প্রশান্তি ডেক্স॥ গত কয়েকদিনের ঝড়-ঝাপটার পর অবশেষে শেষ হলো ঢাকার আশপাশের নদী মুক্ত করতে বিআইডব্লিউটিএ’র অভিযান। তুরাগ নদী দখল করে গড়ে তোলা আলোচিত আমিন মোমিন হাউজিং উচ্ছেদের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে এ অভিযান।
এতে যোগ দেন গত (১৯ ফেব্রুয়ারি) সরিয়ে নেয়া ঢাকা বন্দরের যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিনও। শেষ দিনের উচ্ছেদ পরিদর্শনে এসে বিআইডব্লিউটিএ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, চ্যানেলের প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে এখন খননকাজে জোর দেয়া হবে। ১২ দিনের অভিযানে প্রায় ২ হাজার স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
উপর মহলের নির্দেশে গত মঙ্গলবার বুড়িগঙ্গা উদ্ধারের অভিযান যেখানে স্থগিত হয়েছিল, বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) মোহাম্মদপুর বসিলার অবৈধ আমিন মোমিন হাউজিংয়ের সেখান থেকেই উচ্ছেদ শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ।
গুঁড়িয়ে দেয়া হয় শতাধিক কাঁচা, পাকা স্থাপনাসহ অসংখ্য বাণিজ্যিক প্লটের সীমানা প্রাচীর।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি আলোচিত হাউজিংটি উচ্ছেদে এদিন যোগ দেন মঙ্গলবার উচ্ছেদ থেকে সরিয়ে নেয়া ঢাকা বন্দরের যুগ্ম পরিচালক আরিফ উদ্দিনও। তিনি জানান, কোনো বাধাই উচ্ছেদকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। এসময় তিনি বলেন, বসিলা ব্রিজের পর তুরাগ নদীতে দুটি চ্যানেল ছিল। যার মূল চ্যানেলের পুরো ৩৬ বিঘা নদী ভরাট করেছে আমিন মোমিন হাউজিংটি।
যদিও উচ্ছেদ চলাকালে হাউজিংটির আইনজীবী এসে দাবি করেন, বিআউডব্লিউটিএ অবৈধভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে। তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র রয়েছে বলে দাবি করেন ওই আইনজীবী।
এদিকে ঢাকা বন্দরের যুগ্ম পরিচালক আরিফ উদ্দিন বলেন, এখানে কোনো আইনেরই তোয়াক্কা করা হয়নি। লাখ লাখ মেট্রিক টন রাবিশ এখানে ফেলা হয়েছে, বালি ফেলা হয়েছে। এর ক্ষতিপূরণ, চ্যানেল পুনঃনির্মাণের ব্যয় অবশ্যই এই ভরাটকারীদের কাছ থেকে তোলার ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
উচ্ছেদ পরিদর্শনে এসে বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক জানান, যারা তুরাগের জায়গা দখল করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে, প্রয়োজনে জরিমানাও করা হবে। উচ্ছেদের পর এখন খনন জরুরি বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।