাফল হবে, গণনা চলছে, তখনও জালিয়াতির কথা বলে। এটা বিএনপির পুরনো অভ্যাস। এটা নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা নেই। এটা হাস্যকর হয়ে গেছে। তাদের নালিশের কোনো বাস্তবতা, সত্যতা নেই। দেশে-বিদেশে নির্বাচনকে (একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) তারা প্রশ্নবিদ্ধ কারার অপচেষ্টা করেছিল, তা ব্যর্থ হয়েছে। সারা দুনিয়া এই নির্বাচনকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
একতরফা নির্বাচন করে আ’লীগ জিতে যাচ্ছে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খানের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘উনি কি নির্বাচনের নিয়ম কানুন, আইন, আচরণ বিধি, সংবিধান এসব মানতে চাননা? জাতীয় নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচন তো পাঁচ বছর পরেই হচ্ছে। গতবারের উপজেলা নির্বাচনেও প্রথম ধাপে বিএনপি মেজরিটি পার্সেন্টে এগিয়ে ছিল। দ্বিতীয় ধাপেও তারা ব্যালেন্স ছিল। তারা এখন নির্বাচনে অংশ নেবে না, কারণ তারা জানে জাতীয় নির্বাচনে যে ভরাডুবি হয়েছে, তাতে উপজেলা নির্বাচনে আরো শোচনীয় অবস্থা হবে। এই ভয়ে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না।’
‘বিএনপি যখন মনে করে কোনো নির্বাচনে জেতার সম্ভাবনা নেই, তখন তারা এই ধরণের অভিযোগ করে। রোজ কিয়ামত পর‌্যন্ত তারা অভিযোগ করবে।’
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, নারী আসনের মনোনয়নের ক্ষেত্রে আমার ত্যাগী এবং তৃণমূলকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অনেক সময় নিয়েছি। আমাদের সভাপতি শেখ হাসিনা সংরক্ষিত নারী আসনের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছেন। এমন কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় কয়েকজনের নাম তিনি আমায় লিখে রাখতে বলেছিলেন। অনেককে সেখানে আমার নিতে পারিনি, সেখানেও দু’চর জন সিলেক্টেড হয়েছে। অনেক যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। দে আর অল ব্রিলিয়ান্ট, পোলাইট, কমিটেড এবং ডেডিকেটেড।’
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমাদের দলের প্রতি কমিটেড, দেশ-মুক্তিযুদ্ধের প্রতিও তারা কমিটেড, আন্দোলন সংগ্রামে তাদের যে ত্যাগী ভূমিকা, সেটা আমরা গুরুত্ব দিয়েছি, অগ্রাধিকার দিয়েছি। আমাদের নেত্রীর সক্রিয় মতামতের ভিত্তিতে দলের দীর্ঘদিনের ত্যাগী কর্মীরা এবং মুক্তিযুদ্ধের পরিবার, এছাড়া সব অঙ্গণের প্রতিনিধি এখানে আছে। কালচারাল এরিনা থেকে শুরু করে সকল পর্যায় থেকেই তাদের নিয়েছি। সেখান থেকে আমরা সূবর্ণা মোস্তফাকে নিয়েছি। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি তৃণমূল পর্যায়ে। আমাদের নেতাকর্মীরা যেখানে দীর্ঘদিন ধরে দলের সঙ্গে ছিল, সাহসী ভূমিকা পালন করেছে, জেল-জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছে, তাদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে নারী আসন বাড়ানো বিষয়ে তিনি বলেন, নারী আসন বাড়ানো নয়, কমানো চিন্তা করছি। এমনিতেই ২৫ বছরের জন্য অন্তর্ভূক্ত আছে। নারী ক্ষমতায়ন অনেকদুর এগিয়ে যাবে। অনেক আপগ্রেডেট হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.